তৃতীয় বিশ্বের নেতা হওয়ার জন্যে দুটি জিনিশ দরকার : বন্দুক ও কবর। বিদ্যুৎ দেশের উন্নয়নের চাবিকাঠি। জনজীবনে বিদ্যুৎ একটি অপরিহার্য অংশ। বিদ্যুৎ ব্যতিত এখন কিছুইু ভাবা যায় না। মোট কথা জীবনযাত্রার মানউন্নয়ন, কৃষি ও শিল্পে উৎপাদন বৃদ্ধি তথা দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকা-ে বিদ্যুৎ ছাড়া কিছুই সম্ভব নয়।
দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদার লক্ষ্য পূরণে জননেত্রী শেখ হাসিনার গণতান্ত্রিক সরকার অঙ্গিকারাবদ্ধ বিধায় বর্তমানে একটি সুনির্দিষ্ট কর্মসূচির মাধ্যমে দেশে রেন্টাল, আইপিপি ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড থেকে বিভিন্ন পিকিং প্ল্যান্টসহ স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী বিদ্যুৎ উৎপাদন সঞ্চালন ও বিতরণ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে বিদ্যুৎ সেক্টরের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থায় ও জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের সব চাকরি জরুরি ঘোষণা করায় আমাদের ঘড়ির কাঁটার ২৪ ঘণ্টা জনগণের সেবায় নিয়োজিত থাকতে হয়। কিন্তু সব খাটা-খাটুনি বা পরিশ্রমের জন্য বিদ্যুৎ সেক্টরের তথ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চাকরিরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের পুরস্কার স্বরূপ কোন ভাতা, বোনাস বা উন্নত বেতন কাঠামো নেই। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড হতে ডেসা, ডিপিডিসি, পিজিসিবি, ওজোপাডিকো, আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ইজিবিসি, নর্থ ওয়েস্ট বিদ্যুৎ কোংগুলো কোম্পানিতে রূপান্তর হওয়ার পর তাদের আলাদা বেতন কাঠামো নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে।
কিন্তু বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বর্তমানে অর্ধেক লোকবলে পরিচালিত হয়েও সিস্টেম লস আশানুুরূপ কমিয়ে, রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি এবং দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধিতে গতিশীল ভূমিকা রাখলেও বিউবোতে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীরা অপরাপর বিদ্যুৎ বিতরণ/উৎপাদন কোম্পানিগুলো থেকে সুবিধা বঞ্চিত। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মচারীদের অনেক দিনের একটি প্রাণের দাবি হচ্ছে 'বিদ্যুৎ সেক্টরের সব প্রতিষ্ঠানে একটি অভিন্ন বেতন কাঠামো চালু করা'। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মরত সবার জন্য অন্যান্য বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর মতো জাতীয় বেতন স্কেল থেকে উচ্চতর একটি বেতন স্কেল পাওয়ার ক্ষেত্রে জোর দাবি দীর্ঘদিনের। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও পাওয়ার গ্রিড করপোরেশন অফ বাংলাদেশ (পিজিসিবি) এর একই পদের কর্মকর্তার বেতন বৈষম্য নিম্নরূপ :
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড
নির্বাহী প্রকৌশলী
বেতন টাঃ ২২,২৫০/-
বাড়ি ভাড়া-৩০%
উৎসাহ বোনাস নেই
পিজিসিবি
ম্যানেজার
বেতন টাঃ ৪৫,০০০/-
বাড়ি ভাড়া-৪০-৫০%
বৎসরে ৩-৪টি উৎসাহ বোনাস দেয়া হয় এবং অন্যান্য সুবিধা
জননেত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সেক্টরকে ১ নম্বরে অগ্রাধিকার প্রদান করেছেন। জানা যায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎ সেক্টরের সব প্রতিষ্ঠান/কোম্পানিগুলোর বেতন কাঠামো ও সব সুযোগ-সুবিধা এবং একই ধাপে বা স্তরে করার লক্ষ্যে একটি নির্দেশনা প্রদান করেন।
সে লক্ষ্যে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড হতে একটি প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হলেও তা আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় বাক্স বন্দী হয়ে যায়, যা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সব স্তরের কর্মচারীদের হতাশ করেছে। এখানে উল্লেখ্য যে, দেশের চাহিদার ৮০% বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ ব্যবস্থা পরিচালন ও সরবরাহের দায়িত্বে বিউবো-এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দায়িত্বে নিয়োজিত। অনেক প্রতিকুলতার মধ্যেও বিউবো এর কর্মকর্তা/কর্মচারীরা বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল রাখার জন্য প্রতিনিয়ত সচেষ্ট। এ অবস্থায় বিউবো-এ কর্মরত সব কর্মকর্তা/কর্মচারীদের দাবি 'তাদেরও যে অন্যান্য বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর মতো একটি স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো হয়'। এ বিষয়ে গণতান্ত্রিক সরকার বিশেষ দৃষ্টি দিনে এ আশা আমাদের সবার।
অন্যথায় হয়ত ভবিষ্যতে দেশে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উপরও একটি বিস্ফোরণ হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।