উপায় নাই গোলাম হোসেন ! কুতকুত খেলা আমাদের গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহি খেলা । গ্রামাঞ্চলে এমন কোন মেয়ে নাই যে কুতকুত খেলে নাই। কিন্তু বেফুক দুঃখের বিষয় আমাদের এই ঐতিহ্যবাহী খেলাটা দিন দিন হারায়া যাচ্ছে !! ছুডুবেলায় দেখতাম বাসার ছাদে লাল ইট দিয়া মেয়েরা কুতকুত খেলতাসি আর আমি তা নয়ন ভরে উপভোগ করতাম আহা! কি সেই মনরোম দৃশ্য আজও ওই পুরান দিনের কথা মনে কইরা জাবর কাটি
যারা পাশের ফ্ল্যাটের মেয়ের সাথে কুতকুত খেলতে চান কিন্তু নিয়ম না জানার কারনে খেলতে পারেন না তাদের জন্য লিন্কিন পার্ক পরিবেশন করতাসে কুতকুত খেলার নিয়ামাবলি
খেলার নিয়মাবলী ;
আয়তক্ষেত্রাকার মোট ৭/৮টি ঘর আঁকা হয় এবং এই ঘরগুলোর শেষ মাথায় অর্ধচন্দ্রাকৃতির আর একটি ঘর বানানো হয়। প্রথম ঘরে গুটি ফেলে এক পা শূন্যে রেখে এবং দম দিতে দিতে গুটিকে সবগুলো ঘর অতিক্রম করে অর্ধচন্দ্রাকৃতির ঘরে এনে পা নামিয়ে দম ফেলা যায়। তার পর এই ঘর থেকে গুটিকে পা দিয়ে আঘাত করে সব ঘর অতিক্রম করানোর চেষ্টা করা হয়।
গুটিটি সব ঘর অতিক্রম না করলে অর্ধচন্দ্রাকৃতির ঘর থেকে বের হয়ে শূন্যে পা তুলে দম নিতে নিতে তাকে আবার আগের নিয়মে ঘর থেকে বের করে আনতে হয়। খেলোয়াড়রা কপালে গুটি রেখে উপর দিকে তাকিয়ে ৮টা ঘরের দাগে পা না ফেলে অর্ধচন্দ্রাকৃতির ঘরে যেয়ে আবার প্রথম ঘরে ফেরত আসতে পারলে সে ঘর কেনার যোগ্যতা অর্জন করে। কুতকুত খেলায় যে ঘর কেনা হবে সেই ঘরে পা বা গুটি ফেলা যাবেনা। ঘর কেনার প্রক্রিয়াকালীন সময় খেলোয়াড়ের দাঁত দেখা গেলে ঐ খেলোয়াড়ের খেলা ঐ অবস্থায় মারা যায়। ক্রমান্বয়ে ঘর কিনে শেষ ঘরটি দখল করার মাধ্যমে খেলার নিস্পত্তি হয়।
আশা করি কুতকুত খেলাটা আয়ত্ত কইরা পাশের ফ্ল্যাটের মেয়ের সাথে চুটিয়ে কুতকুত খেলতে পারবেন ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।