যুক্তরাষ্ট্রের প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের কাছে বিয়েটা এখন আর বন্ধন নয়—একধরনের বিলাস। তাঁদের অনেকে মনে করেন, বিয়ে এক টুকরো কাগজের সম্পর্ক ছাড়া আর কিছুই নয়। বিয়ের বদলে লিভ টুগেদারই এখন মার্কিন নারী ও পুরুষদের কাছে বেশি পছন্দের। এমনকি সন্তান থাকলেও বিয়ের ব্যাপারে আগ্রহী নন নারীরা। তাই যুক্তরাষ্ট্রে দিন দিন অবিবাহিত নারীর সংখ্যা বাড়ছে।
বাড়ছে অবিবাহিত মায়ের সংখ্যাও। অবিবাহিত এসব মায়ের বয়স ৩০ বছরের নিচে।
গত পাঁচ দশকে মার্কিন নারীদের জীবনে বেশ বড় ধরনের একটা পরিবর্তন এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরের জরিপে জানা গেছে এমন তথ্য। নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সেন্টার ফর হেলথ স্ট্যাটেসটিকসের এক জরিপে জানা যায়, ১৯৯০ সালে এক-তৃতীয়াংশ মার্কিন শিশুর মা ছিলেন অবিবাহিত। আর এখন ৫৩ শতাংশ মার্কিন শিশুরাই অবিবাহিত মায়ের সন্তান। কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই হার আরও বেশি। ৭৩ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ শিশুই অবিবাহিত মায়ের সন্তান। এতে করে শিশুদের জীবনও বদলে যাচ্ছে।
তাদের মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে, দারিদ্র্য বাড়ছে, অনেকেই স্কুলের পড়াশোনা শেষ করতে পারছে না।
যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পশহর লোরেনের বাসিন্দাদের বেশির ভাগই মধ্যবিত্ত। মধ্যবিত্ত নারীরা চাকরি করেন। নিজেদের উপার্জনে জীবযাপন করেন। ওই শহরের অবিবাহিত এক মা আম্বার স্ট্রাডার।
তাঁর বয়স ২৭। ছেলেবন্ধুটি অর্থনৈতিকভাবে পুরোপুরি আম্বারের ওপর নির্ভরশীল। এতটাই নির্ভরশীল যে তাঁর সিগারেটও কিনে দিতে হয় আম্বারকে। তাঁদের দুটি সন্তান। কিন্তু ওই বন্ধু আম্বারকে বিয়ে করতে চান না।
আম্বারও বিয়ের ব্যাপারে তেমন আগ্রহী নন। লোরেন শহরে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী আরেক নারী তেরেগা ফ্রাগোসো বলেন, ‘আমরা নিজেরাই সন্তানদের ভরণপোষণ করতে পারি। তাই বিয়ের কী দরকার?’
তবে সমাজতাত্ত্বিকেরা এর বিপক্ষে। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতাত্ত্বিক অ্যান্ু্ভ্র্র চার্লিন বলেন, সব সময় লাভের কথা না ভেবে সামাজিক বন্ধনের জন্যই বিয়ে করা উচিত। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।