আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রেললাইনের পুরানো স্লিপার দিয়ে বানানো আমাদের ছোট্ট শহীদ মিনার (ছবি ব্লগ আর কিছু কথা)

Set sail, ye hearts~ into the sea of hope.. অনেক দিন থেকেই একটা আক্ষেপ ছিলো আমাদের, হলে উঠার পর একবারও ক্যাম্পাসে থেকে একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন করা হলো না। আসলে প্রতিবার ফেব্রুয়ারিতে সেমিস্টার ভ্যাকেশন থাকে, তাই ঐ সময় আমরা সবাই-ই বাড়ীতে থাকি । কিন্তু এবার পরীক্ষা কিছুটা পিছিয়ে যাওয়ায় আমরা কয়েকজন মিলে ঠিক করলাম, অন্তত এবারের মাতৃভাষা দিবসে সবাই মিলে কিছু একটা করা উচিত। কিন্তু কি করা যায়?? একে ক্যাম্পাসের ত্রিসীমানায় কোনও শহীদ মিনার নাই, কখনো হয়তো হবেও না, তার উপর এখানে ‘এই ধরনের’ অনুষ্ঠান আয়োজন করাটাও অনেক ঝক্কি ঝামেলার ব্যাপার। তাই অনেক ভেবেচিন্তে ঠিক করলাম ভিতরে করতে না পারলে কি হয়েছে, প্রয়োজনে পাশের কুমিরা স্টেশনে একটা শহীদ মিনার তৈরী করে সেখানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবো একুশের ভাষা শহীদদের।

যেমন ভাবা তেমন কাজ, ভোরবেলা আমরা মাত্র ছয় জন সমমনা ছাত্র, রেল স্টেশনের উৎসাহী কিছু কর্মচারী আর উপস্থিত সাধারন মানুষদের সহায়তা নিয়ে বানিয়েও ফেললাম ছোটখাট একটা শহীদ মিনার। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সেই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার কিছু স্থিরচিত্র শেয়ার করছি আপনাদের সাথে যারা যারা ছিলাম: উমর , রিয়াদ , সুফিয়ান, আবসার, মিজান ভাই, মহি ভাই, জাবেদ আর শরীফ। শহীদ মিনারে ফুল দেয়ার পর আমরা কিছুক্ষণ সেখানে অবস্থান করলাম, উৎসুক পথচারীদের অনেকেই তখন আমাদের আশেপাশে জড়ো হয়েছে, তাদের অনেকেরই মাতৃভাষা দিবস সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা ছিলো না। মিজান ভাই সংক্ষেপে তাদেরকে কিছু কথা বললেন। ঠিক করলাম কাজ যখন হয়েই গেছে বেঁচে যাওয়া রঙ আর চক নিয়ে দেয়ালগুলোতে বর্ণমালা লিখে দিয়ে যাই।

আমরা কিছুটা ইতস্তত করছিলাম, দেয়ালে যেহেতু আর কোনও লেখা নাই, লিখলে আবার কোনও সমস্যা হয় কি না। কিন্তু স্টেশনের কর্মচারীরা আমাদের আশ্বস্ত করে বললেন, আপনারা লিখেন কোনও সমস্যা নাই। লাল রঙ দিয়ে বড় বড় হরফে আমরা লিখলাম, “একুশ আমার অহংকার” ( ছবি ব্লগ এখানে ) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।