স্বাধীনতা নিয়ে আমার আবেগ বরাবরই একটু বেশি। বর্তমানে অনেক তরুণদের মুখে শুনি, স্বাধীনতা 'এই একটা টপিকস আর শুনতে মনচায় না। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় বাংলাদেশ যত দিন বেঁচে থাকবে স্বাধীনতার ঐতিহাসিক সব ঘটনা মানুষ স্মরণ করবে ক্লান্তিহীন ভাবে। যারা স্বাধীনতা কে আবজ্ঞা করে তাদের শরীরে কোন বাঙ্গালির রক্ত আছে কিনা, তা নিয়ে আমার সন্ধেহ আছে। যাক সেসব কথা মূল কথায় ফিরি,স্বাধীনতা নিয়ে অনেক সত্যি ঘটনা আমি শুনেছি ঐ সময়কার মানুষের কাছ থেকে।
আমাদের গ্রামে একজন মহিলাকে যুদ্ধের সময় ধরে নেয়া হয়েছিল,ভাগ্যক্রমে সে বিশদিনের মাথায় পালিয়ে আসতে পেরেছিল। আমার এই লেখাটা তারি জবানিতে বর্ণনা করলাম,সে দিন কত তারিক ছিল তা আমার মনে নাই। সকালে আমি সবাইকে খাবার দিয়া উঠান ঝাড়ু দিতাছিলাম,যুদ্ধ তখন একমাস পার করছে। বেলা ১০-১১টা বাজে তখন আসে পাশের বাড়ির মানুষ ছুটাছুটি করতে করতে বলতে শুরু করল মেলেটারি আইতাছে। আমি তো ভীষণ ভয় পাইলাম,কারন যুদ্ধ একমাস হইলেও মেলেটারি আর আমাদের গ্রামে আসে না।
আমি আমার তিনজন পোলাপাইন লইয়া ঘরের দরজা বন্ধ করলাম। ১৫-২০মিনিট পর আমার ঘরের দরজাতে লাথি আর বন্ধুক দিয়া সমানে বারি মারতে লাগলো ,একসময় দরজা ভেঙে গেল অরা আমার সন্তানদের কিছু করল না। আমারে টেনে হিস্রে অদের গাড়িতে তুল্ল,আমার আরতনাত কারো কানে গেল না। মাত্র ১/২ ঘণ্টার বেবধানে অনেক ঘরে আগুন দিল,লুটপাট করল,ধর্ষণ এবং আমার মতো আরও ২জন কে কেম্পে নেয়া হল। তারপর আর কিছু এই মহান নারী বলতে পারে নাই,আমি ও আর কোন প্রশ্ন করার সাহস পাই নাই।
তার ২ নয়ন দিয়ে অঝরে জল পরতে লাগলো । বাকি ঘটনা আমি তার এক আত্মীয়ের কাছ থেকে শুনেছিলাম। এই ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করার কারন,আমাদের সমাজে অনেক বীরাঙ্গনা নারী আছে যারা তাদের প্রাপ্ত সম্মান পায়না, বরং সমাজের মানুষ তাদের ছোট করে দেখে। আসুন না আমারা যার যার নিজের অবস্থান থেকে বীরাঙ্গনাদের একটু শ্রদ্ধা করি। তারা এর চেয়ে বেশি কিছু চায় না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।