জাতির নানা - একটি ভার্চুয়াল ক্যারেক্টার!!!! কামলা সুত্রে ৮/৯ মাস আগে গিয়েছিলুম দাদাদের দেশে। যাওয়ার কয়েকদিন পর এক ইম্পোটার নেমন্তন করেছিলেন। আমি আর আমার এক অফিসার রাত ৯টায় গিয়েছিলুম তার বাসায়। ভেবেছিলুম কি না কি আয়োজন করে নেমন্তনে! সে কি আয়োজন ছিল...... না দেখলে বিশ্বাসই করবেন না............ পুরো ২টো বিস্কিট আর ১/২ কাপ চা...... আমি কিন্তু পুরোটাই খেয়েছিলুম!!!!!!!!!
(মোবাইলে ছবিটা তুলেছিলাম দেশে আমার কলিগদের দেখানোর জন্য, না হলে কেউই এই কথা বিশ্বাস করত না যে এইভাবে মেহমানকে কেউ আপ্যায়ন করে, তাও আবার বিদেশী মেহমান!!!)
ওর বাসা থেকে বের হওয়ার পর আমার অফিসারতো ভীষণ গরম। সে রাগে কিটমিট করতে করতে আমাকে বলে “শালা মালাউন!! এইভাবে আমাদের অপমান করল? আমার কথা না হয় বাদই দিলাম কিন্তু আপ্নিতো কোম্পানির হেড অফ এক্সপোর্ট।
আপনাকে এইভাবে অপমান করল কেন?” আসলে আমি যাওয়ার মাসখানেক আগে ঐ অফিসারকে পোস্টিং করেছিলাম ইন্ডিয়ায়, সে তখনও ইন্ডিয়ার বাতাস বুঝে উঠতে পারেনি। তারপর তাকে একটা ভালো রেস্টুরেন্টে নিয়ে খাওয়ানোর সময় দাদাদের সম্পর্কে হাল্কা আইডিয়া দিলাম। ১২ বছরে রপ্তানি কামলা হিসাবে ২০০বারেরও বেশী ইন্ডিয়ায় গেছি। এদের সভাব চরিত্র সম্পর্কে কিছুক্ষণ বুঝানোর পর সে শান্ত হল।
আর একটা দুখুজনক ঘটনা বলিঃ
আমাদের এক শিলিগুড়ির ইম্পোটার এতই কৃপণ ছিল যে সে খুবই কম খেত।
গত বছর তার শারীরিক অবস্তা খুবই খারাপ হয় যে তাকে হসপিটালে ভর্তি করতে হয়। ডাক্তার পরীক্ষা করে দেখতে পায় তার নাড়ী-ভুঁড়ি এতই শুকিয়ে গেসে যে সেখানে কোন খাদ্য ...প্রবেশ করছে না। না খেতে খেতে তার নাড়ী শুকিয়ে গেছে। বেচারা ১৫ দিন হসপিটালে থেকে মারা যায়। এই লোক কিন্তু ধনী ছিল, বছরে প্রায় ২ কোটি রুপির ইম্পোট করত আমাদের কম্পানি থেকে।
আমি এই কৃপণতার মানে বুজি না !!!!!!!
ওখান থেকে ফেরার পর আমার ফেইসবুকে এই ছবিটা আপলোড করছিলাম। সেখানেতো এই চা এর কাপে ঝড় উঠেছিল। সেখান থেকে কয়েকটা কমেন্ট কপি-পেস্ট করে দিলামঃ
Gedu Cacar Khola Cithi (গেদু চাচার খোলা চিঠি): ''খেয়ে এসেছিস নাকি যেয়ে খাবি''........''চাঁর আনার সন্দেশ পাঁচ জনে মিলে ভাগ করে খেলুম......এখন ও দাঁতে লেগে আছে''.........আধা ছটাক তেলে পাঁচ কেজি চালের খিচুরি...মাইরি বলচি দাদা...যা স্বাদ হয়েচে না...''...dis is Kolkata...
Kallol Nasim কোলকাতার কথা জকন তুললেন ই তো দুটো কথা বলেই যাই: "মাইরি দুপুরে কি খাওয়াটাই না খেলুম...অরদেকটা ডিমের পুরোটাই সালা খেয়ে ফেলেচি"
Kallol Nasim
ক্রেতাঃ দাদা মুরগির ওই ঠ্যাঙ এর পাস থেকে দুসো গ্রাম দিন তো
বিক্রেতাঃ সেকি দাদা বাড়িতে আজ উতসব নাকি...পুরো দুসো গ্রাম মুরগি !!
ক্রেতাঃ সেইরকম ই দাদা, দুই জামাই আজবে আজগে...ওদের দুজনের জন্য একসো গ্রাম আর আমাদের বাকি চারজন পুরো একসো গ্রাম...:-) :-)
হাবলু মামা: মুরগি রাধচেন নিকি দাদা ৷মাইরি বলছি, মুখে জল এসে পড়লো যে !দেখি, আপনার একটা ধুতি নিয়ে আসুন তো সিনান টা শেরে আসচি ৷তারপর একসাথে খাবোখন ৷
Sanat Biswas: তা মামা, কোল্কাতার বৌদি তোমায় আর কিচু খাওয়ায়নি? বচর দুয়েক আগে এগবার গিয়েচিলুম, মসলন্দপুরের বৌদি যা খাওয়ালো না... মরা টাকির লেজ আর তেলাকচুর ঝোল... আহ! মাইরি বলচি, সেই মরা টাকির ঘন্ধ একোনো নাকে লেগে আচে।
কলকাতার একটা জোকস:
এক লোক গেছে তার বোনের বাসায়। গিয়ে দরজায় নক করল।
প্রথমবার কেউ খুলল না। আবার নক.........কোন সারা-শব্দ নেই। তারপরেও সে আবার নক করল। কিন্তু না, এবার ও দরজা খোলার নাম নেই।
শেষমেশ আর না পেরে বলল..... "দিদি, আমি খেয়ে এসেচি তো।
"
দিদিঃ ওরে দুষ্টু, তা আগে বলবি নে?
এই পোস্টেই ব্লগার জুন কমেন্ট করেছে: যতবার পড়ি ততবার হাসি । ঐ দেশে ১০ বারের বেশী গিয়েছি।
কোদাই কানালে লেকে ঘুরবো, এক পান্জাবী দম্পতি জোর করে আমাদের সংগী হলো। ওনারা স্বামী স্ত্রী আর আমরা আমার পাচ বছরের ছেলে নিয়ে তিনজন। লোকটা বল্লো আসেন ফিফটি ফিফটি দিয়ে ঘুরি এত বড় বোট।
বউটা সাথে সাথে বলে উঠলো ফিফটি ফিফটি কেনো ওনার একটা ছেলে আছে না, পাঁচ ভাগ করো
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।