সিলেটের মৌলভীবাজারের সরকারি দায়িত্ব পালন না করার অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার ভ্রাম্যমাণ আদালত এক মেডিক্যাল অফিসারকে এক মাসের কারাদণ্ডসহ ৫হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে সাধুবাদ জানাই এবং সরকারি দায়িত্ব পালন না করে এভাবে নিজের পকেট ভর্তি করার যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে তা বন্ধের আরো কঠোর প্রদক্ষেপ নেয়া দরকার। শুধু তাই নয়, প্রাইভেট প্র্যাকটিসে কত টাকা নিতে পারবেন তাও একটি নিয়ম থাকা দরকার এবং দৈনিক কতজন রোগী দেখবেন তার হিসাব থাকা দরকার। ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের কমিশন বন্ধেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া আবশ্যক। একটি গরিব দেশে একজন কৃষক ৪ মণ পাট বিক্রি করলে একবার ডাক্তার দেখানোর টাকা হয়।
ডাক্তার দেখাতে গেলে হাতে কিছু ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের নাম ধরিয়ে দিয়ে আবার দ্বিতীয় বার টাকা নেয়ার খেলাও বন্ধ করা দরকার। কাজে ফাঁকি দেয়ার অভিযোগে অভিযুক্তদের যেখানে অনুশোচনা হওয়া দরকার, তা না করে উল্টো ধর্মঘট ডেকে রোগীদের হয়রানি শুরু হয়।
ধর্মঘটকারীরা কি ভুলে গেছেন যে এই গরীব রোগীদের টাকা দিয়েই তারা নামি দামি গাড়িতে চড়ে বেড়ান? আমার মনে হয় ধর্মঘটকারী নেতাদের বিষয়টি উপলব্ধি করা দরকার জনগণের ওপরই তাদের আয়-উপার্জন ও মান-সম্মান নির্ভরশীল। তাই ডাক্তার সাহেবদের বিনীত অনুরোধ করবো সেবার মানসিকতা নিয়ে এই পেশায় আসুন। দেখবেন নিজের বিবেকের কাছে ভাল থেকে পরম শান্তি নিয়ে ঘুমাতে পারবেন।
শুধু ডাক্তারদের নয়, আমরা যদি যার যার অবস্থান থেকে একটু করে ছাড় দেই, তবে এই স্বর্গের রাজ্যে আমরা থাকতে পারবো। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট সবিনয় অনুরোধ, সরকারি দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করে বাইরে গিয়ে ব্যবসা করা মেডিক্যাল অফিসারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত এবং তার পক্ষ অবলম্বনকারীদেরও।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।