আমি চাই অন্যের মাঝে নিজেকে দেখতে... পর্ব – ০১
আমার এ লেখাটি সবার ভাল নাও লাগতে পারে। কিন্তু দয়া করে সময় নিয়ে একটু যুক্তি সহকারে ভেবে দেখবেন কি ?
পৃথিবীতে হাজারো ধর্ম আছে। কিন্তু ভেবে দেখেছেন কি কোন ধর্মই কি কখনও তাদের অনুসারীদের খারাপ কাজ করতে বলে! আর যে অন্যায়, অত্যাচার বা যা কিছু খারাপ তার সাথে চলে তার ধর্ম কি! তাহলে আমরা ধর্ম নিরপেক্ষ হওয়ার ভান করি কেন? কেন নিজেদের ধর্মকে আঁকড়ে ধরতে পারি না। অনেকে বলবেন ধর্ম নিরপেক্ষ হলে সমস্যা কোথায় ? আপনার হয়তো ভাল পথে চলতে কোন দিক নির্দেশনা প্রয়োজন হয় না কিন্তু পৃথিবীর বেশির ভাগ মানুষেরই এটির প্রয়জন হয় একটি সময়। আপনি বলবেন পাগল ছাড়া সবাই ভাল মন্দ বুঝে...আমি বলবো পাগলকে আপমান করছেন কেন? পাগলও নিজের ভাল মন্দ বোঝে।
এই নিজের ভাল মন্দ কতটুকু বুঝা উচিত, আর অন্যের ভাল মন্দ বুঝারইবা শুরু আর শেষের লিমিটটা কত দূর হওয়া উচিত সেটাই আমাদের বলে দেয় ধর্ম। কি খুব সস্তা মনে হচ্ছে? ইসলাম ধর্মে আছে “তোমরা তোমাদের প্রতিবেশীদের ভাল-মন্দেরে খোজ নাও যদিও তারা অন্য ধর্মে বিশ্বাসী”......ঠিক অন্য ধর্মেও একি ধরনের কথা বলা আছে। এখন একজন ধর্ম ভিরু মানুষ ঠিক এই কাজটিই করবে কারন তার ধর্মের প্রতি তার বিশ্বাস আছে এবং সে মৃত্যুর পরের জীবনে বিশ্বাসী কিন্তু আপনি নিজেকেই প্রশ্ন করুন আপনি যদি একজন ধর্ম নিরপেক্ষ মানুষ হন বা আপনি যদি কোন ধর্মে বিশ্বাসী না হন তাহলে আপনি কি উপরের কাজটি করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করবেন বা কতদিন করেছেন, যা একজন ধর্ম ভীরু মানুষ প্রতিনিয়তই করে। সুতরাং আমরা কি পারি না নিজেদের ধর্মকে আঁকড়ে ধরতে এবং সে অনুযায়ী পৃথিবীটাকে সাজাতে।
এতো গেল মাত্র একটি উদাহরন।
আমি আসছি আরও বিশদ ব্যাখ্যা নিয়ে পর্ব-২ এ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।