দূরে অাছি......তার্হ ফেরা সহজ....কাছের মানুষ কখনো ফেরে না......... ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের দৌরাত্ম্য ক্রমেই বাড়ছে। চাঁদাবাজি আর ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে একের পর এক দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংগঠনটির বিবাদমান গ্রুপগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ লেগেই আছে। থামছে না চাঁদাবাজি। খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সতর্কবাণীও তারা কানে তুলছে না। সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চাঁদার টাকার ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ছাত্রলীগ।
সংগঠনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক গ্রুপের এ সংঘর্ষে অন্তত ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছে । এ ঘটনায় ১৭ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সাধারণ ছাত্ররা জানান, সকালে দু’গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে পুরো ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় সদরঘাট, ইসলামপুর ও লক্ষ্মীবাজার এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ক্যাম্পাসে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সংঘর্ষে আহতদের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাগুরা জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির চাঁদার টাকা উঠানো নিয়ে সোমবার বিকেলে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দু গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক গ্রুপের কর্মীরা গতকাল সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে জড়ো হতে শুরু করলে উত্তেজনা দেখা দেয়। দুপুর ১২টার দিকে দু গ্রুপ ক্যাম্পাসে মিছিল বের করলে শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। ক্যাম্পাসে টিকতে না পেরে আহ্বায়ক গ্রুপের কর্মীরা ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান নেয়।
তারা ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকলে ক্যম্পাসের ভেতরে থাকা যুগ্ম আহ্বায়ক গ্রুপের কর্মীরাও পাল্টা ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। এ সময় কয়েকজনকে হাতে রামদাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে দেখা গেছে। দু গ্রুপের সংঘর্ষ চলাকালে সদরঘাট-লক্ষ্মীবাজার রোডে দীর্ঘক্ষণ যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে ওয়ালিয়া, কাউসার, শিব্বির, টনি, রুবেল, রাজ ও তাহেরকে স্থানীয় সুমনা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষের ব্যাপারে জানতে চাইলে জবি ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান বলেন, ‘চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় আমার কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।
’ তবে আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম আকন্দ এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘যারা ক্যাম্পাসে শান্তি চায় না তারাই পরিকল্পিতভাবে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করছে। ’ জবি প্রক্টর কামালউদ্দীন আহামেদ বলেন, ‘এটা একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে ব্যাপারে আমরা সতর্ক রয়েছি। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
’ এদিকে ছাত্রলীগের দু গ্রুপের সংঘর্ষের সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হলে দুপুরে ক্যাম্পাসে আসেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম। তারা এসে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে বিবাদমান দু পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। তবে বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে তা জানা যায়নি ।
বৈঠক শেষে বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, ‘আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান আহ্বায়ক কমিটিকে এখনই বিলুপ্ত করব না।
তবে তাদেরকে বলেছি এমন কাজ করা যাবে না যাতে ছাত্রলীগের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়। ’ আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়কের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে এ সংকট কেটে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।