কাজী নজরুল ইসলাম ও আব্বাসউদ্দিন আহমদ বাঙালি মুসলিম জাগরণের অগ্রদূত। এই যুগ্ম ভূমিকা জাতি সহসাই ভুলে যাবে, কেমন করে হয়। পিছিয়ে থাকা বাঙালি মুসলমান বিস্মৃতির অন্ধকার থেকে জেগে উঠেছিলেন যে ক'জনের হাত ধরে, তাদের মধ্যে প্রথম অগ্নিঝরা কবিকণ্ঠ : কাজী নজরুল, প্রথম শিরীন গীতকণ্ঠ : বাংলার বুলবুল আব্বাসউদ্দিন।
পিতা আব্বাসউদ্দিন ও পিতৃব্য নজরুল-এর ছবি ও পেইন্টিং সংগ্রহে দীর্ঘদিন, জীর্ণ অনেকাংশই। নজরুল সংশ্লিষ্ট ৮০টি ও আব্বাসউদ্দিন সংশ্লিষ্ট ৪৫টি, সর্বমোট ১২৫টি ছবি নিয়ে এই অ্যালবামে আশ্রয় নিয়েছেন : প্রমিলা, গিরিবালা, সব্যসাচী, অনিরুদ্ধ, উমা, কল্যাণী, শৈলজানন্দ, নাসিরউদ্দিন, কমল দাসগুপ্ত, ফজিলাতুন্নেসা, সুফি জুলফিকার হায়দার, খান মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন, এস্ ওয়াজেদ আলী, ওস্তাদ জমিরউদ্দিন খান, জসীমউদ্দিন, গোলাম মোস্তফা, প্রতিভা বসু, মুহাম্মদ আকরাম খাঁ, ইব্রাহিম খান, হবিবুল্লাহ বাহার, মুজফ্ফর আহমেদ, দিলীপ কুমার রায়, মহবুবুল আলম, ধীরেন দাস, শৈলেন রায়, কানাইলাল শীল, গিরীন চক্রবর্তী।
শত ব্যক্তির মাঝে কয়েকজনের ছবি। এগুলো এখন আর চট করে খুঁজে পাওয়া যাবে না, যে কারণে অ্যালবামটি মূল্যবান হতে চলেছে, কালকে যা ধারণ করেছে।
জাতীয় জীবনে তাঁরা বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন, অথচ নজরুল ও আব্বাসউদ্দিন-এর ছবি কোথাও খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। অফিস-আদালত-সভাঘর-স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, কোথাও নয়। ক্যামেরা, মোবাইল হাতে হাতে।
সেদিন ছবি তোলা হত সামান্যই। আজ ছবির মানুষও নেই, ছবিও নেই।
নজরুল লিখেছেন গান, আব্বাসউদ্দিন সেই গান কণ্ঠে ধারণ করে রেকর্ডের ও সভার মাধ্যমে, পৌঁছে দিয়েছেন সারা বাংলায়। নজরুল ও আব্বাসউদ্দিনের একসঙ্গে কোন ছবি নেই। এই যুগ্ম অ্যালবামে তাঁরা উপস্থিত আরেকটিবার।
জাতির ঘুম ভাঙিয়ে ছিলেন যাঁরা, তাঁদের ছবি বেসরকারী উদ্যোগে সুলভে সবার ঘরে পৌঁছে দেয়া প্রয়োজন বিবেচনায় ভাষা আন্দোলনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনকারী চট্টগ্রামের লব্ধপ্রতিষ্ঠ প্রকাশনা সংস্থা কোহিনূর প্রকাশন এগিয়ে এসেছেন। তাদের জানাই উষ্ণ অভিনন্দন। নতুন প্রজন্ম এটি সাগ্রহে সংগ্রহ করবেন বলে আমার বিশ্বাস।
- মুস্তাফা জামান আব্বাসী
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।