এবার হবেই! লোরকের পাশে এবার আপনিও >> ০১৮৩৬৫৫৫৬৪০
বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চল পিঠার এলাকা বলে পরিচিত। ফেনী নোয়াখালী লক্ষ্মীপুর এইসব এলাকা কত যে বৈচিত্র্যময় ও মজাদার পিঠার সমাহার! তেমনি এক পিঠা সাইন্না পিঠা। এটিকে অনেকে ম্যারা পিঠা অথবা দলা পিঠা বলে থাকে। মূলত শীতের দিনের পিঠা এটি। সকালের নাস্তা হিসেবেই প্রধানত খাওয়া হয়।
দুইভাবে এ পিঠা বানানো হয়। মিষ্টিসহ এবং মিষ্টি ছাড়া।
আমরা এখানে সাইন্না পিঠা এর রেসিপি তুলে ধরছি আপনাদের জন্য।
উপকরনঃ (১০-১২ টি পিঠা এর জন্য)
পাটালি গুড়(২০০ গ্রাম),লবণ, চাউলের গুঁড়ো(৩ কাপ),
নারিকেল।
প্রনালীঃ কড়াইতে ২ কাপ পানি এবং তাতে ২০০ গ্রাম এর মত গুড় নিয়ে সিদ্ধ করতে হবে।
গুড় গলে গেলে তাতে পরিমানমত লবণ এবং চাউলের গুঁড়ো তিন কাপ দিয়ে সিদ্ধ করতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে সেই চাউলের গুঁড়ো ও গুড়ের মিশ্রণকে কোরানো নারিকেল এর সাথে মিশিয়ে ভালোকরে মলতে হবে। এরপর সেই কাই থেকে রসগোল্লা এর মত ছোট ছোট করে নিয়ে তাকে পিড়িতে নিয়ে হাতের সাহায্যে ছবির মত আকার দিতে হবে। এটি অভিজ্ঞ হাতের কাজ।
তারপর এগুলোকে ভাপে দিয়ে তৈরি হয়ে গেলো সাইন্না পিঠা(মিষ্টি না দিতে চাইলে গুড় দেয়ার দরকার নেই)............সাধারণত এটি এমনিই খাওয়া হয় কিন্তু মিষ্টি ছাড়া সাইন্না পিঠা জ্বাল দিয়ে ঘন করা খেজুর রস দিয়ে খাওয়া হয়।
সাইন্না পিঠা নিয়ে আছে মজার লোকছড়াঃ
"সাইন্না পিঠা শীত কালে
মা বানাই দিছে,
দুলাভাইরা আংগো বাড়ি
আপুর লই আছে।
গেরাম গঞ্জে সাইন্না হিডা
বাড়ি বাড়ি যায়,
তালতো বইন পিড়াত বই
মজা করি খায়। "
এছাড়াও আমাদের ফেইসবুক পেইজ গিয়েও বাঙ্গালিদের রসনাভোজ সম্পর্কে জানতে পারেনঃ
লোকসংস্কৃতি রক্ষা করি (লোরক) সোসাইটি ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।