অভিলাসী মন চন্দ্রে না পাক, জোছনায় পাক সামান্য ঠাই ২টি পরিবার, প্রতিবেশী!
একটা পরিবারের কর্তা গাঁধা, আরেকটার কর্তা দাদা।
গাঁধা পরিবারের কর্তাটা খাসী মানে আবাল টাইপের, মানে ইনকাম নাই, মেধা নাই, আত্মমর্যাদাবোধ নাই, হ্যাংলা টাইপের কথা বলে, পরিবারে কোন শৃঙ্খলা কায়েম করতে পারে না, স্বামী-স্ত্রী পথের ধারে দাড়িয়ে ঝগড়া করে, আর কিছু একটা হলেই দাদার ঘরে এসে ২দিন পর পর সাহায্য চায়।
আর দাদা'র পরিবার হচ্ছে বড়! মানে সন্তান অনেক, বড় বাড়ি, এলাকার প্রতিষ্ঠিত লোকজনদের নিয়মিত সালাম-টালাম দেয়, গাধাদে'র চেয়ে কিছুটা আর্থিকভাবে সচ্ছল, কতাবার্তায় শালীনতা বজায় চলে, অর্থকড়ি'র সমস্যা মোকাবেলায় মেধা খাটাচ্ছে, মোটামুটি উন্নতি'র পথে চলছে। দাদা'র সংসারের ভেতরের অবস্থা সদরঘাটের মত হলেও, এলাকায় একটু ভাব ধরার জন্য বাসার চারপাশে দাড়োয়ান-টারোয়ান কুকুর-টুকুর পাহারায় বসিয়ে, একদম পাচিল-টাচিল বানিয়ে বাইরে থেকে দেখার মত একটা ঠাট-বাট সৃষ্টি করেছে।
দাদা জানে যে, প্রতিবেশি গাঁধা বাড়ি'র ২ ছেলে দাদা'র পরিবারের বখে যাওয়া ২ ছেলে'র কাছ থেকে নিয়মিত মাদক ক্রয় করে।
দাদা যেহেতু সুশীল ভেক ধরে সমাজে টিকে আছে তাই সন্তানের মাদক বিক্রি'র টাকায় তার সংসার চলে এটা জেনেও লোকের চোখে পরিষ্কার থাকার উদ্দেশ্যে এবং জন্মগত শত্রুতাভাবের কারনে দাড়োয়ানকে বললো ঐ প্রতিবেশী'র ছেলেগুলো'কে শাস্তি দিতে!
কিন্তু শাস্তি কিভাবে দিবে? দাদা'র সংসারই যে চলে মাদকবিক্রি করে!!! তার নিজের ছেলে হলো চুড়ান্ত বখাটে মাদকব্যবসায়ী, যারা প্রতিবেশী'র ছেলেদের প্রলোভন দেখিয়ে বাসায় ডেকে এনে মাদক বিক্রি করে, এই দেখে দাদা নিয়ম করলো যে, মাদক কিনতে হলে দেয়াল টপকাতে আসতে হবে!!!
আর দাড়োয়ান কুকুরদের বলে দিল, কেউ দেয়াল টপকালে তাকে ধরে প্যাদানোর জন্য! ( কি বুদ্ধি দাদা'র!)
আর দাড়োয়ান কুকুর যেসব আছে তারা তো গরীব দেখলেই ঘেউ ঘেউ করে। তার উপর রয়েছে দাদা'র পারমিশন, তাই প্রতিবেশী'র ছেলেরা যখন দাদা'র বাসায় এসে তার ছেলের কাছ থেকে টাকা দিয়ে মাদক কিনে ফিরে যাবার পথে থাকে তখন দাদা'র দাড়োয়ান কুকুরগুলো পেছন থেকে আক্রমন করে।
এই প্রহসন চলছে তো চলছেই, বহুদিন!!
দাদা'র ছেলে মাদক বেঁচে, গাধা'র ছেলে মাদক কিনে ফিরে যাবার পথে কুকুরের আক্রমনে পড়ে!
গাঁধা পরিবারের কর্তাটা নামের মর্যাদা রেখে চললেও সেই পরিবারের সবাই তো আর তা না!!! ওরা আর কতদিন এমন অন্যায় সহ্য করবে?
ওরা এলাকায় বিচার বসাতে চায়, সবাইকে বলতে চায় যে, দাদা নিজের ছেলেদের দিয়ে মাদক ব্যবসা করে, আবার তার ঘরে টাকা দিয়ে পণ্য নিয়ে ফিরে যাবার সময় কুকুর লেলিয়ে দেয়!!!
দাদা হুমকিতে ভয় পাওয়ার আগে নিজেকে প্রশ্ন করে, এই বিচার কি হবে?
উত্তর পেয়ে যায়- নাহ! কিচ্ছু হবে না!
দাদা ইচ্ছামত তার রামরাজত্ব চালিয়ে যেতে পারেন।
ইচ্ছা হলে গাঁধা'র মেয়েটাকে দাদা'র বাসা থেকে ফিরে যাবার পথে গুলি করে বেড়ায় ঝুলিয়ে মারতে পারেন।
প্রতিবেশী'র ছেলেটাকে ন্যাংটা করে লাঠি দিয়ে পিটাতে পারেন।
প্রতিবেশী'র বাসায় পানি সরবরাহের আগে নিজ বাড়ি'র সামনের পানি'র পাইপে ইচ্ছামত কাটাছেড়া করতে পারেন।
এককথায় দাদা সব ধরনের অবিচারই চালিয়ে যেতে পারেন।
কারন দাদা'র অত্যাচার বন্ধে'র জন্য প্রথমে তো ঐ গাঁধা পরিবারের কর্তাটার জনসম্মুখে অভিযোগ তুলতে হবে!!! দাদা যতক্ষন নিশ্চিত যে ঐ গাঁধা কর্তাটা তার অনুমুতি ছাড়া কিছুই করে না, ততক্ষন দাদা'র কি টেনশন ???
মাঝে মাঝে এলসেশিয়ান কুত্তা বদলে শেফার্ড এনে আবার শেফার্ড বদলে সড়াইল এনে রাখলেই হবে, ব্যাস!!! মুখে কিছু বলতে হবে না, যা যা বলে উত্তেজিত পরিবারকে ঠান্ডা করা যাবে তা ঐ প্রতিবেশী গাঁধা পরিবারের কর্তাই ভাল জানে।
সো, দাদা নাকে তেল দিয়ে ঘুমায়!
তবে, একটা বিষয়ে এলাকাবাসী চিন্তিত, কারন, একটা পরিবার তো আর একজনের না, সবাই তো আর জনাব গাঁধা না! কয়েকজন জনাব মানুষ টাইপের চরিত্রও আছে সেখানে। দিনের পর দিন অত্যাচার করার ফলে, ঐ গাঁধা পরিবারের শিশুগুলো শৈশবের রাক্ষস-খোক্ষস হয়ে গেছে এই দাদা!
কোন একদিন ওরা যদি দা-বটি-পাথর-কুড়াল নিয়ে দাদা'র বাসা আক্রমন করে বসে তাহলে অন্তত প্রথম ধাক্কা সামাল দিতে দিতেই অনেক কিছু হয়ে যাবে! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।