আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢাকা টু কক্সবাজারের দূরত্ব যখন ২৪ ঘন্টার



ইদে তেমন একটা বাড়ী যাবার আগ্রহ না দেখানোর কারণ যানজট। কিন্তু মধ্যবিত্ত চাকুরেদের এই ইদ ছাড়া আর আছে কি বাড়ী যাবার! গত ইদে যাই নাই ফলে পরিবার আর বন্ধবান্ধবদের দাবী এবার যেতেই হবে। কোন চাকরী পাইতে আমার এত কষ্ট করতে হয় নাই। যত কস্ট কইরা টিকিট সংগ্রহ করতে হইছে। উত্তরার সোহাগ অফিসে গিয়া শুনি এসির টিকিট আছে কিন্তু উঠতে হইবো হেড অফিস মানে মালিবাগ থিকা।

উত্তরা থেকে বউবাচ্চা নিয়া আবার মালিবাগ যাইতে হইব ভাইয়া কলাবাগান আর ফকিরাপুলে দৌড়াই। সবখানেই একই অবস্থা নয় কলাবাগান নয় ফকিরাপুল। যাইহোক মালিবাগ যাবার কস্ট কবুল করি। কিন্তু বিপত্তি ঘঠে যাত্রার পর। গাড়ী এক দৌড়ে দাউদকান্দি এসে জ্যামে পড়ে।

বিরক্ত হয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করি। তখন বাজে বারটা রাত। ঘুমে সকাল হয়। ইশ্বর আমি ভাবছি গাড়ী থেমে আছে মানে আমরা পৌছে গেছি না কী! কিন্তু আশেপাশে তাকিয়ে লোকজনকে জিগাইয়া জানতে পারি আমরা এখনও দাউদকান্দি মানে যেখান থেকে জ্যাম শুরু হয়েছিল এখনো সেখানেই আছি গোটারাত ধরে সে একই জায়গায়। শত শত গাড়ী।

হাজার হাজার মানুষ। এই জট কোথায় লাগছে কেউ কইতে পারেনা। কে লাগাইছে তাও কেহ জানেনা। এদিকে বাচ্চার খাবার শেষ । জনগণ রাস্তায় দাড়িয়ে দাড়িয়ে মুতে।

মহিলারা টয়লেট করার জন্য ক্রেজি হইয়া ওঠে। সবাই পাগল হয়ে ওঠে কালকে পৌছাইতে না পারলে ইদ পড়া হবেনা। এই ভাবে জ্যামের পর জ্যাম, জ্যামের পর জ্যাম পার করে কক্সবাজার পৌছাই পরদিন রাত বারটায়। মানে ২৪ ঘন্টায় কক্সবাজার পৌছালাম। সবকিছুর ওপর এখনো বিরক্ত হয়ে আছি।

এই জ্যামের কারণ কি? এদেশে কি যোগাযোগ ব্যবস্থা দেখার কোনো লোকজন নাই? এই জনগণ কী শুধুই মাল? জনগণের দুরবস্থা দেখার জন্য কোনো মানুষ কি আর বেঁচে নাই?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.