আমি একজন ছাএ রানা প্লাজা ভবন ধসের ১৭ দিন পর উদ্ধার করা রেশমার ঘটনা ভাঁওতাবাজি কিনা- এমন বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন করেছে ব্রিটিশ সাংবাদিক সায়মন রাইট। অথচ তাকে ছলচাতুরির অপরাধে গ্রেফতার করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা পুলিশ। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজনে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দেখানো ও নাশকতার ছলনাময় ঘটনা সাজানোর অপরাধে। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ফুটবল চলাকালে হলুদ-সাংবাদিক হিসেবে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় শিরোনাম হয় কুচক্রী রাইট। সে সময় তার কর্মকান্ডকে কুসাংবাদিকতা হিসেবে অভিহিত করা হয় বিভিন্ন মহল ও গণমাধ্যমে।
কানাডাভিত্তিক অনলাইন বার্তা সংস্থা ‘নতুন দেশ’ সায়মন রাইট সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে গত সোমবার ১ জুলাই ২০১৩ তারিখে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে। সায়মন রাইট নিজেই ধোঁকাবাজি, হলুদ সাংবাদিকতা ও টাকার বিনিময়ে বানোয়াট সংবাদ তৈরি করে হয়েছে শিরোনাম। হয়েছে গ্রেপ্তার ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বহিষ্কার। আর এই সেই সায়মন রাইটই গত ৩০ জুন ২০১৩ তারিখে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড সানডে মিররে রেশমা উদ্ধার নিয়ে কথিত অনুসন্ধানী রিপোর্ট প্রকাশ করে আবারো হল সংবাদ শিরোনাম । বিতর্কিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “রেশমা উদ্ধার ঘটনা স্রেফ ভাঁওতাবাজি।
” তবে সবার ধারণা, এটাও সায়মনের ধোঁকাবাজি। কেননা সায়মন নিজেই একটা ধোঁকাবাজ। বিদেশী হলুদ মিডিয়া যখন রেশমাকে উদ্ধার ঘটনাকে সাজানো কাহিনী বলে বিভ্রান্তিকর খবর প্রচার করছে, তখন তা পাল্টা অনুসন্ধান করে ভুল নাকি সঠিক এমন উদ্যোগ দেশী মিডিয়াগুলো না নিলেও হলুদ সাংবাদিক সায়মন রাইটকে নিয়ে কানাডাভিত্তিক অনলাইন বার্তা সংস্থা ‘নতুন দেশ’ অন্তত একটি হলেও প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।