বিপ্লব বিপ্লব করে যখন তোর দেশ মা কেঁদে ওঠে, মায়ের সেই করুণ আর্তনাদ তোর কর্ণে পৌছায় না, এত সময় কই তোর! তোকে তো মার্ক্সবাদ,লেনিনবাদ জানতে হবে! তত্ত্বজ্ঞানে তোকে তো সেরাদের সেরা হতে হবে, নইলে যে তুই বিপ্লবী হতে পারবি না! তুই বিপ্লবের ধুয়ো তুলিস তোর খাতা কলমের নিদারুণ সংঘর্ষে, বিপ্লবের আহবানে তোর কী-বোর্ড জুড়ে চলে উন্মত্ত সাইক্লোন টর্নেডো। তত্ত্ব কথায় তুই ওস্তাদ,মাইরি বলছি! প্রশ্ন করছি তোকে,তোর টি শার্টে চে কেন এত টকটকে লাল? সত্যি করে বল,তোর বিপ্লবে কি চে তাহলে লজ্জা পেল? তোর বিপ্লবের জন্ম বইয়ের পাতায়,মৃত্যুও সেখানেই! কারণ তোর ঐ নরম দেহ যে কষ্ট সহ্য করতে পারে না, রাজপথে নামলে যে তোর পায়ে ফোসকা পড়ে যাবে, অরণ্যে গেলে যে তোর গায়ে হিংস্র শ্বাপদ আঁচড় দেবে! এত ক্লেশ যদি বিপ্লবে তবে কি তা বইয়ের পাতাতেই শ্রেয় নয়? বিপ্লবী,ও নবযুগের বিপ্লবী চোখ মেলে তাকিয়ে দেখ হিংস্র হায়না তোর মায়ের বক্ষ উন্মোচনে ব্যস্ত! কি খুব বেশি ঘা লাগল তোর আত্নসম্মানে? তাহলে কেন তুই এতদিন মরার মত চোখ বুজে ছিলি, যখন তোর দেশের প্রতিটি অঙ্গে ধর্ষকের হাতের স্পর্শ লেগেছে? বল,দেশটা কি তোর মা না? কেন বিপ্লব শুধু ঘরের অন্ধকারে লুকিয়ে থাকবে? যে মূর্খ বোঝে না বিপ্লব কী,মা-মাটি-দেশ কী, তাকে কেন তুই ‘মার্ক্সবাদ’এর মাহাত্ন্যে বর্ণনা করিস? তার মুখে বন্দুকের নল ঠেকিয়ে তাকে শিক্ষিত করে তুলতে পারিস না? কেন,শোষকের শক্তিমান আগ্নেয়াস্ত্রে তোর এত ভয়? তাহলে এ তুই কেমন বিপ্লবী? শুধু একবার বল, আর কত দানবের আগমন ঘটলে তুই বন্দুকের নল উঁচিয়ে রাজপথে নামবি? আর কত বেশি রক্তশোষক জন্ম নিলে তুই তোর বুকের কালো রক্ত ঝরাবি? আর কত বেশি দেরি হয়ে গেলে তুই সত্যিকারের একজন বিপ্লবী হবি?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।