সাভারের রানা প্লাজা ধসের ১৭তম দিনে আজ ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে পোশাককর্মী রেশমাকে। তাঁকে প্রথম দেখতে পান বলে দাবি করেছেন উদ্ধারকর্মী এক সেনাসদস্য। কীভাবে রেশমাকে দেখতে পান ও রেশমা কী অবস্থায় ছিলেন, সাংবাদিকদের কাছে তার বিবরণ দেন তিনি। ঘটনার ৪১৬ ঘণ্টা পর রেশমাকে জীবিত ও অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা নিয়ে বিস্ময় ও উত্তেজনা কাজ করছে উদ্ধারকর্মীদের মধ্যে। সাধারণ মানুষও এটিকে দেখছেন একটি অলৌকিক বা বিস্ময়কর ঘটনা হিসেবে।
কীভাবে রেশমাকে পাওয়া গেল, এই ১৭ দিন তিনি কীভাবে ছিলেন, তার বিবরণ দিয়েছেন উদ্ধারকর্মী সেনাসদস্য। তিনি বলেন, আজ ধ্বংসস্তূপে উদ্ধারকাজ কীভাবে চালানো হচ্ছে তা দেখানোর জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের ডাকা হয়েছিল। গণমাধ্যমকর্মীদের জায়গাটা ঘুরে দেখানোর সময় হঠাত্ তিনি দেখতে পান, চাপা পড়া বিমের আড়ালে থাকা একটি পাইপ নড়ছে। মনে হয়, কেউ ওই পাইপ নাড়াচ্ছে। ওই উদ্ধারকর্মী বলেন, এ সময় তিনি সেখানে যান।
সেখানে ডাকাডাকি করার পর রেশমাকে এক ঝলক দেখা যায়। এরপরে ওই জায়গায় ছিদ্র করে রেশমাকে উদ্ধার করা হয়।
এ সময় সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেন, রেশমাকে একদম সুস্থ মনে হয়েছে। তাঁর জামাকাপড়ও অক্ষত ছিল। এটা কীভাবে সম্ভব?
উদ্ধারকর্মী জানান, রেশমার কাছে শুকনো খাবার ছিল বলে তিনি জানতে পেরেছেন।
রেশমা তাঁকে বলেছেন, ‘অনেক খাবার ছিল। তিনি খাইতে পারেননি। ’
রেশমা কোন তলায় ছিলেন জানতে চাইলে ওই উদ্ধারকর্মী জানান, ভবনের দ্বিতীয় তলায় রেশমা ছিলেন। সেখানে মার্কেট ছিল। পোশাক কারখানা নয়।
তবে রেশমা পোশাকশ্রমিক ছিলেন বলে দাবি করেন ওই উদ্ধারকর্মী।
উদ্ধারকর্মী আরও জানান, রেশমা তাঁকে জানিয়েছেন, তিনি নিরাপদ একটি জায়গা বেছে নিয়ে বসেছিলেন। ওই এলাকায় রেশমা হাঁটাচলা করেছেন বলেও দাবি করেন উদ্ধারকর্মী।
পুরো ভবনের তুলনায় দোতলা ও বেসমেন্ট কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান উদ্ধারকর্মী। তিনি বলেন, এ কারণে সেখানে গাড়িগুলোও অক্ষত রয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।