আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তিস্তা চুক্তিতে মমতাকে রাজি করাতে মনমোহনের উদ্যোগ

তিস্তা চুক্তিতে মমতাকে রাজি করাতে মনমোহনের উদ্যোগ বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তিতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে রাজি করাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং উদ্যোগ নিয়েছেন বলে খবর দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা। শনিবার আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের তীব্র আপত্তিতে ঢাকা সফরে গিয়েও চুক্তি বাস্তবায়িত করতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী। ঢাকা সফরের পাঁচ মাস পরে এ ব্যাপারে মমতার সমর্থন আদায় করতে নতুন করে উদ্যোগী হয়েছেন মনমোহন। তিস্তা চুক্তির ফলে পশ্চিমবঙ্গ জল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে যে অভিযোগ রাজ্যের পক্ষ থেকে তোলা হয়েছিল সে দিকগুলো খতিয়ে দেখছেন তিনি নিজেই। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, তিস্তা চুক্তির বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব রঞ্জন মাথাই এ মাসের শেষ দিকে কলকাতা গিয়ে মমতার সঙ্গে দেখা করবেন।

মনমোহন সরকার মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবেন, পশ্চিমবঙ্গ তিস্তা চুক্তিতে কোনো ভাবেই বঞ্চিত হবে না। তিস্তায় প্রবাহিত পানির শতাংশের ভিত্তিতে ভাগাভাগির কথা বলা থাকবে, গঙ্গা চুক্তির মতো কে কত কিউসেক পানি পাবে তা উল্লেখ থাকবে না। মমতার দাবি মতো গজলডোবা বাঁধ থেকে বাংলাদেশকে ২৫ শতাংশ পানিই দেয়া হবে। আর দোমোহনিতে নদীর শাখা ও বৃষ্টির পানিতে পুষ্ট এলাকা থেকে বাকি ২৫ শতাংশ পানি দেওয়া হবে। এতে বাংলাদেশের ৫০ শতাংশ পানির দাবি মেটানো সম্ভব হবে।

এ বিষয়টি নতুন খসড়া চুক্তিতে রাখা হচ্ছে। মমতাকে জানানো হবে, তিস্তা চুক্তি হবে অন্তবর্তীকালীন। আগামী দশ বছর তিস্তায় পানির প্রবাহ দেখে ওই চুক্তি স্থায়ী করা হবে কিনা তা চূড়ান্ত করা হবে। খসড়া চুক্তিটি সংশোধন করার বিষয়টি বাংলাদেশকেও জানানো হবে। বাংলাদেশকে বোঝানো হবে, চুক্তি সংশোধন করলে বাংলাদেশের ভাগের পানি কমবে না বরং সমস্যা সমাধানের একটি পথ পাওয়া যাবে।

তা না হলে চুক্তি হবে না। মমতাকে কেন্দ্র আরও বোঝাবে যে, দুদেশের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে তিস্তা চুক্তি হওয়া একান্তই প্রয়োজন। কারণ তিস্তা চুক্তি না হওয়ায় বাংলাদেশ পণ্য চলাচলের জন্য ট্রানজিট সুবিধা দেওয়ার অনুমতি দিতে চাইছে না। প্রতিবেদনে বলা হয়, তিস্তা চুক্তিসহ অন্যান্য বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে একটি সংসদীয় দলও পাঠাচ্ছেন মনমোহন। সেই দলে মমতার তৃণমূলের প্রতিনিধিও থাকবেন।

মমতা বন্দোপাধ্যায়ের জোরালো বিরোধিতার কারণে গত সেপ্টেম্বরে তিস্তা চুক্তি আটকে যায়। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর তখনকার সফর থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন তিনি। মমতার অভিযোগ ছিল, ভারত সরকার চুক্তির জন্য যে খসড়া তৈরি করেছিল তা তাকে দেখানো হয়নি। তিস্তা চুক্তি না হওয়ায় বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের গণমাধ্যমেও ব্যাপক সমালোচনা হয়। বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ভারত সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।

এই পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং হতাশা প্রকাশ করে বলেন, চুক্তি না হওয়াটা দুঃখজনক। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।