আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বেশি দেরি হয়ে গেছে

ইকুয়েডর অথবা এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট যদি বাংলাদেশের প্রতি কঠোর মনোভাব গ্রহণ করতেন, তা হলে আমাদের বিচলিত হওয়ার কারণ হতো না। বাংলাদেশের প্রতি কঠোর হয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তিনি যে কঠোর হয়েছেন সে সংবাদ যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত বাংলা সাপ্তাহিক জানায়নি। খবর দিয়েছে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস। ওই কাগজে আমেরিকার পররাষ্ট্রনীতির প্রতিফলন ঘটে।


বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের বিরূপ হওয়ার ব্যাপারটি তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়ার জিনিস নয়। বাংলাদেশ সরকারের নেতারা চে গুয়েভারার মতো প্রচণ্ড সাহসী ও নেতাজি সুভাষ বসুর মতো আত্মবিশ্বাসী। কিন্তু আমরা যারা সাধারণ মানুষ, তারা মিস্টার ওবামার কঠোরতার কথা শুনে শঙ্কিত ও বিপন্ন বোধ করছি। বিপন্ন বোধ করার কারণ এই নয় যে আমরা সরকারের চারজন মুখপাত্রের চেয়ে কম সাহসী। বিপন্ন বোধ করার কারণ এটাও নয় যে ওবামা সাহেব রেগে গিয়ে ইরান ও উত্তর কোরিয়ার পরে বাংলাদেশের দিকে কামান তাক করবেন।

আমেরিকার প্রেসিডেন্টের কঠোরতার দীর্ঘমেয়াদি বিরূপ প্রতিক্রিয়া থাকবে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ও রাজনীতিতে। সেটাই আমাদের শঙ্কিত করেছে।
আসমান ও জমিনে যা কিছু ঘটুক বাংলাদেশকে নিয়ে, এমনকি বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের মাথার ওপর যদি বলিভিয়া বা প্যারাগুয়ের কেউ আণবিক বোমাও মারে, তা হলেও মহাজোটের মুখপাত্র চতুষ্টয় বলবেন: কুচ পরোয়া নেই। বলিভিয়ানদের এই বোমা মারার বুদ্ধি বিরোধীদলীয় নেতা ও তাঁর ছেলে দিয়েছেন। অথবা পুরস্কার-টুরস্কার পেয়েছেন এমন নামজাদা অর্থনীতিবিদ।

চক্ষুলজ্জাবশত সেই অর্থনীতিবিদের নামটা তাঁরা উচ্চারণ না-ও করতে পারেন। সব ব্যাপারে অন্যকে দোষারোপ করা এবং আত্মপ্রশংসায় বুঁদ হয়ে থাকার পরিণাম শুভ হয় না। আত্মপ্রশংসা আত্মপ্রবঞ্চনার নামান্তর। কাজের প্রশংসা অন্যে করলে সেটাই সবচেয়ে শ্রুতিমধুর।
তৈরি পোশাক কারখানায় কাজের পরিবেশ ও শ্রমিকের স্বার্থ সুরক্ষায় গাফিলতি থাকায় যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পণ্যের অবাধ বাজারসুবিধা (জিএসপি) স্থগিত করেছে ওবামা প্রশাসন।

বাংলাদেশের প্রতি আমেরিকার এই মিসাইল নিক্ষেপ করা হয়েছে গত ২৭ জুন মধ্যরাতে।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের অগ্রাধিকারমূলক বাজারসুবিধার আওতা থেকে বাংলাদেশকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তটি হুট করে নেওয়া হয়নি। অর্থাৎ রাতে ডিনার করে মিস্টার ও মিসেস ওবামা বেডরুমে ঢোকার আগে হঠাৎ মাদাম মিশেল বললেন, ওগো শোনো, ঢাকার তোপখানা রোডে কিছু লোক আমাদের নিয়ে উল্টাপাল্টা স্লোগান দেয় প্রতি হপ্তায়। এই দেশের জিনিসপত্র আমদানিতে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার দরকার নেই। তোমার কলমের এক খোঁচায় জিএসপি স্থগিত করে দাও।

প্রিয়তমা পত্নীর আবদার উপেক্ষা করতে না পেরে ঘুমাতে যাওয়ার আগে তিনি ওই ডিক্রি জারি করেন। ব্যাপারটা তা নয়। আমাদের পোশাকশিল্পের মাননীয় মালিকদের এবং তাঁদের একান্ত বাধ্যগত পৃষ্ঠপোষক সরকারের কার্যকলাপের কারণে অনেক দিন থেকেই যুক্তরাষ্ট্র হুঁশিয়ার করে দিচ্ছিল—জিএসপি স্থগিত হতে পারে। মহাজোট ও বিজিএমইএর নেতারা বলছিলেন, আমরা তোমাদের থোরাই পরোয়া করি।
জিএসপি স্থগিতের হুকুম দেওয়ার সময় প্রেসিডেন্ট ওবামা সুস্পষ্ট ভাষায় কারণ ব্যাখ্যা করে লেখেন: ‘আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে...উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের পাওয়া জিএসপি সুবিধা স্থগিত করাই শ্রেয়।

তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ উন্নয়নে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বা নেওয়া হচ্ছে না। ’
ওবামার তৎপরতার জবাব দিয়েছেন আমাদের বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক খান। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের অবাধ বাজারসুবিধা স্থগিত করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেশের উন্নয়নের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছে। [বাসস/সমকাল] পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি আরও সুস্পষ্ট। তাতে বলা হয়: জিএসপি স্থগিতের সিদ্ধান্তটি বাংলাদেশ সরকার জানতে পেরেছে।

দীর্ঘদিন ধরে চালানো বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণার কারণেই অনাকাঙ্ক্ষিত এ সিদ্ধান্তের সম্মুখীন হতে হলো বাংলাদেশকে।
মহাজোট সরকারের অন্যতম মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার তদবিরে যুক্তরাষ্ট্র শুল্কমুক্ত বাণিজ্যসুবিধা (জিএসপি) স্থগিত করেছে। তথ্যমন্ত্রী ও জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, সরকারকে বিরোধিতা করতে গিয়ে বিরোধীদলীয় নেত্রী জিএসপি সুবিধা বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্রকে চিঠি দিয়েছেন। যিনি দলীয় স্বার্থে দেশের ক্ষতি করতে পারেন, তিনি আর যা-ই হোক, দেশপ্রেমিক হতে পারেন না। [ইত্তেফাক] ছাত্রলীগ ও যুব মহিলা লীগের নেতারাও যুক্ত বিবৃতিতে বলেছেন, খালেদা জিয়ার অনুরোধে জিএসপি সুবিধা স্থগিতের ফলে দেশের পোশাকশিল্পের প্রায় সাড়ে তিন হাজার কারখানার লাখ লাখ শ্রমিকের জীবন অনিশ্চয়তায় পড়বে।

[সমকাল]
তবে কিছুটা ভিন্ন বক্তব্যও আছে। জাতীয় পার্টির নেতা ও বাণিজ্যমন্ত্রী জিএম কাদের বলেছেন, খালেদা জিয়ার ষড়যন্ত্রের বিষয়টি কথার কথা বলেই মনে হচ্ছে। কারও চিঠির ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা ভাবার কারণ নেই। মূলত বাংলাদেশে শ্রমিকদের কাজের পরিবেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য চাপ প্রয়োগের কৌশল হিসেবেই যুক্তরাষ্ট্র এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সিদ্ধান্ত কারও ষড়যন্ত্রের পরিণতি নয়।


প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী বিবিসিকে বলেছেন, ‘যখন জিএসপি সুবিধা স্থগিত করা হলো তখন নিশ্চয়ই আমি বলব, আমাদের কিছু ব্যর্থতা ছিল। ’ তিনি স্বীকার করেন, শ্রম আইনে সংস্কার আনার ক্ষেত্রে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে।
তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠনের সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেছেন, এ সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশের ভাবমূর্তির ক্ষতি হবে। সিদ্ধান্তটির পেছনে অন্য কারণও থাকতে পারে। বাংলাদেশকে নিয়ে ‘বাণিজ্য ষড়যন্ত্র’ (ট্রেড কনসপিরেসি) হতে পারে।


মোদ্দা কথা হলো এই, জিএসপি স্থগিতের জন্য বাংলাদেশ সরকার দায়ী নয়, পোশাকশিল্প মালিকেরা তো ননই। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ও কর্মকর্তারা কানকথা শোনেন। খালেদা জিয়া তাঁদের কানপড়া দিয়েছেন, আর সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা বিএনপির নেতার নির্দেশমতো কাজ সেরেছেন।
আমরা অনুমান করি, এই স্থগিতের নির্দেশ অনন্তকাল থাকবে না। তবে এই সরকারের মেয়াদে যে পুনর্বহাল হবে, সে ভরসা কম।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র প্যাট্রিক ভ্যানট্রেল বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে, এ সিদ্ধান্ত শ্রমমান ও কর্মপরিবেশের নিরাপত্তা উন্নয়নের লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিতে এ মুহূর্তে বাংলাদেশের জন্য একটি সুযোগ সৃষ্টি করেছে। জিএসপি পুনর্বহালের জন্য সম্ভাব্য পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনা বলেছেন, জিএসপি সুবিধা প্রত্যাহারের জন্য বাংলাদেশই দায়ী। তবে এ সুবিধা ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা এখনো আছে। পোশাক কারখানাগুলোর কর্মপরিবেশের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া রোডম্যাপ বাস্তবায়িত হলেই এ সুবিধা পুনরায় বহাল হবে বলে
তিনি জানান।


বর্তমান পৃথিবীটা অন্য রকম। আলাউদ্দিন হুসেন শাহের সময় এ অবস্থা ছিল না। এখানে কত ধানে কত চাল তা যাঁরা রাষ্ট্র চালান, তাঁদের জানার কথা। অর্থনীতি-বাণিজ্যনীতি যা-ই হোক, সবকিছুর মূল রাজনীতি। যে দেশের রাজনীতি ভালো তো তার সবই ভালো।

জিএসপি স্থগিতের পরদিন মার্কিন মুখপাত্র সব কথার শেষে যোগ করেছেন, ‘বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক সংস্কার সুসংহত করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে চাই। ’
এর মধ্যে গণতন্ত্র সংস্কারের কথা আসে কেন? সেই জিনিসেরই সংস্কার করতে হয়, যা আবর্জনায় ভরে গেছে। তা হলে কি বাংলাদেশের গণতন্ত্র আবর্জনায় পরিপূর্ণ? সেই জঞ্জাল সাফ করা দরকার। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলের নেতাদের কাছে ‘সংস্কার’ শব্দটি বড়ই আপত্তিকর। মার্কিন সরকারের মুখপাত্র না হয়ে ওই কথা বাংলাদেশের কোনো দলের বড় নেতা উচ্চারণ করলে তাঁর ভাগ্য সিলগালা হয়ে যেত।


বাংলাদেশে তো রীতিমতো গণতন্ত্র রয়েছে। এর মধ্যে গলদটা কোথায়? সংসদ সাংঘাতিকভাবে সক্রিয়। নির্বাচিত প্রতিনিধিতে সয়লাব দেশ। শেরেবাংলা নগরে গণতন্ত্রের প্রাচুর্য। অত গণতন্ত্র ও বাক্স্বাধীনতা আমেরিকার সিনেটেও নেই।

সচিবালয়ে মন্ত্রী মহোদয়দের পক্ষে গণতন্ত্র। জেলা সদরে গণতন্ত্র। পৌরসভা ও নগর করপোরেশনে গণতন্ত্র। উপজেলা ও ইউনিয়নেও গণতন্ত্র। সংস্কারটা হবে কোথায়?
যদি এমন হতো, বাংলাদেশে মার্কিন পণ্য নিষিদ্ধ করা হলো।

ওই সংবাদ মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট ‘অবগত’ হলো। তারপর মার্কিন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় তারা কী করত? ধারণা করি, বিষয়টি নিয়ে আমেরিকার কংগ্রেসে বিতর্ক হতো। প্রেসিডেন্ট ও তাঁর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সব দোষ রিপাবলিকান দলের নেতার ওপর চাপিয়ে নিশ্চয়ই বক্তৃতা দিতেন না। জিএসপি স্থগিতের ঘোষণা শোনার পর বিষয়টি নিয়ে সরকারের আলোচনায় বসা উচিত ছিল। সংসদে বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা হতে পারত।

কাউকে দোষারোপ করার মতো উপাদান যদি পাওয়া যেতেও, তা না করে আগে মার্কিন সরকারের সঙ্গে দেনদরবার, আবেদন-নিবেদন হতে পারত। ব্যাপারটির সঙ্গে যদি লাখ লাখ মানুষের ভাগ্য জড়িত থাকে, দেশের ভাবমূর্তির ব্যাপার থাকে, তা হলে তাকে অবহেলা করা যায় না।
বর্তমানে কোনো দেশের রাজনীতিই আর সে দেশের অভ্যন্তরীণ নিজস্ব ব্যাপার নয়। যা খুশি তাই করে কোনো দেশের কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকারই পার পায় না। তাই মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নির্যাতন আর তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়।

পাকিস্তানের রক্তক্ষয়ী রাজনীতিও তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার নয়। গুজরাটের গোধরা নারকীয়তার জন্য নরেন্দ্র মোদি আমেরিকার ভিসা পান না।
আমাদের দেশের ভেতরে যা হচ্ছে তা বহির্বিশ্ব চোখ বুজে মেনে নিতে বাধ্য নয়। ক্রসফায়ারে মরছে মানুষ। নিরাপত্তা হেফাজতে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করছে লোকজন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্রের গোলায় উড়ে যাচ্ছে কারও পা। টেন্ডার নিয়ে মারামারিতে লাশ পড়ছে পথচারী বালক-বালিকার। পোশাকশিল্পের কারখানা ধসে প্রাণ হারাচ্ছে সোয়া হাজার। কারখানার আগুনে পুড়ে মরছে শ্রমিকেরা। কারখানার শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও স্বার্থের প্রতি নজর দিতে বহুদিন থেকে কাকুতিমিনতি করছেন পশ্চিমা বিশ্বের ক্রেতারা।

কোনো কোনো মালিক শ্রমিকের নিরাপত্তা ও স্বার্থ দেখলেও অধিকাংশ কারখানার শ্রমিকদের অবস্থা শোচনীয়।
পোশাকশিল্পের মালিকদের নেতারা বছর খানেক যাবৎ তাঁদের ভাগ্যবিপর্যয়ের জন্য একটি মাত্র শত্রুকে শনাক্ত করেছেন। সেই শত্রুর নাম হরতাল। হরতাল তাঁদের বাড়া ভাতে ছাই দিচ্ছে। অথচ গত কুড়ি বছরে অগণিত হরতাল সত্ত্বেও তাঁদের পাজেরো, বিএমডব্লিউ, হ্যামার, মার্সিডিস কেনায় অসুবিধাই হয়নি।

আমাদের বহু পোশাকশিল্প মালিকের বিলাসবহুল জীবনযাপনের সঙ্গে টাটা, বিড়লা, গোয়েঙ্কা, আম্বানি, বাজাজদের জীবনযাপন কিছুই নয়। বাংলাদেশের পোশাকশিল্প অত্যন্ত দলনিরপেক্ষ ও ধর্মনিরপেক্ষ। মালিকদের মধ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াত এবং মুসলমান, হিন্দু সবাই। মালিক ও পরিচালকদের মধ্যে আছেন অনেক নারী।
বাংলাদেশের চেহারায় যেটুকু জৌলুশ এসেছে, তার পেছনে রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পের শ্রমিক ও প্রবাসী শ্রমিকদের অবদান অপরিমেয়।

গর্ব করে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিন্দুকে অত বৈদেশিক মুদ্রা জমা পড়েছে। ওই রিয়াল, ডলার, দিনার, দিরহাম পাঠিয়েছে কে? হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে, অপমান-নির্যাতন সয়ে যাঁরা ওই টাকা পাঠান, ঢাকা বিমানবন্দরে তাঁদের সঙ্গে বিন্দুমাত্র মানবিক আচরণ করা হয় না। পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের কথা প্রেসিডেন্ট ওবামা পর্যন্ত জেনে গেছেন।
জিএসপি নিষেধাজ্ঞা থেকে যদি চৈতন্যোদয় না হয়, আশঙ্কা করি, বাংলাদেশের সামনে অপেক্ষা করছে খুব বড় অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক বিপর্যয়।
সৈয়দ আবুল মকসুুদ: গবেষক, প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.