গ্রাম এ ১টা প্রবাদ আছে "অল্প পয়সা যার ঘেগা (পঁচা ) বেগুন তার"।
আমার অবস্হা ও কিসুটা সেইরকমই। যা বেতন পাই সেটা দিয়ে দিন আনি দিন খাই। এদিকে হবু বউ ( প্রেম এর বয়স ২ বছর ২মাস) এর আলটিমেটাম জুন মাস এর প্রথম সপ্তাহের মধ্যে দেশ এ না ফিরলে মামা ডাক শুনার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। সুতরাং, কি আর করা সুপারভাইজার আর মাথায় বন্দুক ধরে ২০০০$ এর একটা চাঁদা আদায় এবং সবচেয়ে সস্তা (১১০০০০ টাকা মাত্র)একখান বিমান টিকেট কেনা হলো।
বালা বাহুল্য এটাই ছিল সবচেয়ে কম দামি টিকেট। তো; যে বিমান কম্পানি টির কাছে আমি কৃতার্থ সেটি হলো ইন্ডিয়ান "জেট এয়ারলাইনস"। ( এই খানে বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য যে বিবাহের উদ্দেশ্যে আমার বঙ্গ যাত্রা ৮ই জুন আর আমার সুপারভাইজার একই উদ্দেশ্যে ১০ই জুন তাইওয়ান যাত্রা )
এবার আসি আসল কাহিনীতে । উক্ত বিমান কম্পানি টি মাত্র ৩৭ ঘন্টায় আমাকে টরোন্টোর "পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর" থেকে " "হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌছানো এবং ৩৬ ঘন্টায় ফিরার দায়িত্ব নিয়েছিল।
ঘটনা -১: (টরোন্টো -বেলজিয়াম-দিল্লী-ঢাকা)
এই যাত্রা পথে মাত্র ১৪ ঘন্টা যাত্রা বিরতি ছিলো দিল্লীতে (ইন্দ্রাগান্ধী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর)।
দিল্লী পৌছেছিলাম রাত ১০টায়। বিমান বন্দর এ পৌছেই মানটা খারাপ হয়ে গেলো যখন দেখলাম যে বিমান বোর্ডিং ব্রিজ এ না দারিয়ে খোলা মাঠে দারালো। আত:পর, বিমান থকে নামে সদর ঘাট এর লনঞ এ সিট নেবার মতো পরি মারি করে বাসে উঠে টারমিনাল এ আসা। টারমিনাল এ ঢুকেই বুজতে পারলাম যে আমি ১২০ কোটি লোক এর দেশে এসে পৌছেছি। মানুষ এর ঢল দেখে আর ঘুমানোর সাহস পেলাম না (সঙ্গে ২টা লেপটাপ)।
ঢাকার বিমান দুপুর ১টায়। সকাল বেলা খিদায় পেট চোনচোন করে উঠলে গেলাম কিসু একটা খেতে। সঙ্গে রুপি না থাকায় গেলাম ডলার ভাঙ্গাতে। গিয়েই মেজাজটা গেল বিগড়ে যখন সুনতে পেলাম যে একচেঞ্জ হাউজে শুধুমাত্র দাদারাই চেঞ্জ করতে পারবে (ফাদ নং ১)। অগত্য কি আর করা ডলার নিয়ে দকান এ হাজির হলাম (এখানে বালে রাখি খাবার দোকান আছে মাত্র ৫টি)।
খাবার এর দাম দেখে তো আমার নি:স্বাস বন্ধ হবার উপক্রোম । পা-ভাজি (২ টাকা দামের ২টা পা-রুটি+ আলু-পটোল এর ঝোল ) ১৩০রুপি আর চিকেন-বারর্গার ২০০ রুপি (যেখানে ম্যাকডোনাল্ড এর চিকেন-বার্গার+ ড্রিনংস ২$ এ পাওয়া যায় ) ।
আমি বুঝতে পারতেছিলাম না হা্ঁসবো না কা্ঁদব !!!!!!!
এটাও না হায় সয্য করা গেলো কিন্তু যখন দোকানদার বল্লো যে ১কানাডিয়ান $=৪০রুপি এইবার কি হতে পারে আপনারাই ভেবে নেন সেটা। যাই হোক দাঁত-মুখ চেপে ধরে দিলাম ১০ $ একটা নোট । বল্লাম যে ৫$ কেটে নিয়ে ৫$ ফিরত দেন ।
সেটাতো দিলো নাই বরং খুচরা না থাকায়
এক কর্মচারীকে দিয়ে সেই একচেঞ্জ হাউজে পাঠিয়ে ৪৫রুপি হিসাবে ভাঙ্গিয়ে এনে আমাকে ৫$=২০০রুপি ধরিয়ে দিলো।
ঘটনা -২: (ঢাকা - দিল্লী- লন্ডন- টরোন্টো)
ফেরার পথে আবার দাদা দের দেশ এ ২ ঘন্টা :
বার বার নিরাপাত্তা চৌকিতে খুলবার হাত হতে রাক্ষাপেতে বিয়েতে শশুর প্রদত্ত একমাত্র উপহার স্বর্নের চেনটি খুলে Waist Bag নিয়েছিলাম। সঙ্গের কাপড় এর ব্যাগ + ল্যাপটপ ব্যাগ এবং Waist Bag স্কেনিং মেসিন এর দেবার পরে উপস্হিত নিরাপাত্তা রক্ষী মাসিন সংলগ্ন আর্চওয়ে দিয়ে পার হতে না দিয়ে পার্শবর্তী আর্চওয়ে দিয়ে পার হতে বল্ল। তখন ও এই নির্দেশ এর মমুজেজাটা বুঝতে পারি নাই; বুঝতে পারলাম টরোন্টো তে এসে, যখন Waist Bag হাতরিয়ে চেইন টা পেলাম না। এইবার বুঝতে পারলাম যে স্কেনিং মেসিন এ পরিক্ষার সময় চেইন টা ধরা পরার পর দুই হাতের কর্মটা সারার জন্যই দাদাদের ঐ কালক্ষেপন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।