আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডিমে ভেজাল

অন্ধকার দেয়ালে তোমার আলো জন্ম দেয় মিথ্যে ছায়াকে.....

আমাদের দেশে প্রায় সব কিছুতেই ভেজাল। ভেজাল মানুষ,ভেজাল খাদ্য,ভেজাল গনতন্ত্র,ভেজাল শিক্ষাব্যবস্থা-সব ভেজালে ভেজলারান্নিত। হোটেল গুলোতে অস্বাস্থ্যকর খাদ্য, ফলমূল যে কিনে খাব-তাতেও ভেজাল। ক্যামিক্যাল দিয়ে আম,কলা পাকানো এখন খুবি কমন ব্যাপার। তবে একটা ধারনা ছিল মুরগীর ডিমে ভেজাল থাকবে না।

কিন্তু ইদানিং দেখা যাচ্ছে ডিমেও ভেজাল সম্ভব। গত ২ মাস ধরে ব্যাপারটা লক্ষ্য করছি। দোকান থেকে ডিম কিনে বাসায় আনার পর দেখা যাচ্ছে কয়েকটি ডিম সূক্ষ ভাবে জোড়া লাগানো। ছবিটী দেখুন- লক্ষ্য করুন,ভাঙ্গা ডিমটা অসাধারন টেকনিকে সুপার-গ্লু বা অন্য কিছু দিয়ে জ়োড়া লাগানো হয়েছে। আরও দেখুন- কেনার সময় বোঝাই যায় না যে এগুলো ভাঙ্গা।

সাধারণত এরকম জোড়া দেয়া বেশিরভাগ ডিমই পচা থাকে। আমি কয়েকবার এরকম ডিম ফেরত নিয়ে গেছি। পচা থাকলে দোকানদার ফেরত নেয়। আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম এরকম ফাটা ডিম কারা জ়োড়া লাগিয়ে দেয়? তার জবাব ছিল,তাদেরকে বক্সে করে ডিম সাপ্লাই দেয়া হয়। হয়ত পাইকারী বিক্রেতারাই এভাবে জোড়া লাগিয়ে রাখে ও ভালো ডিমের ভেতর ঢুকিয়ে দেয়।

আর স্বাভাবিক ভাবেই প্রতিটা বক্সের প্রত্যেকটা ডিম দোকানদারের পক্ষে খুটিয়ে দেখা সম্ভব না। তাই এভাবে আমাদের কাছে চলে আসে। যাইহোক,খুচরা ও পাইকারী উভয় বিক্রেতাদের মাধ্যমেই কাজটা হচ্ছে বলে আমার মনে হয়। নিখুঁত দক্ষতায় জ়োড়া লাগানো ডিম যতই দেখি ততই অবাক হই আর ভাবি,দুনিয়ায় কুবুদ্ধির অভাব নাই।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।