একজন মানুষের সার্বিক কর্মকা- নিয়ন্ত্রিত হয় তার নিজ মনের সাহায্যে, চেতনে বা অবচেতনে। আপনি কিছু করার আগে আপনার মন, আপনার মস্তিষ্কে সে বিষয়ের একটা ছক আঁকে এবং সেভাবেই পরবর্তীতে আপনি তা করে থাকেন। যেমন ধরুন, আপনি কোথাও যাবেন। রওনা হবার পূর্বে আপনি আপনার গন্তব্যে কিভাবে যাবেন, কখন রওনা হবেন, কত সময় লাগবে, কি পোষাকে বেরুচ্ছেন ইত্যাদির একটা ছক আগেই মনের ভেতর সাজিয়ে নিয়ে সেভাবেই তা করতে চেষ্টা করেন বা করে থাকেন। প্রতিটি মানুষের ছোট বা বড় সব কর্মকা-ই এভাবে হয়ে থাকে অর্থাৎ মনে মনে একটা পরিকল্পনা করে সেভাবে তা সম্পূর্ণ করা।
আমরা হয়তো তা খেয়াল করে দেখি না।
সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে একটা সুন্দর প্রত্যাশায় আমরা যে কোন কাজ করে থাকি। প্রত্যাশিত ফল পেয়ে গেলে আনন্দিত হই। কিন্তু মাঝেমাঝে বা কারো কারো প্রায় সব সময়েই প্রত্যাশিত ফল প্রাপ্ত না হয়ে সব বিফলে যায়। অথচ সব ধরনের প্রস্তুতি ও প্রচেষ্টার কমতি ছিল না বা সুফল প্রাপ্তির সম্ভাবনাও ছিল প্রচুর।
কিন্তু কেন এমন হয়! আমরা তা তলিয়ে বা ভেবে দেখি না। আর ভাবলেও নিজ ভাগ্য বা অন্য কাউকে দোষারোপ করে থাকি। প্রকৃতপক্ষে যেকোন কিছু ভালভাবে হওয়া বা না হওয়ার পেছনে নিজের মনের একটা প্রভাব আছে এবং থাকে। চেতনে বা অবচেতনে তা প্রভাব ফেলে যায়, যা হয়তো আমরা অনেকে জানি না বা বুঝি না।
মানুষের মনের ভাবনা বা চিন্তা একটা শক্তিরূপে কাজ করে।
নিজের মনকে নিয়ন্ত্রিত রেখে সেই নিয়ন্ত্রিত মনের চিন্তা শক্তিকে ভাল ও ইতিবাচক কাজে ব্যবহার করতে পারলে অনেক ভাল ও উদ্দীপক ফল পাওয়া যায়। আমাদের চিন্তা-ভাবনাগুলো মূলত ভালো বা মন্দ দু’ধরনেরই হয়। ভাল বা ইতিবাচক চিন্তা আমাদেরকে জোগায় ভাল উদ্দীপক শক্তি, দেহ মনকে করে উজ্জীবিত, সৃজনশীল আর সুন্দর। আর মন্দ বা খারাপ বা নেতিবাচক কুচিন্তা মনের দিক থেকে এবং দেহের দিক থেকেও আমাদেরকে দুর্বল করে তোলে। এতে প্রেরণাধর্মী কোন শক্তিতো জোগায়ই না বরং সার্বিকভাবে দেহ-মনকে করে তোলে অবসাদগ্রস্ত, প্রেরণাহীন।
প্রতিটি মানুষের জীবনে থাকে সাফল্য, থাকে ব্যর্থতা। নিজের সাফল্য তা যত ছোটই হোক বা বড়ই হোকÑ আমরা তাকে খুব একটা গুরুত্ব দেই না, মূল্যায়ন করি না, মনে রাখি না। জীবনের সব সুখের কথা, ভাল ঘটনা, সাফল্য ইত্যাদি নিয়ে বেশি ভাবতে চাই না। সাফল্যের মাঝে যে কিছু কিছু দুঃখ-কষ্টের কথা, বেদনাময় স্মৃতি, খারাপ ঘটনা, ব্যর্থতা ইত্যাদি থাকে Ñতাকেই আমরা বেশি গুরুত্ব দেই তা জেনে হোক বা অজান্তেই হোক। এই গুরুত্ব দেয়াটাই জন্ম দেয় অনেক হতাশা, অনেক দুশ্চিন্তা আর অনেক টেনশনের।
প্রত্যাশিত কিছু না পেলে বা না করতে পারলে ভাবতে বসি, চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে শুরু করি কেন পেলাম না বা কেন হল না। আমারতো এমন হবার কথা ছিল না। কারো ব্যবহারে বা কথায় অনেক সময় আঘাত পাই, কষ্ট পাই। কেন এমন হল ভাবতে বসি। অতীতের আরো এ ধরনের কথা ভেবে মনকে ভারাক্রান্ত করে তুলি।
দেহ-মন হয়ে ওঠে বিষাদগ্রস্ত। কোন কাজ শুরুর আগে সমাপ্তি বা সাফল্য সম্পর্কে মনে আসে সন্দেহ, দ্বিধা-দ্বন্দ্ব। কোথাও রওনা হবার আগে পথে কোন দুর্ঘটনা বা দুর্ভোগের কথা মনের কোণে উঁকি দেয়। এসব কিছুরই পরিসমাপ্তি সুন্দর ও সাবলীল হয় না। প্রত্যাশিত ফলাফলে মন হয়ে যায় আশাহত।
দৈনন্দিন জীবনের প্রতি পদে পদে এমন চলতে থাকে। এটা হল নেতিবাচক মনোবৃত্তির বহিঃপ্রকাশ। দেহমন চেতনে-অবচেতনে নেতিবাচক ছন্দে আবর্তিত হতে হতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে সব ধরনের ‘না’ -এ। একসময় এধরনের চিন্তা-চেতনাটা আমাদের সহজাত প্রবৃত্তি হয়ে পড়ে। কখনো বা বুঝতে পারি যে, আমি একটা আবর্তে, একটা গন্ডিতে বাঁধা পড়ে গেছি, কিন্তু কিছুতেই তা থেকে বেরুতে পারি না বা উৎরাতে পারি না।
এভাবে চলতে চলতে জীবনে আসে জটিলতা, আসে হতাশা, আসে সন্দেহ, আসে উদ্যমহীনতা, আসে হীনম্মন্যতা, বাড়ে টেনশন, বাড়ে উৎকণ্ঠা। এরপর আস্তে আস্তে এসবের প্রভাব পড়তে থাকে মন ও শরীরে। একসময় আমরা কাবু হয়ে পড়ি মনোদৈহিক অসুস্থতায়, যেমনÑ ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, গ্যাষ্ট্রিক, এসিডিটি, রক্তচাপ ইত্যাদিতে।
আর জীবনের সব সুখের কথা, ভাল ঘটনা, ভাল লাগা, সাফল্য ইত্যাদিকে যদি সবসময় প্রাধান্য দিতে পারি তবে কিন্তু লাভবান হব আমরাই। জীবনের অনেক ছোট বড় বাধাকে উৎরাতে পারব অতি সহজেই, মন হয়ে উঠবে সাহসী, যে কোন ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কখনো ভীত হব না।
আপনার জীবন চলার পথে সর্বধরনের ভাল বা সুখের ঘটনা বা স্মৃতিকে প্রাধান্য দেয়া বা সবসময় মনে করাটাই পজিটিভ বা ইতিবাচক মনোবৃত্তি। এখন থেকে সব চিন্তা-চেতনার মধ্যে ইতিবাচক মনোবৃত্তিকে প্রাধান্য দিতে শুরু করুন। দেখবেন অবশ্যই লাভবান হবেন আপনি নিজে। উপকৃত হবেন আপনি, এর প্রভাব পড়বে আপনার সাথে সংশ্লিষ্ট আরো অনেকের ওপর। আপনার জীবনের ভাল ঘটনা বা সাফল্যের স্মৃতিটা কি ধরনের হবে? তা খুব ছোট হতে পারে বা বড়ও হতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়Ñ
ক) আপনার বয়স যখন ছিল ১০/১২ বছর, তখনকার কথা মনে করুন। সে সময় আপনি যাদের সাথে আপনার সময় কাটিয়েছেন বা হেসে খেলে বেড়িয়েছেন, তাদেরকে নিয়ে আনন্দময় ঘটনাবহুল যে কোন সময়টাই হতে পারে আপনার ভাল স্মৃতি, যা মনে করতে চাইলে আপনি এখনি তা পারেন এবং এ নিয়ে বর্তমানের কিছুটা সময় আনমনে কাটিয়ে দিতে পারবেন।
খ) অতীতে কোথাও বেড়াতে গেছেন। সেখানকার ঘটনাবহুল সুন্দর সময়গুলো এখনো চোখের সামনে ভাসে। প্রাকৃতিক কোন দৃশ্য এতো ভাল লেগেছিল যে, তা মনে গেঁথে আছে।
এটা একটা ভাল স্মৃতি।
গ) জীবনে অনেকবার আপনাকে পরীক্ষা দিতে হয়েছে। এর মধ্যে যেটাতে আপনি বেশি নম্বর পেয়েছেন বা ভাল করেছেন সেটা জানার পর আপনার অনুভূতি কেমন হয়েছিল সেটা স্মরণ করুন, এটা আপনার একটা সাফল্যের ভাল স্মৃতি।
ঘ) যিনি আপনার প্রিয় বা আপনি যার প্রিয়Ñ তার সান্নিধ্য আপনার বড় ভাল লাগে। তাকে নিয়ে সান্নিধ্যের সময়টুকু মনে করলে আপনার মনে যে অনুভূতি জাগে তা আপনার একটা ভাল স্মৃতি।
ঙ) আপনি জীবন চলার পথে শত বাধা-বিপত্তির মাঝেও টিকে আছেন, কষ্ট হলেও আপনি এগিয়ে যাচ্ছেন। এটা আপনার একটা বৃহৎ সাফল্য। এই সাফল্যের কথা ভাবলে আপনার ভাল লাগে।
আপনার জীবনে এমন আরো অনেক ভাল ঘটনা বা স্মৃতি আছে, যা আপনার মনকে দোলা দেয়, সাড়া দেয়। কিন্তু আপনি কেন যেন এগুলোকে বেশি গুরুত্ব দেননি।
কিন্তু যা আগে করেননি, এখন থেকে তাই করতে হবে আপনাকে। এই ইতিবাচক ঘটনা বা স্মৃতিকে বেশি মনে করতে হবে, বেশি প্রাধান্য দিতে হবে। কিন্তু কিভাবে তা করবেনÑ
১। আপনার জীবনে অনেক অনেক ভাল ঘটনা বা স্মৃতি আছে, এর থেকে আপনার ইচ্ছেমত যে কোন একটা ভাল ঘটনা বা স্মৃতিকে (তা যে সময়ের বা যেমনই হোক না কেন) বেছে নিন এবং নির্দিষ্ট করে রাখুন।
২।
বর্তমান সময়ে কোন কারণে আপনার দেহ-মন খারাপ লাগছে। কারো কথা বা ব্যবহারে আপনি আঘাত পেয়েছেন। অতীতের অনেক খারাপ ঘটনা বা স্মৃতি আপনাকে কষ্ট দিচ্ছে। কোন কাজ বা সৃষ্টিতে মনোনিবেশ করতে পারছেন না। কিছু কিছু অসাফল্যের ঘটনা আপনার চলার পথকে বিঘিœত করছে।
দিনে দিনে আপনি নিজের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলছেন। অনেক বিশ্বাসে ফাটল ধরছে যেন। আপনি উদ্যমী ছিলেন কিন্তু এখন কেমন যেন হতোদ্দম হয়ে পড়ছেন। অল্পতেই নিরাশ হয়ে পড়ছেনÑ নিজেকে ধরে রাখতে পারছেন না। কখনো কখনো অল্পতে রেগে যাচ্ছেন।
যেকোন ব্যাপারে টেনশন করছেন যখন তখন। কোন্ কাজে হাত দেবেন বা কোথাও রওনা হবেন Ñআগেই অমূলক কিছু ভেবে বসছেন, সন্দেহ পোষণ করছেন সাফল্য সম্পর্কে। সব কিছুতেই দোদুল্যমান অবস্থা। এসব কারণে সম্পর্কের অবনতিও ঘটেছে কখনো। শরীর একটু খারাপ লাগলে আপনি ভেবে বসছেন এই বুঝি আবার অসুস্থ হয়ে গেলাম।
অন্যের অবস্থানের সাথে নিজের অবস্থানের তুলনা করে মন খারাপ করেন এবং হীনম্মন্যতায় ভোগেন। ছোট-বড় অনেক সমস্যা নিয়ে অহেতুক দুশ্চিন্তা, কি পাইনি আর কি পেলাম এই নিয়ে আহাজারি চলে কখনো কখনো। এসবই নেতিবাচক চিন্তা-ভাবনার ফল, নেতিবাচক মনোবৃত্তি।
৩। যখনই উপরে উল্লেখিত যেকোন ধরনের নেতিবাচক চিন্তা-ভাবনা বা নেতিবাচক মনোবৃত্তি আপনাকে ব্যতিব্যস্ত করবে এবং আপনি এগুলো থেকে মুক্তি পেতে চান তখনই ঐ যে আপনার ভাল স্মৃতি বা ঘটনা (ইতিবাচক মনোবৃত্তি) বেছে নির্দিষ্ট করে রেখেছিলেন সেটাকে মনে করুন এবং তা নিয়ে কিছুটা সময় কাটান (পাঁচ থেকে পনের মিনিট)।
দেখবেন আস্তে আস্তে আপনার ভাল লাগতে শুরু করবে। এভাবে যখনই কোন অসুবিধায় পড়বেন তখনই এটা করুন। নিয়মিত প্রত্যহ কয়েকবার এটা করুন। কিছুদিন এভাবে অনুশীলন করার পর আপনি নিজেই অবাক হয়ে যাবেনÑ আপনার অনেক খারাপ দিকই আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন, সব ধরনের ঘটনাকেই খুব স্বাভাবিক ও সহজভাবে নিতে পারছেন, অনেক বিপদেও মন শান্ত রেখে, দুশ্চিন্তা না করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন। প্রতিটি কাজ আপনি যেমন চাচ্ছেন তেমনই হয়ে যাচ্ছে।
ধীরে ধীরে আপনার আত্মবিশ্বাস বেড়ে মনোবল দৃঢ় হবে। জীবনটা আপনার কাছে নতুন আঙ্গিকে ধরা দেবে। আপনার অনেক দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে যেতে থাকবে।
এখন থেকে আপনি যেটা করবেনঃ
১। সব ইতিবাচক ঘটনাকে গুরুত্ব ও প্রাধান্য দেবেন তা যত ছোটই হোক।
২। প্রতিটা কাজ শুরুর সময় অতীতে যে কাজে আপনি সফল হয়েছেন তা মনে করে কাজে হাত দেবেন।
৩। কোথাও রওনা হবার বা কোন কাজ আরম্ভের সময় একটা বিশ্বাস রাখুন যে, আপনি গন্তব্যে সুন্দরভাবে পৌঁছবেন বা কাজে প্রত্যাশিত ফল পাবেন।
৪।
যখন যেখানে যে অবস্থানে থাকবেন তাতেই নিজেকে সুখী বা সন্তুষ্ট মনে করবেন।
৫। নিজেকে নিজের প্রতিযোগী সাজাবেন। নিজের বর্তমান অবস্থান থেকে সম্ভাব্য পরবর্তী অবস্থানে যাবার জন্য সেভাবে নিজের সাথে প্রতিযোগিতায় নামুন। কখনো অন্যের সাথে নিজের তুলনা করে প্রতিযোগিতায় নামবেন না।
তাতে ভালর চেয়ে মন্দ হবার ঝুঁকি থাকে প্রচুর।
৬। দিন শেষে রাতে ঘুমাতে যাবার সময় সারাদিনে আপনার তাবৎ কর্মকা- থেকে বেছে বেছে শুধু ঐ দিনের সব ধরনের সাফল্যের কথাগুলো মনে করুন। দেখবেন সুন্দর ঘুম এসে যাবে। সামনের দিনটাও হবে সাফল্যময়।
৭। সব প্রত্যাশিত সাফল্যে ধন্যবাদ দিবেন সৃষ্টিকর্তাকে, নিজকে, নিজের মনকে।
৮। খুব রেগে গেলে বা কোন কারণে নিজের ক্রোধ চেপে রাখতে না পারলে, তাৎক্ষণিকভাবে গভীর করে ফুসফুস ভরে নাক দিয়ে শ্বাস নিন এবং কিছুক্ষণ আটকে রেখে মুখ সরু করে মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস ছাড়–ন। দেখবেন সাথে সাথে ফল পাবেন।
৯। মনে মনে বলুন ‘দিনে দিনে আমি ভাল থেকে আরো ভাল হব। ’
এখন থেকে যা একেবারেই করবেন নাঃ
ক) জীবনের সব ধরনের নেতিবাচক চিন্তা-ভাবনা, মনোভাব ইত্যাদিকে আর প্রাধান্য দেবেন না।
খ) যেকোন কাজের প্রত্যাশিত ফলাফলে কখনো সন্দেহ করবেন না।
গ) যেকোন কিছু শুরু করতে যেয়ে কখনো অতীতের কোন বিফলের কথা ভুলেও মনে আনবেন না।
ঘ) অন্যের সাথে নিজের কোন বিষয়ে তুলনা করবেন না।
ঙ) ‘এটা হবার নয় বা অসম্ভব’ এমন কথা কখনো ভাববেন না। বরং উল্টোটা ভাবতে চেষ্টা করুন।
চ) সব ধরনের অমূলক, বিনাশী ও অশ্লীল চিন্তা-ভাবনা ও কথা-বার্তা থেকে নিজকে বিরত রাখুন।
ছ) কথায় ও ব্যবহারে কাউকে আঘাত করার বা দেবার ইচ্ছা সংযত করুন।
উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো আত্মস্থ করে অনুশীলন করুন এবং সার্বিকভাবে সুস্থ থাকুন, সুন্দর থাকুন। জীবনের সব কিছুকে সহজ ও সাবলীলভাবে গ্রহণ করুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।