আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

(শুধুই হিন্দুদের সাথে মুসলমানদের তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে সৃষ্ট এটি তবুও এটিকে সাম্প্রদায়িক দাংগা হিসেবে চিহ্নিত করার অপচেষ্টা)হাটহাজারীতে দফায় দফায় সংঘর্ষ : ১৪৪ ধারা জারী (আইএনবিতে আমার আজকের নিউজটি লিড)

এখনো গেলনা আঁধার............... চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও ভাঙচুড়ের ঘটনায় ১৫ জনের মতো আহত হয়েছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চট্টগ্রাম খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি মহাসড়কে সড়ক অবরোধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ জনতা। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ব্যাপক কাঁদানোগ্যাস ও ফাকা গুলি ছোড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে প্রশাসন বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সেখানে অনির্দিকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এদিকে ঘটনা সমাধান করতে গিয়ে দুপুরে জাতীয় পার্টির নেতা স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যরিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ চৌধুরী এবং হাটহাজারী সার্কেলের এএসপি বাবুল আকতার বিক্ষুদ্ধ মুসল্লিদের হাতে লাঞ্চিত হয়েছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলার নন্দিরহাট এলাকায় স্থানীয় দুই দল লোকের মধ্যে সংঘটিত ঘটনার জের ধরে শুক্রবার দিনভর বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বলে জেলা পুলিশ প্রশাসনের নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা ও একাধিক এলাকাবাসী জানান। হাটহাজারী উপজেলা সদরের একজন ব্যবসায়ী নাম, পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে জানান এখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলে মনে হচ্ছে না। কি ঘটছে তা ঠিকভাবে জানা যাচ্ছে না। তবে যা ঘটছে তার চেয়ে গুজব বেশী। বিকাল সাড়ে ৫টা মিনিট থেকে রিক্সাযোগে মাইকিং করে ১৪৪ ধারা জারির খবর প্রচার করা হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়কের হাটহাজারী সদর এলাকায় প্রচুর ছোট ও মাঝারি গাড়ী চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। তবে সড়কে বড় গাড়ী চলাচল তেমন একটা নেই। প্রতিনিধি জিয়া চৌধুরী জানান, উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় যে কোন অনাকাংখিত ঘটনা এড়াতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। চট্টগ্রামে অবস্থানরত প্রাথমিক ও গনশিক্ষা মন্ত্রী ডা. আফসারুল আমিন বিকালে হাটহাজারী যান এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে উত্তেজনা নিরসনে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয় একটি সুত্র জানায়, হাটহাজারী এলাকার সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম মেম্বার ব্যরিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ সকাল থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে গিয়ে কিছু উশৃংখল মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়েন ।

স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নন্দীরহাট এলাকায় বৃহস্পতিবার হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে মুসলমানদের কয়েক দফা সংঘর্ষ, হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহষ্পতিবার হাটহাজারীর ফতেপুর ইউনিয়নে মসজিদ ভাংচুরের ঘটনার জের ধরে সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ সহ জেলা পুলিশের সদস্যরা মাঠে রয়েছে। হাটহাজারী আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা স্থাপনের চেষ্টা চালানোর সময় বিক্ষোভকারীদের হাতে লাঞ্চিত হন।

সুত্র জানায়, শুক্রবার সকাল থেকে স্থানীয় এলাকাবাসীরা চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি-রাংগামাটি মহাসড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে। এসময় অবরোধ কারীরা সড়কে চলমান বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাংচুর করে বলে জানা যায়। এতে করে মহাসড়কের শতশত যানবাহন আটকা পড়ে। হিন্দুরা মুসলমানদের মসজিদ ভাংচুর করেছে এই খবর প্রচার হলে হাটহাজারীর অন্যান্য ইউনিয়নেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় বিক্ষোভকারীরা নন্দীর হাটসহ হাটহাজারী সদরের বিভিন্ন জায়গায় ভাংচুর চালায়।

সংঘর্ষ চলাকালে সংখ্যালঘুদের বেশ কয়েকটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসীরা বিভিন্ন হিন্দু সম্প্রদায়ের যুবকরা কয়েকটি মসজিদে ভাংচুর চালায় বলে জানা গেছে। সুত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে হাটহাজারী উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের নন্দীরহাটস্থ লোকনাথ মন্দির এর বর্ষর্পুতি উপলক্ষে মন্দিরের পূর্নাথীদের একটা র‌্যালী এলাকা প্রদক্ষিনে বের হয়। র‌্যালীটি স্থানীয় কাজীপাড়া জামে মসজিদ এলাকায় পৌছলে মসজিদের মুসল্লীরা নামাজ চলাকালে ঢোল বাদ্য বাজাতে নিষেধ করে। এ নিয়ে মুসল্লিদের সাথে হিন্দু পূর্নাথীদের বাদানুববাদের একপর্যায়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষ হাতাহাতিতে লিপ্ত হয়।

এসময় র‌্যালীতে থাকা হিন্দুদের বিভিন্ন প্রতিমা এবং মসজিদের জানালার কাচ ভাংচুর করা হয়। এক পর্যায়ে হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে এবং উভয়পক্ষকে নিয়ে একটি সমঝোতা বৈঠকের প্রস্তাব দেয়। লোকনাথ মন্দির যুবসংঘের সাধারণ সম্পাদক রুপক দাশ জানান স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের উস্কানীতে মন্দিরে হামলা চালানো হয়েছে। হাটহাজারী ইসলামী ঐক্যজোটের নেতা মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনিরী জানান, মসজিদ ভাংচুরের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করা না হলে আরো অবরোধ অব্যাহত থাকবে। সুত্র এখানে  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।