আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আকাশ এত মেঘলা যেয় নাকো একলা It's dangerous to go alone

ভয়াবহ অবস্থা! নিশ্চয়ই ঝড় হবে আজকে!!! নাকি ঝুম বৃষ্টি!!! নাকি বঙ্গোপসাগরে কোন নিম্নচাপ তৈরী হল!!! সেই বিকেল থেকেই বা বলা যায় দুপুর শেষ হতে না হতেই আকাশের অবস্থা ভয়াবহ!! ঘন কালো মেঘে ছেয়ে আছে আকাশ, চারদিকের পরিবেশটা যেন সন্ধ্যার মত একটা আধো অন্ধকারের আভরণ জড়িয়ে ডাকছে কোন ভয়াবহ নিয়তির দিকে। কী সেই নিয়তি!! ঝড়, বৃষ্টি, জলাবদ্ধতা!!! না প্রায় দুই ঘণ্টা কেটে গেলেও এর কোন আলামতই দেখা যাচ্ছেনা চারপাশে। না কোন বাতাসের ঝামটা মারছে গায়ে, না পড়ছে কোথাও একটা বৃষ্টির ফোটা, নেট ঘেটে কোথাও পেলামনা নিম্নচাপ সৃষ্টির কোন খবর। হ্যা পৃথিবীটা দেখি আজ অদ্ভুত শান্ত। প্যাসিফিক, আটলান্টিক, ইন্ডিয়ান ওশেন সবজায়গায়ই শান্ত, কোন নিম্নচাপ লঘূচাপের বালাই নেই।

তাহলে আজ এমন কেন ঢাকার পরিবেশ? বাতাসের আদ্রতা আজ এমনিতেই বেশী মনে হচ্ছে, তারউপর বাতাসের গতিবেগ মনে হয় এখন শূন্যের কোঠায়। এমন গরম লাগছে আর সেই সাথে ঘামাচ্ছে সবার শরীর, জন্ডিস হওয়ার ভয় পেয়ে বসেছে সবার মনে। তবে সবাই যেটা আশঙকা করছে সেটা হল ভয়াবহ একটা ঝড় বা বৃষ্টি নামবে আজকে। এমনিতে সামান্য বৃষ্টিতেই ধানমন্ডি ৮ নম্বর ব্রীজ থেকে মহিলা কম্প্লেক্সের সামনে পর্যন্ত রাস্তাটা এক হাটু পানিতে ডুবে যায়। তাই ৪.৩০ বাজতেই অফিসের সবাই মনে মনে হাউ কাউ শুরু করে দিল কখন অফিস থেকে বের হবে।

কিন্তু তাদের এই হাউ কাউ মনের ভিতরেই চাপা পড়ে থাকায় বাইরে কেউই জানতে পারলনা অপরের মনে কী চলছে!! তবে এমন অবস্থায় যা হয়, জহির ভাই যে কিনা সবসময় সবার আগে বোমা ফাটাতে ভালোবাসে সে হঠাৎ করেই উঠে দাড়িয়ে মহা বিরক্ত হওয়ার ভঙ্গিতে বলে উঠল,"আপনেরা থাকলে থাকেন আমি এখন চললাম। আমার হাউশ নাই জুতা ভিজাইয়া বাড়িত যাওনের"। বলেই সটান দাড়িয়ে পাশের ডেস্ক থেকে এটেন্ডেন্সের খাতাটা নিয়ে সাইন করতে শুরু করলেন। আর চারদিক থেকে শুরু হয়ে গেল হাউ কাউ, "আরে এত তাড়াতাড়ি যান কেন" "আরে একটু পরে যান" "সবাই একসাথে যাবনে" "শুধু শুধু ভয় পাইতেছেন, আজকে বৃষ্টি হবেনা"। আমি জানি জহির ভাই থামার মত মানুষনা।

সে যা মনে করছে তা করবেই। তাকে ঠেকিয়ে রাখার কেউ নাই। আমার পিসিও এতক্ষণে শাটডাউন হয়ে গেছে। আমিও উঠে দাড়িয়ে জহির ভাইয়ের হাত থেকে এটেন্ডেন্সের খাতাটা নিয়ে সাইন করতে করতে বললাম "চলেন ভাই। আমিও আপনার সাথে যাব।

একটা কাজ আছে। " এই কথা বলে শেষ করতে পারলাম না দেখি প্রজেক্ট ম্যানেজার কুকুরের মত ঘেউ ঘেউ করতে করতে এসে পড়ল " আরে চলে যাচ্ছেন যে কাজ শেষ করছেন নাকি? প্রজেক্ট টাইমলি কম্প্লিট না করলে কিন্তু ক্ল্যায়েন্ট এইবার পেমেন্ট আটকাইয়া দিবে"। পাত্তা দিলামনা কুত্তাটারে, জাস্ট বললাম "আজকের ডেটে ফোল্ডার করা আছে, চেক করে নিয়েন। " এরপর জহির ভাইকে নিয়ে তাড়াতাড়ি বেড়িয়ে আসলাম অফেস থেকে। তবে বেড়িয়ে আসার সময় লক্ষ্য করলাম কুত্তাটা আমার পিসি অন করে দিয়েছে।

তারমানে এখন একটু লেট করা মানে কুত্তাটার সাথে বসে আধ ঘণ্টা বকবক করা। চান্সই দিলামনা শালারে, ধপ করে লাগিয়ে দিলাম দরজাটা। তারপর হনহন করে বেড়িয়ে আসলাম রাস্তায় আমি আর জহির ভাই, নাকি বেড়িয়ে আসলাম এক অজানা, রহস্যময়, ভয়ংকার রাতের সন্ধানে চলবে। অফটপিক: জরের মধ্যে খুব তাড়াহুড়ো করে লিখছি। সিরিয়াসলি পাঠ করে বিরক্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি সবাইকে।

তারচেয়ে নিন এই গানটা শুনুন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।