আমি পথিক বেতনের দাবিতে সিঙ্গাপুরে দুটি প্রতিষ্ঠানের ২০০ বাংলাদেশি শ্রমিক অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছেন।
সোমবার সকালে সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে বড় আবাসিক এলাকা তামপাইনে সাত ঘণ্টার এই অবস্থান কর্মসূচি হয় বলে ইয়াহু নিউজ সিঙ্গাপুর জানায়।
নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সানওয়ে কনক্রিট লিমিটেড ও টেককম কনস্ট্রাকশনের এসব বাংলাদেশি কর্মী বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় তামপাইনস ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল স্ট্রিট ৬২-এর একটি খোলা মাঠে কর্মসূচি শুরু করে।
গত নভেম্বর থেকে বেতন দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন শ্রমিকরা। এছাড়া তাদের যেখানে খাবার খেতে দেওয়া হয় সে জায়গা নিয়েও অসন্তোষ জানান তারা।
সিঙ্গাপুরের সরকারি গৃহনির্মাণ প্রতিষ্ঠান হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (এইচডিবি) ভবন নির্মাণের জন্য সানওয়েকে প্রধান কন্ট্রাক্টর ও টেককমকে সাব-কন্ট্রাক্টর নিয়োগ করে।
শ্রমিকরা বলেন, এই কোম্পানিগুলো বিদেশি শ্রমিকদের বেতন এবারই প্রথম আটকায়নি। এর আগেও তারা কয়েকবার একই কাজ করেছে।
কে রবকুমার নামের এক বিক্ষোভকারী ইয়াহুকে বলেন, “সবারই একই সমস্যা। চার মাস ধরে কাউকে বেতন দেওয়া হচ্ছে না।
”
৩৫ বছর বয়সী এই শ্রমিক বলেন, তাদের নিয়মিত সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কাজ করতে হয়। যদিও আন্তর্জাতিক শ্রম আইনে দিনে আট ঘণ্টা কাজ করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া ব্যস্ত সময়ে রাত ১২টা পর্যন্ত কাজ করলেও কোনো ওভারটাইম দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ করেন তিনি। রবকুমার জানান, তারা দৈনিক ১৮ ডলার মজুরি ডান।
প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সোমবার নভেম্বরের বেতন এবং আগামী শুক্রবার ডিসেম্বর মাসের বেতন দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলে বিকাল ৩টার দিকে অবস্থান কর্মসূচি শেষ করেন বাংলাদেশি শ্রমিকরা।
ছোট্ট দেশে সিঙ্গাপুরে এই ঘটনা ঘটলেও সে দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করে এই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। দেশটিতে বাংলাদেশের হাই কমিশনার কামরুল আহসান বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ বিষয়ে আমরা কিছু জানি না। এ ধরনের ঘটনা এখানে খুবই কম ঘটে। এটা খুবই নিয়ন্ত্রিত জায়গা। কোনো কিছু ঘটলে সরকার আমাদের তা জানায়।
”
প্রবাসী কল্যাণ ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব জাফর আহমেদ খানও বলেন, এ বিষয়ে তাদেরও কিছু জানা নেই। “ শ্রম শাখাকে এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়ার জন্য বলবো আমরা,” বলেন তিনি।
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এ দেশটিতে প্রায় দুই লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছে বলে জানান তিনি।
সূত্র : বিডিনিউজ ২৪ডট কম। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।