ভাবতে অবাক লাগে যে যেই দেশের কিছু মানুষ একটি ইসলামিক সেন্টার স্থাপনের বিরোধিতা করে রীতিমত সংগ্রাম করছে সেই দেশেরই কত স্থানে মুসলিমদের সুবিধার্থে সরকার এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাচ্ছে। মিনেসোটার সেইন্ট ক্লাউড বিশ্ববিদ্যালয় তার একটি উদাহরণ। মিনেসোটাতে অবস্থিত এই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়টি এই বছর তাদের মুসলিম ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে ক্যাফেটেরিয়াতে হালাল খাবারের ব্যবস্থা করেছে।
এই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাধারণত রাতের খাবারের সময় বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত হয়ে থাকে। দেশী মানুষদের জন্য ব্যাপারটা অনেক সময় কঠিন কারণ আমাদের রাতের খাবার খেতে খেতে রাত দশটাও বেজে যায়।
সে যাই হোক, যেই দেশে যেই নিয়ম। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়টি তাদের মুসলিম ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে এই বছর ইফতারের ওয়াক্ত পর্যন্ত ক্যাফেটেরিয়া খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুধু তাই না মুসলিম ছাত্রছাত্রীরা চাইলে তাদের সেহরীর জন্য বক্সে করে খাবার নিয়েও যেতে পারবে ক্যাফেটেরিয়া থেকে। এমনিতে নিয়ম অনুযায়ী ক্যাফেটেরিয়া থেকে ছাত্রছাত্রীরা খাবার বাইরে নিতে পারেনা – যা খাবার ভিতরে বসেই খেতে হয়।
হিমায়িত খাদ্য (frozen meal) এই দেশে জনপ্রিয়, বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীদের মাঝে।
ব্যস্ত জীবনে অনেক সময়ই ফুরসৎ মিলেনা বাসায় ফিরে রান্না করবার। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ক্যাম্পাসে অবস্থিত বিভিন্ন convenience store এ হালাল হিমায়িত খাদ্য রাখারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ধারণা করছি এই দেশের আরও অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ও তাদের মুসলিম ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে এই ধরণের আলাদা ব্যবস্থা করে থাকে যেটি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।