আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাকাকে গত পাঁচ দিন যাবত চা-বিস্কুট খাইয়ে রাখা হয়েছে

১৯৭১ সালে মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক বিএনপি নেতা ও সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ওরফে সাকা চৌধুরীর অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানি শেষ। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠন হবে কিনা তার ওপর আদেশ দেবে আদালত। ২৩ জানুয়ারি সোমবার সকাল ১০ টা বেজে ৩০ মিনিটে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বসে। বিচারের শুরুতে সাকা চৌধুরী আদালতের অনুমতি নিয়ে কিছু বলতে চান। আদালত সাকা চৌধুরীকে বক্তব্য পেশের অনুমতি দেন।

আদালতে সাকা বলেন, গত পাঁচ দিন যাবত তাকে চা-বিস্কুট খাইয়ে রাখা হয়েছে। তাকে এক কারাগার থেকে অন্য কারাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সাকা আরো বলেন,আমার আইনজীবী ও আত্মীয় সজ্জনকে আমার সাথে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না। আমি আপনাদের হেফাজতে আছি। আমার কাছে অর্থ দাবি করা হয়েছে।

বলা হয়েছে ওপরে টাকা দিতে হবে। ওপর বলতে আমি আপনাদের বুঝি। তাই আমি আপনাদের কাছে জানতে চাই কার কত টাকা লাগবে। জবাবে ট্রাইব্যুনালের একজন সদস্য বিচারক বলেন, ওপরের কথা ওপরেই ছেড়ে দেন। ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বলেন, বিভিন্ন ভাবে আমরাও অনেক ধরনের কথা শুনি।

সবকিছু শুনার প্রয়োজন নেই। এসব বাইপাস করেই আমরা বিচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আপনার যদি কোনো দাবি থাকে তবে আইনজীবীর মাধ্যমে তা পিটিশন আকারে আদালতে পেশ করুন। আমরা দিন তারিখ ও সাক্ষাতের সময় উল্লেখ করে দিবো। সাকার আইনজীবী এডভোকেট এম রেজাউল করিম ও আহসানুল হক হেনা তাদের বক্তব্য পেশ করেন।

এম রেজাউল করিম বলেন, অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আমরা পর্যাপ্ত সময় পাইনি। জবাবে আদালতে বলেন, আপনাদের সময় দেয়া হবে। এখন যতটুকু প্রস্তুতি আছে তার ওপর বলুন। সাকার আইনজীবী আহসানুল হক হেনা বলেন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ওপর যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা। তিনি রাজনৈতিক কারণে অভিযুক্ত হয়েছেন।

আনুষ্ঠানিক অভিযোগে বলা হয়েছে গুডস হিলে সাকার টর্চার সেল ছিলও। সেটিকে শেলটার সেল(আশ্রয় শিবির) বলে উল্লেখ করেন সাকার আইনজীবী। চট্টগ্রামের এলিট ক্লাস(উচ্চ বিত্ত) ও মাইনোরিটি শ্রেণীদের আশ্রয় দেয়া হয়েছিলো সেখানে। নতুন চন্দ্র সিংহ হত্যার বিষয়ে সাকা চৌধুরীর আইনজীবী বলেন, একই ঘটনার জন্য দুই আদালতে একই সাথে বিচার চলতে পারে না। সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগে নতুন চন্দ্র সিংহের হত্যা সম্পর্কিত একটি মামলা বিচারাধীন আছে।

এই ট্রাইব্যুনালেও একই ঘটনার জন্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। জবাবে, ট্রাইব্যুনাল প্রশ্নটি পিটিশন আকারে আদালতে দাখিল করতে বলেন। এ বিষয়ের ওপর পরে আদেশ দেয়া হবে বলে ট্রাইব্যুনাল জানান। ১৯৭১ সালের এপ্রিলে সাকা চৌধুরী পাকিস্তান হয়ে লন্ডন চলে যায়। এ কারণে তিনি মানবতা বিরোধী অপরাধমূলক কোনো কাজে অংশ গ্রহণ করেননি।

তার বাবা ফজলুল কাদের চৌধুরী রাজনৈতিক ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, তিনি(ফকাচৌ) বঙ্গবন্ধুর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুর পক্ষের একজন আইনজীবী ছিলেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান তার বাবার সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছিলো। সে কারণে পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। কুণ্ডেশ্বরীর প্রতিষ্ঠাতা নতুন চন্দ্র সিংহের হত্যাকারী তিনি(সাকা) নন। নতুন চন্দ্র সিংহ তার বাবার বন্ধু ছিলও।

তাকে তিনি(সাকা) হত্যা করে নাই। অভিযুক্ত সাকা চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছেন। এমন অভিযোগ মিথ্যা। যদি তাই হয়, তবে তার বাড়ির পাশে যেসব হিন্দু থাকে তারা কেনও গণহত্যার শিকার হলও না। খবরের সূত্র এই লিংকে  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.