আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভারতীয় পণ্য বর্জনে হ্যাকারদের মত সফল হতে হলে

my country creat me a ginipig ভারত সীমান্তে মানুষ হত্যা করছে, ফারাক্কা, তিস্তা, টিপাইমুখ সর্বোপরি আন্তনদী সংযোগ প্রকল্রের মাধ্যমে বাংলাদেশকে মরুভূমিতে পরিণত করতে পাঁয়তারা করছে। একই সাথে তারা আমাদের সার্বভৌমত্বের প্রতীক সামরিক-বেসামরিক কেন্দ্রগুলোকে দুর্বল করার হীন ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। বাণিজ্যিক অসমতা এবং বিভিন্ন অপকৌশলের মাধ্যমে ধ্বংস করছে আমাদের শিল্পখাত। কিন্তু আমাদের বর্তমান সরকার সহ বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতায় থাকা সরকারগুলোর নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে কখনোই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এসবের উপযুক্ত প্রতিবাদ জানানো সম্ভব হয়নি, এখনো হচ্ছে না। এমনকি ক্ষমতাসীনরা বিরোধী দল দমনের নামে সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে কারণে-অকারণে স্টীমরুলার চালাতে অতি-উতসাহী হলেও কখনো ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একটি কথা বলার সাহসও দেখাতে পারেন না (এটা উভয় দলের জন্যই কম-বেশি সত্য)।

তাই স্বাধীনতা অর্জনে সহযোগী ভারত আমাদের স্বাধীনতার পর থেকে অনেকটা বিনা বাধায় গত ৪০ বছর ধরেই বন্ধুত্বের নামে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসননীতি চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও আমরা সব সময় ভারতকে আগ্রাসী হিসেবে নয় বরং বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে দেখে আসতে চেয়েছি। যাইহোক, সম্ভবত এই প্রথম, আমাদের আইটি এক্সপার্টরা হ্যাকিং করে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একটা কার্যকর প্রতিবাদ করেছে। যা আমাদের ক্ষমতাসীনদের দৃষ্টিতে অতি-বেয়াদবী এবং দন্ডনীয় বিবেচিত হলেও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে। হ্যাকারদের সমর্থনে এখন ভারতীয় পণ্য বর্জন করে অনেকেই এই প্রতিবাদে সম্পৃক্ত হতে চাচ্ছেন।

আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অটুট রাখতে প্রতিবাদ এবং যে কোন প্রকার আন্দোলন করার অধিকার আমাদের আছে। এ বিষয়ে অনেকে লেখা-লেখিও করছেন কিংবা অন্যভাবেও জনসচেতনতা তৈরি করছেন। ভারতীয় পণ্য বর্জন করতে সাধারণ মানুষ আগ্রহী হলেও কতিপয় বাস্তবতার কারণে এটা বর্তমানে সফল করা সম্ভব নয়। কিন্তু পরিপূর্ণভাবে সফল না হলেও পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিলে, ভারতকে একটা ভাল ঝাকুনি দেয়ার মত অবস্থা তৈরি করা সম্ভব। আমাদের তিন দিকে ঘিরে আছে ভারত।

আমাদের বাজারে, নিত্যপণ্য হতে শুরু করে শিল্পপণ্য, বিলাসপণ্যের বিশাল একটা অংশ জুড়ে আছে ভারতীয় পণ্য। তাছাড়া বাজারের কোন পণ্যটা ভারতীয় আর কোনটা আমাদের বা অন্য দেশের তাও সাধারণ মানুষের পক্ষে চিহ্নিত করা কঠিন। একই সাথে ভারতীয় কোন পণ্যের প্রতিস্থাপক হিসেবে আমাদের কাছে বিকল্প কি আছে, তাও অনেকের পক্ষে জানা সম্ভব না। তাছাড়া একই সাথে ভারতের সব পণ্য চিহ্নিত এবং বর্জন করা বাস্তব সম্মত বা বুদ্ধিমানের কাজ হবে বলেও মনে হয় না। তাই আমাদের কিছু বিষয় নিয়ে পড়া-শোনা করতে হবে।

বের করতে হবে, ভারত থেকে আমাদের দেশে আসা পণ্যের তালিকা। তারপর দেখতে হবে কোন কোন পণ্য আমরা সহজেই বর্জন কতে পারি। আর কোন কোন পণ্যের ক্ষেত্রে আমরা ভারতীয় পণ্যের বিকল্প ব্যবহার করতে পারি। তবে সবচেয়ে কার্যকর বিষয়টি হবে, যদি আমরা ভারতীয় পণ্যের এমন একটা তালিকা করতে পারি, যেসব ভারতীয় পণ্য বিশেষভাবে আমাদের বাজারের উপরেই নির্ভর করে আছে। আমরা যদি আমাদের বাজারের উপরে অতি-নির্ভরশীল ভারতীয় পণ্যের তালিকা করে একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্যও বর্জন করতে পারি তাহলে ভারত সরকারকে এটা নিয়ে অবশ্যই ভাবতে হবে; তারা আমাদের বিরুদ্ধে আগ্রাসননীতি অব্যাহত রাখবে নাকি সু-প্রতিবেশীর মত আচরণ করবে, সে বিষয়ে।

তাই অভিজ্ঞ এবং দেশপ্রেমিক তরুণ সমাজ সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান, দয়া করে এসব বিষয় নিয়ে ভাবুন। এবং পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত জনসাধারণের কাছে সর্বরাহ করে তাদের করণীয় সম্পর্কে সচেতন করতে এগিয়ে আসুন। তাহলেই আমাদের উদ্দেশ্য সফল হতে পারে। এসব বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সর্বরাহ করা সম্ভব করা হলেই হ্যাকারদের পাশাপাশি ভারতীয় আগ্রাসননীতির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকেও সম্পৃক্ত করা সম্ভব হবে। আর সাধারণ মানুষকে একবার কার্যকর প্রতিবাদের মিছিলে যুক্ত করতে পারলে ভারত আমাদের কাছে কোণঠাসা হতে বাধ্য।

 ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.