বদলে দাও সমাজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী, ঢাকা এর পরিচালক (প্রশাসন) ডাঃ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ দেশের সকল সিভিল সার্জনদের নিকট গত ১৮ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে একটি পত্র প্রেরণ করেন (স্বাঃ অধিঃ/প্রশা-৪/বিবিধ-৫/২০০৮/৩৯৮ তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১২)। পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন স্মারক নং ৪৫.১৭৪.০০২.০৪.০০.০০০.২০১০-৫৫ তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১১ এর ৩য় পাতায় কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার, স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার কল্যান সহকারীগণের দায়িত্ব পালনের যে নির্দেশনা রয়েছে তা সম্পূর্ণরূপে প্রতিপালন করতে দেখা যাচ্ছে না । তিনি জারীকৃত প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ করেন । তিনি এটাও উল্লেখ করেন, উক্ত নির্দেশনা প্রতিপালনে কোনরূপ ব্যত্বয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীর বিরুদ্ধে শৃংখলামূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে । এতে মহাপরিচালক মহোদয়ের অনুমোদন রয়েছে ।
ঘটনা বিশ্লেষণের জন্য আমরা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনটি সংগ্রহ করি এবং প্রজ্ঞাপনের ৩য় পাতা পাতায় উল্লেখিত কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার, স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার কল্যান সহকারীগণের দায়িত্ব সম্পর্কে অবগত হই । সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, শুক্রবার ব্যতীত সপ্তাহে ৬ দিন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারগণ কমিউনিটি ক্লিনিকে উপস্থিত থেকে সেবা প্রদান করবেন । এছাড়া স্বাস্থ্য কর্মী এবং পরিবার কল্যান কর্মীগণ সপ্তাহে ৩ দিন করে কমিউনিটি ক্লিনিকে বসবেন । অফিস সময় হবে ০৯০০ ঘটিকা হতে ১৫০০ ঘটিকা পর্যন্ত । রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উক্ত প্রজ্ঞাপনটি স্বাক্ষর করেন হুমায়রা সুলতানা ।
স্বাধীন সার্বভৌম বাংলার আপামর জনসাধারণের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন এবং এতদসংক্রান্ত বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারী করেন । কিন্তু এই কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য ও সেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে মান্দাতা আমলের সেই পুরনো স্বাস্থ্যকর্মীদের দ্বারা । যারা ৫৭ বৎসর বয়স সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত চাকুরী করবেন বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ । কিন্তু তারা এটা চিন্তা করছেন না যে, তার ঐ বয়স পর্যন্ত মোটামুটিভাবেও তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারবে না । বেশীরভাগ স্বাস্থ্যকমীগণ ৪৫-৫০ বছর বয়সের মধ্যেই তাদের কর্মদক্ষতা হারিয়ে পেলছে ।
শিশুকে টিকা প্রদানের সময় তাদের হাত কেঁফে উঠছে, যার ফলশ্রুতিতে টিকার স্থানে ইনেফকশন সৃষ্টি হচ্ছে । অনেকেই বয়স হওয়ার কারণে ঠিকমত টিকা কেন্দ্রে যেতে পারছেন না । তথাপিও সরকারী চাকুরী এবং চাকুরীর সময়সীমা রয়েছে বলে এত সমস্যা সত্ত্বেও চাকুরী টিকিয়ে রেখেছেন । যারা বয়স্ক হয়েছেন বিধায় ঠিকমত টিকাকেন্দ্রে যেতে পারছেন না তারা নিজেদের অদক্ষ্য সন্তানকে দিয়ে উক্ত কাজটি করিয়ে নিচ্ছেন, যারা চাকুরীর জন্য সম্পূর্ণ অযোগ্য । কিন্তু মাস পূর্ণ হলেই নিজে গিয়ে বেতন উত্তোলন করছেন ।
ইদানিং পরিলক্ষিত হচ্ছে যে, উল্লেখিত অযোগ্য/অদক্ষ্য সন্তানগন টিকা কেন্দ্রে এসে বিভিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপ করছেন এবং বেআইনি কাজে জড়িয়ে পড়ছেন । যার মধ্যে টিকা কেন্দ্রে আগত মেয়ে/মহিলাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করা এবং ঔষধ আত্মসাৎ করা উল্লেখযোগ্য ।
এতদসংক্রান্তে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কয়েকজন বয়স্ক স্বাস্থ্যকর্মীর অদক্ষ/অযোগ্য সন্তানের টিকা কেন্দ্রে পিতার ডিউটি দেয়া এবং ডিউটি করতে গিয়ে অনৈতিক কার্যকলাপের কাহিনী আমরা সংগ্রহ করেছি ।
আপনাদের মন্তব্য এবং (+) পেলে এবং মন্তব্যে জানার আগ্রহ প্রকাশ করলে উল্লেখিত ঘটনাসমূহ পোষ্ট করা হবে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।