ভালবাসি
এবার চিনি রপ্তানির উদ্যোগ নিয়েছেন মিলমালিকরা। দেশের চাহিদা পূরণ করে উদ্বৃত্ত চিনি রপ্তানি করা হবে বলে তারা দাবি করেছে। ইতোমধ্যে তারা রপ্তানির অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে। সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের দাবি- চিনি রপ্তানি করা হলে জিডিপির প্রবৃদ্ধি বাড়বে, কমবে ডলার ঘাটতি। জানা গেছে, চিনি ব্যবসায়ীদের বক্তব্য তারা বেশ কয়েক বছর ধরে লোকসান দিচ্ছেন।
এতে তাদের মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। আর মিল বন্ধ হয়ে গেলে এ খাতের কর্মচারীরা বেকার হয়ে পড়বে। তাই মালিক-কর্মচারীদের স্বার্থে ও এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থে চিনি রপ্তানি করার সুযোগ দেয়া উচিত। উল্লেখ্য, প্রতি বছর রমজান মাসের আগে দেশে অস্বাভাবিকভাবে চিনির দাম বেড়ে যায় যা ঈদুল আযহা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এ রকম অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণে সরকার একাধিকবার তদন্ত কমিটি করেছে।
কয়েকজন ব্যবসায়ীকে অভিযুক্তও করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আদেশও দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও কিছু হয়নি। এর মধ্যে নিটল সুগার মিলের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। উৎপাদনে আছে ৬টি সুগার রিফাইনার মিল।
এসব মিলের বার্ষিক উৎপাদন ৩৯ লাখ ৯০ হাজার মেট্রিক টন। আর সরকারি মালিকানাধীন ১৫টি চিনিকলের বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন। সব মিলে দেশে চিনির বার্ষিক উৎপাদন ৪১ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন। আর দেশে চিনির বার্ষিক চাহিদা মাত্র ১৫ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন। ফলে উদ্বৃত্ত থেকে যায় ২৫ লাখ ৯০ হাজার মেট্রিক টন চিনি।
জানা গেছে, বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের আওতাভুক্ত বেসরকারি চিনি মিলে যে ৩৯ লাখ ৯০ হাজার মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন হয় তার মধ্যে সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের দৈনিক উৎপাদন ৫ হাজার মেট্রিক টন। এ হিসাবে মিলটির বার্ষিক উৎপাদন ১৫ লাখ মেট্রিক টন। আব্দুল মোমেন সুগার রিফাইনারি লিমিটেডের দৈনিক উৎপাদন ১ হাজার মেট্রিক টন, এ হিসাবে মিলটির বার্ষিক উৎপাদন ৩ লাখ মেট্রিক টন। দেশবন্ধু সুগার মিলস লিমিটেডের দৈনিক উৎপাদন ৫০০ মেট্রিক টন, আর বার্ষিক উৎপাদন ১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন। ইউনাইটেড সুগার মিলস লিমিটেডের দৈনিক উৎপাদন ২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন, বার্ষিক উৎপাদন ৭ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন।
এসআলম রিফাইনড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজের দৈনিক উৎপাদন ২ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন, বার্ষিক উৎপাদন ৮ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন এবং পারটেক্স সুগার মিলসের দৈনিক উৎপাদন ১ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন, বার্ষিক উৎপাদন ৪ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন। এ বিষয়ে আবদুল মোমেন লিমিটেডের চেয়ারম্যান এএসএম মহিউদ্দিন মোনেম যায়যায়দিনকে বলেন, কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের আওতাভুক্ত বেসরকারি চিনি মিলমালিকরা লোকসান দিয়ে আসছেন। কিন্তু সরকার এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। তাই লোকসান কাটিয়ে উঠার জন্য মিলমালিকরা বাধ্য হয়ে চিনি রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখন সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে।
এ জন্য বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে সময় চাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, চিনি রপ্তানি করলে ব্যবসায়ীরা যেমন তাদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে, তেমনি দেশে বৈদেশিক মুদ্রাও আয় হবে। এতে ডলারের জোগান বাড়বে, একই সঙ্গে জিডিপির প্রবৃদ্ধিও বাড়বে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।