সাদামনের মানুষ আমি : প্রথমতো সবকিছু সন্দুররূপেই দেখতে চাই... ছেলেটি প্রথমত মেয়েটিকে পাত্তাই দিত না এবং একপ্রকার অবহেলাই করত বলা চলে; কিন্তু অতঃপর, ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে আপনত্ব এবং বাড়তে থাকে বন্ধুত্বের প্রভাব; আস্তে আস্তে দুজনের সম্পর্ক গভীর হয় এবং সারা দেয় একেঅপরের লোবাসায়; দুজন জীবন নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখে; ভবিষ্যৎকে আঁকতে থাকে রংঙিন সুতায়; আর এভাবেই বেড়ে ওঠে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির অনির্মিত হিসাব নিকাশ কিন্তু হঠাৎই মেয়েটি খেয়াল করল, ছেলেটি বদলে যাচ্ছে; আগের মতো আর সময় নিয়ে কথা বলে না; মোবাইল বন্ধ থাকে; কারণ জানতে চাইলেও সদুত্তর না দিয়ে বরং বারণ করে ব্যক্তিজীবন নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি না করতে মেয়েটি হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়ে, কি করবে ঠিক বুঝতে পারছে না, এবং কারো কারো কাছে শুনতে পায়, ছেলেটির জীবনে হয়তো অন্য কেউ ভীড় করেছে, তাই এই এড়িয়ে যাওয়া; মেয়েটি বিশ্বাস করতে পারে না, অসীম কষ্টে ভেঙ্গে পড়ে; বিঘ্নিত হয় তার প্রতিদিনের স্বাভাবিক জীবনযাপন; অনেক চেষ্টা করেও ছেলেটিকে ভুলতে পারে না; ক্রমেই যেনো, সে হারিয়ে যাচ্ছে; ভালোবাসার আঙিনা থেকে; লালিত স্বপ্নের ঘর যেনো, গড়ে ওঠার আগেই ঝরে ঝরে বিলীন হতে চলেছে... তাই, অবশেষ কোনো স্বান্তনার আশ্রয় না পেয়ে, হঠাৎই একদিন মাঝরাতে নিজের সাথে বোঝাপোড়ায় ব্যর্থ মেয়েটি আত্মহত্যা করে; আর রেখে যায় পরিবারের জন্য অসীম কষ্টের নীল পাহাড় মেয়েটি ছিল পরিবারের একমাত্র সন্তান, তাই স্বভাবতই ছিল বাবা'র সবচেয়ে প্রিয়; তাই একমাত্র মেয়ের এই অকালপ্রয়াণে আত্মহারা হয়ে ওঠেন হারিয়ে ফেলেন মানষিক ভারসাম্য; বিগত ১০ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও, আজো মেয়েটির পরিবার তার বাবার চিকিৎসা করিয়ে যাচ্ছে একটি মানসিক হাসপাতালে; আর তাদের সংসার চলছে শুধু বেচেঁ থাকা তাগিদে; বহুমুখী ধারদেনা এবং আত্মীয়স্বজনের অনিচ্ছুক সহযোগিতায় ছেলেটির কি হয়েছে তা আমি জানি না; হয়তো, বিয়ে করে সুখে আছে অথবা কষ্টে আছে অনুষোচনায় ছেলেটি নাহয় ভুলই করেছিল কিন্তু মেয়েটিও কি সঠিক কাজটি করেছে? এমন আমরা অনেকেই করি; অনেকেই আত্মহত্যার চেষ্টা করি; কেও মারা যায়, কেওবা বেঁচে থাকে; একটা ছেলে বা মেয়ের ভালোবাসা আমাদের কাছে এত বড় হয়ে যায় যে, সৃষ্টিকর্তার দেওয়া জীবন মূল্যহীন হয়ে যায়? বাবা মার ভালোবাসা কি এতই সস্তা? তাদের ত্যাগ কি কোনো মানেই রাখে না আমাদের জন্য? যে আত্মহত্যা করে, সে তো চলে যায়; কিন্তু পেছনে রেখে যায় এক অভিশাপ; যা তার পরিবার, কাছের মানুষকে ধ্বংস করে দেয়; ২ বছরের প্রেম ২৫ বছরের বাবা মার ভালোবাসাকে এতই তুচ্ছ করে তুলতে পারে একমুহূর্তে!? একবার যদি আমরা, দ্বিতীয়বারের মতো আত্মহত্যার আগে এই কথাটি ভেবে দেখতাম, তাহলে এর উত্তর হয়তো এমন পরিণতির হাত থেকে অনেক জীবনকেই পরিত্রাণ দিতে পারতো যারা ভালোবাসায় কষ্ট পেয়েছেন তাদেরকে বলছি, জীবনে সেই মানুষটিকেই সবকিছু ভাববেন না, যে আপনাকে কষ্ট দিয়েছে; ভালোমতো তাকিয়ে দেখুন আশেপাশে এমন অনেকেই আছে, যে শুধু আপনার মুখের হাসি দেখেই বেঁচে থাকে; এই পৃথিবীতে অনেকের কাছেই হয়তো আপনি কিছুই না, কিন্তু আপনার বাবা মার কাছে হয়তো আপনিই তাদের পৃথিবী সেই পৃথিবীকে এভাবে নষ্ট করবেন না; যা আপনি গড়ে দিতে অক্ষম...
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।