কবিতা বসে টিনের চালা ঘরে-
দুঃসহ গরম!
মোটর-পাম্পের ঘো ঘো শব্দে
এ কথোপকথন-
নেমেছি এক অঘোষিত শ্রবণ-যুদ্ধে!
বিদ্যুৎ আছে,আছে বৈদ্যুতিক বাতি;
মাথার ওপর শুধু ফ্যানটি নেয়-
অতোটুকু চাওয়াও বাড়তি।
লোমকূপ থেকে বেরুই ঘর্ম-জল
বসে পাশে সাইটের দারোয়ান সজল।
চোখে-মুখে ওর ক্লান্তির প্রশান্তি!
আর আমার বিরক্তি।
বলল -স্যার,আপনারা পড়েছেন অনেক
আমি গরিব, অতি সাধারণ
পড়ালেখা করিনি তেমন।
কয়েক ক্লাস পড়েছিলাম-
নাম-ধাম লিখতে পারি।
এখানে আসার আগে
এ বাড়ি,ও বাড়ি কামলা খাটতাম;
তারও আগে টানতাম ঠেলাগাড়ি।
বাবা-মা নেই,ভাই-বোনও নেই;
নেই আপন কেউই।
এক পারাত ভাই আছে-
বড়ই সুহৃদ;
এই শহরেই থাকে-
বাড়ি, এইতো কাছে।
তিনি আর তার পরিবার
আমাকে ভীষণ সমাদর করেন,
প্রায়ই বেড়াতে যেতে বলেন।
কিন্তু,করব কি-
খেটে খাই,
সপ্তাহের সাতদিন এখানেই থাকি-
ছুটি-ছাটটাও নাই।
দিনে খড়-তাপ কোলাহল
আর রাতে মশার কামড়-
বত্রিশে গড়াল বয়স।
বিয়ে-সাদিও হয়নি-
এ-জীবনে আমি বড়ই একা!
গল্প শুনে ওর,
বিরক্তি আমার নিমিষেই দূর হয়।
আর বোধ হয়,
জীবন আমার এখনও কতটা অদেখা!
(গেল গ্রীষ্মে Construction site এ বসে লেখা)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।