"জানালার ওপাশের অন্ধকার থেকে আমার সঙ্গীরা আমায় ডাকে..একদিন যাদের সঙ্গ পেয়ে আজ নিসঙ্গ্তায় ডুবেছি"-(শঙ্খনীল কারাগার)হুমায়ূন আহমেদ দিনকাল খুব ভালো কাটছে তাই না ? ইদানিং নিজেকেই নিজে সগোক্তি করি নাকি কে জানে । নাকি বয়স বাড়লেও বুদ্ধি বাড়ে নি এমন টাইপ কিছু গোবেচারা ছেলের মত চেহারা করে চারপাশ বুঝতে চেষ্টা করি নাকি তাও জানি না ।
বহুদিন ধরে এরকম বন্ধ পাই নি , কত নিসঙ্গ দুপুর গিয়েছে আমি নিস্ফল কলম আর খাতাটা নিয়ে নাড়াচাড়া করেছি , তবুও তোমার কথা ভেবে খাতার পাতা গুলো রক্ত ভেজা কাব্য দিয়ে পুরো করতে চাই নি , নিজেকে দেখেছি সহ্য করার ক্ষমতাটা আমার কত বেশি , কিন্তু মনে হয় না এতোটা আছে তাই তো কত প্লট এদিক সেদিক দিয়ে একে বেকে মিলিয়ে যায়। আমার আর প্লট ধরে লেখা শুরু ও হয় না বিষাদ কাব্য গুলোয় পাতা গুলোও ভরে উঠে না । কেন তোমাকে নিয়ে লিখবো , এতো বড় স্থান তোমার জন্য রেখে কি লাভ , ওই শুনো সবাই পরিহাস করে অতীত , নিয়তি এইসব শব্দের যুগ শেষ জনাব ।
যুগ পাল্টায় আরো পাল্টাবে। টেস্ট বাড দিয়ে টেস্ট করোনি ? তুমি পুরুষ হলে কিভাবে!!
অভ্যাস টা বাজে , কিছু লিখতে বসলেই সুনীলের মাথাটা এলোমেলো হয়ে যায় , হুম এটা সত্যি বরুনার সুনীল কিন্তু পরে মারা যায় , তবে আধুনিক সুনীল বাস্তবে না মরলেও মনের দিক থেকে অনেক কাল আগেই মরে গিয়েছে। ভালোবাসার শক্তি হয়তো এটাই । কাউকেই আর মায়ায় আটকাতে পারে না । মায়ার ভ্রান্তি এলেও কুয়াশা কেটে যাবার মত আবার সব পরিষ্কার যেন এখানে কিছুই ছিল না ।
নাহ, তোমার কথা অনেক লিখেছি , একে একে সব বলেছি । মাঘের শীত, অতীতের রিক্ততা সবাইকেই অনেক মাথায় রেখেছি , আর রাখতে চাই না , আজ সব ঝেড়ে ঝুড়ে ফেলে দিব । নতুন কিছু ভাববো ।
সেই কফিশপ , যেখানে তোমার সাথে আমার প্রথম দিনের অনুনয় বিনয় শেষে মাত্র পাঁচটা মিনিটের জন্য তুমি তোমার মহামূল্যবান সময় টুকু অনুমোদন করেছিল , ওই যে কোনার টেবিল টায় আমরা দুজন বসেছিলাম মনে পড়ে কি , আজ সেখানে আমাদের স্থলাভিষিক্ত হয়েছে আরো দুজন । মেয়েটা দেখতে তোমার মতন ই ।
গোলগাল চেহারা সারাক্ষণ অস্থির। অপরদিকের জনের চোখে মনে হচ্ছে স্বপ্নের হাতছানি । আর অপর জন হয়তো জ্যাম এ বসে নিজের দুর্ভাগ্যের কথা মনে করে কপাল চাপড়াচ্ছে অথবা স্বপ্নের জাল বুনতে বুনতে কোন ভবিষ্যতের দোর গোড়ায় হারিয়ে গিয়েছে কে জানে। আমার মতই । অপেক্ষা আর কল্পনা দুটোই একই সাথে সুখ কষ্ট দুটোই দেয় , অপেক্ষায় কল্পনা গুলো ডানা মেলে যেন আরো বেশি করে ।
(সেদিন সুনীলের আর আসাই হল না , তার প্রিয়তমার সাথে প্রথম দেখা হবার আগেই রাস্তা পার হবার সময় হঠাৎ একটি কার তাকে চাপা দিয়ে গিয়েছিল , আমি ভাবি যে আমার ও কেন এমন হল না । বাস্তবে সুনীলদের মরে যাওয়াই অনেক ভালো । এভাবে কষ্ট করে নিজের মৃত্যু কল্পনা করতে হয় না)
সুনীলদের জন্য বেঈমান আমি ভাই এর পক্ষ থেকে .... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।