বাংলাদেশীদের পক্ষে কাজ শুরু করেছে অ্যানোনিমাস,সাইবার যুদ্ধ রূপ নিচ্ছে সাইবার বিশ্বযুদ্ধে
↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓
↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓ ↓
বাংলাদেশী এবং ভারতীয় হ্যাকারদের মধ্যে সাইবার যুদ্ধ ধীরে ধীরে প্রকট আকার ধারণ করছে। এটি এখন আর কেবল এ দু'দেশের সাইবার যুদ্ধই নয়, ইতিমধ্যে আরও কয়েকটি দেশের হ্যাকাররা একেক পক্ষাবলম্বন করে যুদ্ধে নেমেছে। পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, ইসরায়েল, সৌদি আরব, সিরিয়া এবং রাশিয়ার সাইবার যোদ্ধারা একেক দেশের পক্ষ নিয়েছে। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তান, সৌদি আরব, সিরিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ারসাইবার যোদ্ধারা বাংলাদেশের পক্ষ হয়ে কাজ করলেও ইসরায়েল এবং রাশিয়ারসাইবার যোদ্ধারা রয়েছে ভারতের পক্ষে। এদিকে, বাংলাদেশকে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় হ্যাকার দল অ্যানোনিমাস ।
বাংলাদেশ ব্লাকহ্যাট হ্যাকারস গ্রুপের একজন সদস্য জানান, এমনিতেই বাংলাদেশী সাইবার যোদ্ধারা অনেক দক্ষ। আর এ যুদ্ধের যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের অধিকাংশ সদস্যই দেশের বাইরে থাকেন, তাই সেসব দেশের হ্যাকারদের সঙ্গেও তাদের যোগাযোগ রয়েছে, নিয়মিত সমর্থন-সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে তাদের। আমরা বিশ্বব্যাপী কোটি মানুষকে আমাদের বার্তা জানাতে পারছি। বিএসএফ সদস্যদের নির্মমতার কথা প্রকাশ পাচ্ছে আমাদের হ্যাকিং করা ওয়েবসাইটগুলোর মাধ্যমে। বাংলাদেশ এবং ভারতের এ সাইবার যুদ্ধে ভারতের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অ্যানোনিমাসের ব্যাপক সহায়তা পাচ্ছি আমরা।
তাঁরা নিয়মিত আমাদের খোঁজখবর নিচ্ছে, গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা টুলস এবং শেল সরবরাহ করছে। আক্রমণের ব্যাপারে নানা পরামর্শও পাচ্ছি তাদের কাছ থেকে।
এদিকে বাংলাদেশী হ্যাকারদের আক্রমণ প্রতিমুহূর্তেই বাড়ছে। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশী হ্যাকাররা অন্তত ১৫ হাজার ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ে সক্ষম হয়েছে, সবাই বিচ্ছিন্নভাবে হ্যাকিংকার্যক্রম চালাচ্ছে বলে নির্দিষ্ট কোন পরিসংখ্যান পাওয়া যাচ্ছেনা। এছাড়া বাংলাদেশী হ্যাকাররা একাধিক সার্ভার রুট করতে সক্ষম হয়েছে যেগুলোতে কয়েক হাজার করে ওয়েবসাইট হোস্ট করা রয়েছে।
বিকাল থেকে ভারতীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সার্ভারে ডিস্ট্রিবিউটেড ডিনায়েল সার্ভিস অ্যাটাক (DDoS) চালাচ্ছে হ্যাকাররা। হ্যাকারদের সঙ্গে এ আক্রমণে যোগ দিয়েছে সাধারণ অনেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী।
আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের ধারায় চলতেথাকা বাংলাদেশ ভারতের হ্যাকারদের সাইবার যুদ্ধ ইতিমধ্যেই প্রায় আন্তর্জাতিক রূপ নিয়ে ফেলেছে। বিষয়টির সুরাহায় দু’দেশের সরকার বা দায়িত্বশীল সূত্র এ বিষয়ে এখনও কোনপদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানা যায়নি। তবে সাইবার আক্রমণ থেকে নিজ নিজ দেশের সাইটগুলো বাঁচাতে তৎপর হয়ে উঠেছে বলে সংবাদ পাওয়া গেছে।
কিন্তু বাংলাদেশ-ভারত সাইবার হ্যাকারদের লড়াই যে পর্যায়ে পৌঁছেছে তা যে কোনও সময়ে উভয় দেশের জন্যই বিপর্যয়র কোন পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে বলে সচেতন মহল মনে করছেন।
সুত্রঃ এখানে ক্লিক করুন ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।