আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এলিজি: কোন এক বীরাঙ্গনার প্রতি

যে বেসেছে ঝর্ণা ভালো, যে বেসেছে ঝিনুক। তার হাতে আয়ু রেখায় ভীষন রকম অসুখ। ।

পৃথুলতা জানতোনা আকাংখার বিপনন। মরাশালিখের ঝরা ঝোপে সে পুষতো খোঁপা-কাটা।

আঁধার নামাবলী কিংবা নিতি অকালীন সন্ধ্যা ঘনাতো যে সকল আঙিনায়, ডিঙিয়ে চলে যেতো লাল সায়া; নীল জমিনের বালুচুরী। পৃথুলতা মশারীর ভাঁজে গুঁজে রাখতো টগবগে তেপান্তরের রাখাল। নিত্য; নিদ-নিরালায়। প্রতিদিন চাঁদমুখে হিজলের ডানা ঝাপটানো দেখে; দাওয়ায় খুঁদ বুনতে বুনতে পৃথুলতা গাইতো ভাসানের গীত। স্বর্ণলতার সংসার ভেঙে সে যে গলায় ঝুলাতো মালা, তার জন্য তুলে রাখতো দু'টো করুন গুনগুন।

এক পৃথিবী দূরে - অথচ পৃথুলতার ভোর আর চাঁদবেনের পালা বিকিকিনির পালকি চড়ে হেলছিলো দুলছিলো; সূচক কাঁটার ইঁচড়েপাকা গতির সাথে দুলতো যে সংসার; তার খানিক উত্তাপ এসে পৃথুলতার কাঁচা দাওয়ায় দু'টো ঝরে পড়া ধানে খই ফুটাতে শুরু করলে- আমাদের পৃথুলতা নাইতে গেলো। তারপর রাজা গেলো। ভোর হলো। মরাশালিখের ঝোপ ভেঙে ঝনঝন ঝরলো খোঁপাকাঁটা। পদ্মার দিকে।

যমুনার দিকে। পৃথুলতা ঢেউয়ে দুললো লাল সুরুজ। সবুজ বন। সগর্ব। অবিরাম... ২০/০২/২০১০ (ছবিটি ইন্টারনেট হতে সংগৃহীত শিল্পী: শাহাবুদ্দীন আহমেদ )


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।