আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সামু ব্লগার্স পিকনিক ২০১২ । এক্সক্লুসিব ছবিসহ

স্বাগতম সামু ব্লগার্সরা পিকনিকের ঘোষনা দিতেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলাম আমি যাবো। কিন্তু মনে ভয় ছিল শুধুমাত্র ভার্চুয়াল রিলেশনের লোকগুলি কেমন হবে,আনন্দ করতে গিয়ে একাকীত্বের যন্ত্রনা নিয়ে ফিরবো নাতো? তাই আমার সঙ্গে সৌদি থেকে আসা বন্ধুবর ইকবালকে সঙ্গে নিলাম। কিন্তু পুরো সময়টা আমাদের অসম বয়সের সমমনা ব্লগার্সরা আমার ধারনাকে পালটে দিয়ে যেভাবে একত্রে আনন্দ ফুর্তি করলো, এক কথায় অসাধারন! সেদিন খুব ভোরেই ঘুম ভেঙ্গে গেল,নাস্তা না করেই ছুটলাম শাহবাগের মোড়ে,সকাল ৮-২০মিঃ পৌছে দেখলাম কেউ আসেনি। তাই দুই বন্ধু মিলে রেস্টুরেন্টে পারাটা ডাল-বাঝি খেয়ে ফিরে এসে দেখলাম কিছু ব্লগার্স চলে এসেছে। প্রথমেই গিয়ে হাত মিলালাম যার সঙ্গে তিনি ব্লগার নন তবে ছোট্ট ব্লগার আসকারির বাবা সঙ্গে নিমচাদভাইও সেখানে ছিলেন।

আর এরই মধ্যে এসে গেলেন এই পিকনিকের অন্যতম আহবায়ক শাহ ইকরাম ভাই। শুরু হলো আমাদের পিকনিক ডে। হাওয়াই মিঠাই নিয়ে পিকনিকের অন্যতম সংগঠক শিপুভাইএর আগমন। ব্যানার লাগানো হচ্ছে জিসান শা ইকরাম ভাই ও আব্দুল্লাহ আল মনসুরের সঙ্গে শাহবাগে ব্লগাররা বাসে উঠেছেন শিপুভাই চাদা আদায় করছেন কেউ কেউ গান শুরু করে দিল,এখানে নস্টকবি মাউথ অর্গান আর শাহেদ গিটার বাজাচ্ছে প্রাণবন্ত ব্লগার ছোট মির্জা আবারো এসেছে চাদাবাজী করতে,ইকবাল সৌদি রিয়াল দিয়ে আনন্দের খোরাক দিলেন হাওয়াই মিঠাই দেয়া হচ্ছে বাচ্চাদের মতো হাওয়াই মিঠাই খাওয়া শালবনে নেমেই বাশি,লাঠি আর ডাল তলোয়ার কিনে নিচ্ছে অনেকেই কেউ কেউ বলছিলেন পিকনিকে ক্যাচালকারীর অনুপ্রবেশ হলে শাহ ইকরাম ভাই পিকনিক স্পটে এক ঐতিহাসিক ভাষনদেন যা ভিডিওব্লগাররা ইঊটিউবে প্রকাশ করলেও করতে পারেন নিমচাদ(দেলোয়ারভাই) তার ছেলেকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন ছোট মির্জা শিপুভাইয়ের পরিবারকে সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন আমাকে শাহ ইকরামভাই পরিচয় করিয়ে দেন। কিন্তু ছবি নাইকা ঐদিকে শুরু হয়েছে ক্রিকেট প্রতিযোগিতা ব্যটে আসকারি আর উইকেটে ইকবাল পোলাপানে শুন্য রানে কট নিলেন নায়কের মতো ব্লগার শাহেদ আপু ব্লগারদের গান শুনিয়ে যাচ্ছেন বাচ্চাদের বিস্কুট দৌড় প্রতিযোগিতা আপু ব্লগারদের পিলো পাসিং আড্ডা আর ফটো সেশন চলছে খাবারের প্লেট ধরিয়ে দিলেন নীলপরী কিন্তু কুড়ি মিনিটেও খাবার নেই আর কাচ্চিবিড়ানি যখন চলেই এলো তখন ছবি উঠানোর সময় নেই।

শুধু খাওয়া (ছবি তোলা হয়নি) নীলপরীর বানানো গড়মপানিতে তৃপ্তি সহকারে সবাই চা খেলাম আর নীলপরী আপু জিতে নিলেন সেই হাড়িটা শালবনের শেষ ছবিটি তুলে নেয়া হলো। বাসে করে ফিরে চলার সময় সামনের সারিতে চলছিল ধুমছে গান ,প্যারোডি আর হকারের ভুমিকায় পানকৌড়ি বেশ মাতিয়ে ছিল আর পেছনে কিছু ব্লগার(নাম বলবোনা) ১৮+ গল্প শুরু করে ছিল। আমি ৪০+ বলে আসকারির দলভুক্ত হয়ে গেলাম ধন্যবাদ সবাইকে যারা এতো সুন্দর একটা পিকনিকের আয়োজন করেছিল। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.