আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভেজাল মুক্ত

ভেজাল মুক্ত ভেজালের সাম্রাজ্যে আমাদের বসবাস। কি সেলুকাস আমাদের এ পৃথিবী! একটা সাবান কিনব তা নকল। একটা স্নো কিনব সেটা আসল নয়। একটা শিশি তেল কিনব তাতে ভেজাল। পেষ্ট তা দুই নম্বর।

শিশু খাবার দুধ- সেটা আসল নয়। জুস খেলে মনে হতে পারে হয়ত সঠিক পানীয় কিন্তু চাল কুমড়ার সাথে ক্যামিক্যাল মিশিয়ে এটা বানায়। ব্রেড, বাটার, ভোজ্য তেল, গুড়া মরিচ-মশলা মানুষের বৃহদান্ত্র আর ক্ষুদ্রান্ত্রের গ্রহনোপযোগী নয়। এদেশে বাজারজাত কৃত ফল তো একসাথে সব পাঁকে কিন্তু পঁচে না। রাজশাহীতে আম বাগানে আম পরিপুষ্ট হবার আগে ক্যামিক্যাল ¯েপ্র করে দেয়।

দু-একদিন পর গাছ থেকে পেড়ে তা ট্রাকে উঠায় আর গন্তব্যে গিয়ে কি সুন্দর গাছ পাঁকা আম খায় মানুষে। হাইব্রীড জাতের টমেটো সাইজে একটু বড় হলেই আগাম মৌসুমে ক্ষেত থেকে তুলে ট্রাক ভর্তি করে রাসায়নিক পানি দিয়ে গোসল দেয়। গন্তব্যে গিয়ে লাল টুক্ টুক্ ট্রাক ভর্তি টমেটো দেখে ট্রাকের হেলপারের চোখ ছানাবড়া। কি যাদু দেখছি! কাল সন্ধ্যায় সবুজ টমেটো ঢেকে দিলাম খাঁকি তাঁবুতে, সকালে দেখি কি তামাশা? সবাই গিলছে বিজ্ঞানের সুফল! মাছ তো এক অবিনাশী পদার্থের নাম। পঁচবেনা, গলবে না, কিন্তু মানুষকে খেতে হবে।

হায়রে ফরমালিন! মরার আগেই তোমাকে শরীরে নিতে হলো। ফলে কিডনী, হার্ট, কলিজা, পাকস্থলী চলে গেল তোমার দখলে। এখন সামান্য পাতলা পায়খানা কন্ট্রোল হয় না। ডাক্তারগণ ডায়ারিয়া আক্রান্ত রোগীর ইকো, ইসিজি করে। আর রোগী মনে মনে হাসে (সফদার ডাক্তারের জামানা নয় তো?) নাকি ডাক্তারের মাথা খারাপ হলো? আমার তো মল-মুত্র পরীক্ষা করবে কিন্তু তা না করে, করছে কি? হচ্ছে কি? সত্যি, সত্যি পরে দেখা গেল টগবগে সেই যুবকের হার্টের দুটো ভাল্বই নষ্ট।

মুখে ক্রীম দিয়ে রং ফর্সা করে আজ চরম বিড়ম্বনায় অনেক সৌন্দর্য পিপাসু। রোদ আর সুর্য্যরে স্বাভাবিক আলোতেও যেতে পারে না। এমন বহু ভূক্তভোগী আছেন। যাক অনেক হলো। এক আকাশের তারা আমি একা গুণে শেষ করবো না।

একটা পথ বলবো ভালো হবার ভালো জিনিষ উপহার দেবার, ভালো জিনিষ ব্যবহার করার। যদি আপনী ভেজাল তৈরী করে, সরবরাহ করে আর ব্যবহার করে ভেজালী না হয়ে থাকেন তাহলে নির্ভেজাল পরামর্শটা কাজে লাগাবেন। ভেজাল মুক্ত থাকবেনঃ প্রথমতঃ কাঁচা বাজার আর মাছ কিংবা ফল-মূল সব্জি কেনার সময় ফড়িয়াদের ধরার জন্য খুচরা বিক্রেতাদের প্রশিক্ষিত করে তুলুন। যেমন তারা নকল আর আসল টাকা চেনে অনায়াসেই। আর দ্বিতীয়টি - ন্যূনতম ২০ টাকা মুল্যের কোন পণ্য বাজার জাত করতে হলে তার প্যাকেটের গায়ে একটি গোপনীয় কোড নাম্বার থাকতে হবে।

যে নাম্বারটি ঐ পণ্যের ক্রেতা আবরণমুক্ত করে তার মোবাইল ফোন থেকে একটি কমন নাম্বারে এসএমএস করবেন আর ফিরতি ম্যাজেসে উত্তর পাবেন তার কেনা পণ্যটি যথাযথ কোম্পাণীর কি না। অর্থ্যাৎ ভেজাল মুক্ত। Daily Inqilab ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।