এবার হবেই! লোরকের পাশে এবার আপনিও >> ০১৮৩৬৫৫৫৬৪০
ফেনী ও নোয়াখালী অঞ্চলে সবাই এক নামে এই পিঠাকে চিনে। শীতকালে এই পিঠা বেশি খাওয়া হয়। শীতের সকালে খোলাজা পিঠা সাথে মাংসের ঝোল, ভাবলেই জিভে জল এসে যায়। অনেকের মতে মাটির খোলায় এই পিঠা বানানো হয় বলে এর নাম খোলাজা পিঠা। অনেক সুস্বাদু এই পিঠা আশা করি সবাই বাসায় বানিয়ে খাবেন।
চলুন জেনে নেই এই পিঠার প্রস্তুত প্রণালী।
উপকরণঃ চালের গুড়ি (ঢেঁকি ছাটা চালের গুড়ি হলে ভালো হয়), ডিম, লবণ, পানি।
প্রস্তুত প্রণালীঃ প্রথমে চালের গুড়ি, পানি ও পরিমাণ মত লবণ মিশিয়ে পাতলা করে মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। মিশ্রণটি একটু পাতলা বা তরল করে তরি করতে হবে যেন খুব সহজে গড়িয়ে যায়। এরপর এই দ্রবণের সাথে স্বাদমত ডিম ফেটে মিশিয়ে নিতে হবে।
ডিম মেশানোর পরেও খেয়াল রাখতে হবে যেন মিশ্রণটি পাতলা থাকে। এরপর একটি মাটির খোলা চুলায় গরম করতে হবে। খোলার উপর একটু তেল মাখিয়ে নিতে হবে। এরপর সেই মিশ্রণটি খোলায় একটু ঢেলে চারদিক পুরু করে ছড়িয়ে দিতে হবে। একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে দিন।
কিছুক্ষণ পর দ্রবণটি শুকিয়ে এলে খুন্তি দিয়ে উঠিয়ে ফেলুন। এরপর গরম গরম পরিবেশন করুন। এই পিঠা দেখতে রুটির মত কিন্তু এর উপরিভাগে অনেক ছোট ছোট ছিদ্র থাকে।
আমার বাড়ি টাঙ্গাইলে। আর আমার বোনের বিয়ে হয়েছে নোয়াখালীতে।
সেই সুবাদে পিঠাটি খাবার সৌভাগ্য হয়। নোয়াখালীবাসী সত্যি করে বলছি আসলেই আপনাদের এই পিঠা অসাধারণ।
আপনার যদি বাঙ্গালীদের রসনাভোজ নিয়ে আরো জানার আগ্রহ থাকে তাহলে আমাদের ফেইসবুক পেইজ ভিজিট করতে পারেন-
লোকসংস্কৃতি রক্ষা করি (লোরক) সোসাইটি ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।