তারা দুজন বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের দুই শহরে ঈদের জামাতে শামিল হন। আরেক শহর ভার্জিনিয়ায় ঈদের জামাতে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফখরুদ্দীন।
তিনি এখন ওয়াশিংটনে রয়েছেন। সেখানেই হিল্টন হোটেলে তিনি বাংলাদেশিদের সঙ্গে ঈদের নামাজ পড়েন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে সেনাপ্রধান মইন ঈদের নামাজ পড়েন ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচের নর্থ লেইক ্ঈদগাহ মাঠে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা জেনারেল মইন নিউ ইয়র্কে থাকলেও ঈদ করতে ফ্লোরিডা যান একমাত্র ছেলে নিহাদ আহমেদের কাছে।
ফখরুদ্দীন ও মইন আহমেদের সময়কার সমালোচনা এখনো দুই প্রধান দলের রাজনীতিকদের মুখে রয়েছে। তাদের দুজনকে সংসদীয় একটি কমিটি তলব করলেও তাতে সাড়া দিয়ে তারা দেশে আসেননি।
প্রধানমন্ত্রীর ছেলে জয় থাকেন ভার্জিনিয়ায়, ঈদের নামাজও সেখানেই পড়েছেন তিনি।
রমজানের মধ্যেই সস্ত্রীক দেশে ফিরে জয় কয়েকটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিলে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়। জয় বলেছেন, আওয়ামী লীগকে পুনরায় ক্ষমতায় ফেরাতে কাজ করছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রে বৃহস্পতিবার ঈদ উদযাপন হলেও বাংলাদেশে ঈদ হবে শুক্রবার।
যুক্তরাষ্ট্রে বৃহস্পতিবার বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও কোথাও বৃষ্টিতে ঈদের নামাজ ব্যাহত হয়নি। নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি একসঙ্গে ঈদের নামাজ পড়েন।
নিউ ইয়র্ক সিটি মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ কুইন্সে বাংলাদেশিদের পরিচালনাধীন জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে সমবেত মুসল্লিদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
ঈদ উপলক্ষে মুসলিম সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও।
নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি, পেনসিলভেনিয়া, কানেটিকাট, ম্যাসেচুসেটস, ফ্লোরিডা, ওয়াশিংটন ডিসি, জর্জিয়া, ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, আরিজোনা, মিশিগান, ইলিনয়, ওহাইয়ো, মিনেসোটার পৌনে দুইশ’ মসজিদ এবং ৩৬টি মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
ঈদের নামাজ শেষে নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিন, কুইন্স, ব্রঙ্কসের বাংলাদেশি এলাকায় নতুন পোশাক পরে বাংলাদেশি ছেলে-মেয়েদের দল বেঁধে উৎসব করতে দেখা যায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।