আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চাইনিজ টয়লেট,গোসলখানা

ভুল করেছি,প্রায়শ্চিত্য করবো না, তা তো হয় না চাইনিজ টয়লেট,গোসলখানা বাংলাদেশী কেউ চীনে এসে প্রথম প্রথম টয়লেট করতে গিয়ে প্রোবলেম ফেস করেন নি ,এই সংখ্যাটা 0% হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। কারন এখানে টয়লেটে পানির ব্যবস্হা নেই। ওরা পানি ইউজ করে না। আর একারনেই বোধহয় ওরাই প্রথম টয়লেট টিস্যু উদ্ভাবন করেছে। আমরা বাংলাদেশীরা অধিকাংশই টয়লেটের পর পানি ইউজ করতে অভ্যস্ত,অন্যথায় শরীর কেমন ঘিনঘিন করে।

আমি প্রথম যেদিন চীনে আসি সেদিন বেইজিং এ Beijing Language and Cultural university তে ছিলাম,টয়লেট করতে গেছি,তারপর পরলাম বিপদে- পানির ব্যবস্হা নেই,কোন ট্যাপই নেই, টিস্যু নিয়ে যাই নি,কারন এই কাহিনী আগে জানতাম না। এখন কি করা যায়,কমন টয়লেট। লুঙ্গি পরেছিলাম,ঐভাবেই টয়লেট থেকে বের হয়ে পাশের রুমে গোসল করার বাথরুমে ঢুকে পরলাম। পায়খানা- ছ ছুঅ 厕所 Washroom- ওয়ে শৌ চিয়েন/ সি শৌ চিয়েন আরএকজনের কাহিনী,তার gf ladies toilet এ ঢুকছে আর সে বাইরে দাঁড়িয়ে আছে,toilet এ গিয়ে সেও পড়ছে বিপদে,পানি নেই-সাথে টিস্যু নেই। তখন সে ভিতর থেকে তার bf কে ফোন দিছে,তার কাছেও টিস্যু নেই,তৎক্ষনাৎ সে দোকানে গেছে,টিস্যু কিনেছে তারপর ladies toilet e ঢুকছে,চিৎকার করছে “তুমি কোনটাতে আছ”-পাবলিক toilet,অনেকগুলো একসাথে, আর ওদিকে অন্যান্য মহিলারা চিল্লাপাল্লা শুরু করছে।

toilet এ গিয়ে পানি নেই দেখে toilet না করেই চলে এসেছে এরকম বাংলাদেশীর সংখ্যা অনেক। আমার এক ফ্রেন্ড এজন্য মজা করে বলেছিল-আয় আমরা চীনে বদনার ব্যবসা করি,কিন্তু সে সুযোগ নেই-টয়লেটে ট্যাপ ই নেই। আর একজন –ও টয়লেটে যাবার সময় বাথরুম থেকে বালতিতে করে পানি নিয়ে যেত। আর এক আপুকে দেখেছিলাম ভ্রমনের সময়,উনি টয়লেট করার পর পানি ইউজ না করে থাকতে পারেন না, , আনইজি ফিল করেন- উনি এখন বদনা কৈ পাবেন,খাওয়ার পানির বোতলে পানি নিয়ে তারপর টয়লেটে ঢুকলেন। দ্বিতীয় প্রোবলেমটা বেশী মারাত্নক,কমন টয়লেট যেগুলো সেখানে –দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করার প্যানগুলোর মাঝখানে কোন বেড়া নেই,উন্মুক্ত-একজন আর একজনের টা দেখতে পারে, কিছু toilet এর ব্যবস্হা এমন যে –কে পায়খানা করতেছে তার just face টা দেখা যায় না কিন্তু বাকি সবই দেখা যায়, আর কিছু যেগুলোর কোন দরজাই নেই- সদরঘাট খোলা।

আমার university তে অডিটরিয়ামের টয়লেটে এমন ব্যবস্হা। হাত-মুখ ধোয়ার বেসিনের পাশে খোলা হাই কমোড. প্রস্রাব করা- সিয়াও পিয়েন পায়খানা করা- তা পিয়েন এখানে শিক্ষক ছাত্র সবাই একই কমন টয়লেট use করে,প্রস্রাব করার সময় teacher student র টা দেখতে পায় আর student teacher r টা দেখতে পায়। তবে চাইনিজদের কাছে এটা নরমাল ব্যাপার,এতে তারা কোন লজ্জা পায় না। আমি প্রতি শুক্রবারে একটা প্রাইমারী স্কুলে যাই ওখানকার বাচ্চাদের টয়লেট ...... প্রস্রাবখানা ঠিক আমাদের দেশে অজু করার জন্য যেমন লাইন ওরকম...দেয়ালের সাথে ট্যাপলাইন লাগানো, সবাই একলাইনে দাঁড়িয়ে মুতো আর পায়খানাগুলোর একটাতেও দরজা নেই, সদরঘাট পুরাই খোলা। লজ্জা- হাই সিউ যেমন- আমি একদিন super market Carrefour এ প্যান্ট কেনার সময়- সেলস্ girl আমাকে বলতেছিল প্যান্ট পড়ে চেক করার জন্য, ফিট হয় কিনা. আমি জিঙ্গেস করেছিলাম ফিটিং রুম কোনদিকে- সে বলে ফিটিং রুম লাগবে কেন,এখানেই চেঞ্চ কর!!!!!! আর একজনের কাছে শুনেছি- সে YOGA শিখে, চাইনিজরা বিশেষ করে মেয়েরা স্লিম ফিগারের জন্য যোগ ব্যায়াম শিখে, সেখানে একটা মেয়ে অন্য মেয়েদের সামনেই ড্রেস চেঞ্চ করে,এটাকে তারা লজ্জার বিষয় মনে করে না।

চীনে গোসল করার জন্য বিশেষ ব্যবস্হা- বাথটাবের মত তবে বড় আবার সেটা সুইমিং পুলের মত অত বড় না। সেখানে টাকা দিয়ে গোসল করতে হয়। চাইনিজ ছাত্রদের dormitory তে গোসলের কোন ব্যবস্হা নেই,ওরা বাইরে গিয়ে টাকা দিয়ে গোসল করে আসে। এজন্য ওরা সাধারনত ৩/৪ দিন পরপর গোসল করে। গোসলখানা –য়্যু শি 浴室 গোসল করা- সি জাও গোসলখানা আর একটা আচানক জায়গা- কাপড়চোপড় খুলে পুরোপুরি নগ্ন হয়ে সবাই একসাথে গোসল করে।

আমরা ৩ housemate একদিন গেছি সেখানে- সব চাইনিজ পুরুষই পুরোপুরি নগ্ন কিন্তু আমরা আন্ডি পড়ে গোসল করতেছি এটা চাইনিজদের কাছে অবাক লাগতেছে-ওরা আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে- যেন কেন এরা কাপড় খুলে গোসল করছে না-এটাই ওদের কাছে বিস্ময়!! আর এক আফ্রিকান ছেলে-ও যেই আন্ডি খুলেছে ,সবগুলো চোখ ওর দিকে! তবে ছেলেমেয়েদের গোসলখানা আলাদা আলাদা। Swimming- ইয়ৌ ইয়োং আর যেগুলো সুইমিং পুলের মত না- আমাদের বাংলাদেশের university r shower এর মত কমন- অনেকগুলো একসাথে- সেখানে difference শুধু একটাই- কোন বাথরুমের ই দরজা নেই!! বাংলাদেশে মেয়েদের dressing room, shower এর জায়গায় গোপন ক্যামেরা সেট করে সেগুলোর ভিডিও ধারন করে অনেকে ব্যবসা করতেছে কিন্তু china তে সে সুযোগ নেই- Chinese government law is very strict. ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।