দেশব্যাপী আলোচনায় ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিররের সাংবাদিক সাইমন রাইট। শুধু বাংলাদেশে নন, এবার তিনি গ্রেফতার হয়ে বিশ্বের কাছে আলোচিত হয়ে উঠেছেন।
রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে রেশমা উদ্ধারের ঘটনাকে মিথ্যা গুজব দাবি করা ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিররের সাংবাদিক সাইমন রাইটকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে রানা প্লাজার খবর প্রচারের কারণে নয়, ২০১০ সালের বিশ্বকাপের সময় এক সমর্থককে ইংল্যান্ড দলের ড্রেসিং রুমে প্রবেশ করিয়ে দেয়ার দায়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২৯ জুন শনিবার সাইমন রাইটকে গ্রেপ্তার করে ব্রিটিশ পুলিশ।
এরপরের দিন রোববার মিররে বাংলাদেশে রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে ১৭ দিন পর উদ্ধার হওয়া রেশমার ঘটনাকে মিথ্যা অভিহীত করে সাইমন রাইটের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
মিররের সাংবাদিক সাইমন রাইটের বিরুদ্ধে ধারণা করা হয়, তিনি বিশ্বকাপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা মানসম্মত নয়- এটা প্রমাণ করতে গিয়ে পাভলোস জোসেফ নামের এক ফুটবল ভক্তকে ইংল্যাল্ড ফুটবল দলের ড্রেসিং রুমে ঢুকতে দিয়েছেন।
আলজেরিয়ার সঙ্গে ম্যাচ শেষে ইংল্যান্ড দলের ড্রেসিং রুমে জোসেফকে প্রবেশ করিয়ে দেয়ার কারণে সাইমন রাইটের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।
তবে রাইটকে কোন ধরনের মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করা কিংবা তার সাংবাদিকতা পেশার সাথে সম্পর্কিত কোন কারণে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়নি।
সাউথ আফ্রিকার পুলিশ কমিশনার ভেকি সেলে বলেছিলেন, ‘ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় পাওয়া ড্রেসিংরুমের ফুটেজ থেকে বোঝা যাচ্ছিল যে বিষয়টি সাজানো।
’
তিনি বলেন, "বিশ্বকাপের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে ফেলতেই একাজ হয়েছে বলে পুলিশ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে। "
মামলায় হেরে গেলে ২৮ জুন শুক্রবার রাইটকে কেপ টাউনে বিশ্বকাপের বিশেষ আদালতে হাজির করা হয়। তবে আদালত তাকে ২৯০ ফাউন্ড জরিমানার বিনিময়ে জামিন দেয়। রাইট বর্তমানে জামিনে আছেন।
এর আগে পুলিশ তার পাসপোর্ট জব্দ করে দেয়।
ভেকি সেলে বলেন, ‘ঘটনাটি সাজানো ছিল, পুলিশের এমন বিশ্বাস করার যৌক্তিক কারণ আছে। বেশ কয়েকজন ব্যক্তির যোগসাজশেই ঘটনাটি ঘটে। ’তবে মিরর জোসেফ নামে ওই ফুটবল সমর্থকের সাথে রাইটের জড়িত থাকার কথা পুরাপুরি অস্বীকার করে।
রোববার মিররকে দেয়া এক সাক্ষতকারে জোসেফ বলেন, ‘ওই দিন যখন ম্যাচ শেষে নিরাপত্তা রক্ষীরা তাকে খোলোয়াড়দের যাওয়ার পথ দেখিয়ে দিচ্ছিলেন তিনি তখন টয়লেট খুঁজছিলেন। ’
উল্লেখ্য, ৩০ জুন রাইটের অনুসন্ধানে মিররে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘রেশমা উদ্ধার অভিযানকে মনে হচ্ছে একটি মিথ্যা গুজব।
রেশমার এক সহকর্মী মিরর নিউজের কাছে দাবি করেছেন, গত এপ্রিলে রানা প্লাজা ধসে পড়ার দিনই রেশমা তার সাথে বেরিয়ে এসেছিল। ’ সূত্র: গার্ডিয়ান
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।