নিউ সেভেন ওয়ান্ডার্সে প্রথমদিকে আমরা ভোট দিয়ে কক্সবাজারকে এক নম্বরে নিয়ে এসেছিলাম। এরপর ভিয়েতনামের হা লং বে এসে প্রথম স্থান দখল করে নিলো। অনেকদিন কক্সবাজারকে দ্বিতীয়স্থান নিয়েই থাকতে হলো। এরপর দেখি ফিলিপাইনের তুব্বাতাহা রীফ ও চকোলেট হিলস কক্সবাজারের ওপরে চলে এসেছে।
এখন আমাদের সামনে দুটো পথ খোলা আছে,
১. মন খারাপ করে বসে থাকা অথবা
২. নিজেরা ভোট দেয়া, অন্যকে ভোট দিতে উৎসাহিত করা ও কক্সবাজারকে প্রমোট করা।
এপ্রিল মাসেই ভিয়েতনাম হা লং বেতে পর্যটন উৎসব করলো। সমস্ত হোটেল, রিসোর্টে ৫০% ডিসকাউন্ট, বাইসাইকেল ট্যুর, সী ক্রুজসহ নানা রকম আয়োজন। এটা কোনো বাৎসরিক উৎসব ছিলো না। শুধুমাত্র নিউ সেভেন ওয়ান্ডার্সকে সামনে রেখেই এই আয়োজন। ভিয়েতনামের ওই অংশের আবহাওয়া যে আমাদের থেকে ভিন্ন তা নয়, প্রায় একইরকম।
ওই ভরা গ্রীষ্মেও হাজার হাজার পর্যটক হা লংয়ে ভীড় করেছে। আসলে ইচ্ছেটাই মূল, সাথে কৌশলটাও থাকতে হবে।
কক্সবাজারের জন্য কিছু স্বেচ্ছাসেবকের কাজ আর পর্যটন করপোরেশনের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ছাড়া আর কোনো উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এটাকে ভলান্টারি ওয়ার্ক হিসেবে নিলে সম্ভবত লক্ষ্য পূরণ হবে না। পর্যটন কর্পোরেশন এবং পর্যটনের সাথে সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
আর আমাদের ভোট দেয়া ও ভোট দিতে উৎসাহিত করা ছাড়া কিছুই করার নেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।