[img|http://media.somewhereinblog.net/images/thumbs/faisalrocks_1362317154_1-480499_10200096367710576_1392961036_n.jpg]
বঙ্গোপসাগরে চট্টগ্রাম কক্সবাজার উপকূল মারাত্মক দূষণের শিকার হচ্ছে। কক্সবাজারের নাজিরারটেক থেকে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারী পর্যন্ত প্রায় দু'শ কিলোমিটার উপকূলজুড়ে সমুদ্রের পানিতে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতি অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। নদী মোহনাগুলোয় এই দূষণের মাত্রা অস্বাভাবিক বেশি। পরিবেশ অধিদফতরের সাম্প্রতিক মনিটরিংয়ে এ ভয়াবহ অবস্থা ধরা পড়েছে।
সমুদ্র উপকূলজুড়ে তেলজাতীয় পদার্থ নিঃসরণের কারণে দূষণের মাত্রা সবচেয়ে বেশি।
এখানে প্রতি লিটার পানিতে ১০০ থেকে ১৩০ মিলি গ্রাম পর্যন্ত তেলজাতীয় পদার্থের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। কোনো কোনো স্থানে আরও বেশিমাত্রায় পাওয়া যাচ্ছে। কক্সবাজারের বাঁকখালী নদী এবং চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদী মোহনার অবস্থা আরও ভয়াবহ।
উপকূলজুড়ে সারা বছর ধরে দূষণের মাত্রা অস্বাভাবিক বেশি থাকে। শীতকালে তা ভয়াবহ পর্যায়ে চলে যাচ্ছে।
প্রতি লিটার পানিতে ২০ মিলি গ্রাম তেলজাতীয় পদার্থের উপস্থিতি থাকলে তা সাধারণ সহনীয় মাত্রা বলে গণ্য করা হয়। এর ওপরে গেলেই দূষণের পর্যায়ে চলে যায়।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, মাছ ধরার যান্ত্রিক নৌকা এবং মালবাহী জাহাজ থেকে নিক্ষিপ্ত বর্জ্যের কারণে সমুদ্রে দূষণ হচ্ছে সব চেয়ে বেশি। সাগরে ৩০ হাজারের বেশি ফিশিং বোট রয়েছে। যেগুলোর মাধ্যমে সমুদ্র দূষণ হচ্ছে উলেল্গখযোগ্য হারে।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারকারী জাহাজগুলো কর্ণফুলী থেকে কুতুবদিয়া উপকূল পর্যন্ত স্থানে বর্জ্য নিক্ষেপ করছে প্রতিনিয়ত। এছাড়া বিভিন্ন নদী মোহনায় রয়েছে অসংখ্য ছোট-বড় ডকইয়ার্ড।
এখানে মাছ ধরার নৌকা ও ইঞ্জিন সার্ভিসিং করে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে সমুদ্রে। প্রাপ্ত তথ্য মতে শুধু কক্সবাজারের বাঁকখালী নদী মোহনায় রয়েছে শতাধিক ডকইয়ার্ড।
পরিবেশ অধিদফতরের সংশিল্গষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের অসংখ্য শিল্প-কারখানা থেকে নিক্ষিপ্ত বর্জ্যে কর্ণফুলী নদী মোহনা দূষিত হওয়ার আরও একটি বড় কারণ।
এছাড়া ভাটিয়ারীতে জাহাজ ভাঙা শিল্পের কারণেও সমুদ্র দূষণ হচ্ছে অস্বাভাবিক মাত্রায়। চট্টগ্রাম থেকে ভাটিয়ারী উপকূলজুড়ে সমুদ্রের পানিতে অ্যামোনিয়ার উপস্থিতিও আশঙ্কাজনক মাত্রায় পাওয়া গেছে।
পরিবেশ অধিদফতরের চট্টগ্রাম অফিসের সিনিয়র রসায়নবিদ মুস্তাফিজুর রহমান, সমুদ্র দূষণের কথা স্বীকার করে জানিয়েছেন, তারা এ বিষয়ে নিয়মিত মনিটরিং করে সরকারের সংশিল্গষ্ট মহলকে অবহিত করছেন। তিনি জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার উপকূল পর্যন্ত স্থানে সমুদ্রের পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ প্রতি লিটার পানিতে স্থান ভেদে ৫ মিলি গ্রামের নিচে নেমে যাচ্ছে। তিনি জানান, পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ ৩-এর নিচে নেমে গেলে জলজ প্রাণী মারা যাবে।
সমুদ্র দূষণের কারণে পানিতে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।
কক্সবাজারের সামুদ্রিক মৎস্য গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন জানিয়েছেন, সমুদ্র উপকূলজুড়ে তেলজাতীয় দূষণের মাত্রা এখন সবচেয়ে বেশি। দূষণের ফলে ইলিশসহ সামুদ্রিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্রগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রজনন ক্ষেত্র নষ্ট হওয়ায় বঙ্গোপসাগরে ৪৭৫ প্রজাতির মাছের মধ্যে অনেক প্রজাতি এরই মধ্যে বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
প্রিয় ব্লগারগণ সময় কি ঘনিয়ে আসছে??????? বাংলাদেশে একটিই মাত্র জায়গা আছে...আমার খুব প্রিয়! আমাদের গর্ব করার আরেকটি জিনিস বোধহয় আবার আমরা হেলায় হারাতে চলেছি!
(সমকালে সৌজন্যে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।