আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
সামু বয়কটকারী পিয়ালের ফেসবুকে একটি ষ্ট্যাটাস ছিল আসিফ মহিউদ্দিনকে নিয়ে। যা আসিফ মহিউদ্দীন কোনো একটি নোটে লিখেছে
"আমি স্পষ্ট করে বলছি, গোলাম আজম থেকে শুরু করে সকল যুদ্ধাপরাধীদের আমি নিরপেক্ষ বিচারের মাধ্যমে ফাঁসিতে ঝুলতে দেখতে চাই। এই বিচারে অভিযুক্তদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ রাখতে হবে, বস্তুনিষ্টভাবে এবং নিরপেক্ষভাবে তাদের অপরাধের মাত্রা বিচার করতে হবে...। "
তারপর আর যায় কোথায়! এটিমের প্রতিষ্ঠাতা ডাক্তার আইজুদ্দিন একে রম্য-কৌতুক রচনা করে সমালোচন করলেন। যার কিছু উল্লেখযোগ্য অংশ;
গু আজমের মানবাধিকারের কি হবে? এসব কি আমরা কোন সমাজে বাস করছি
এরপরে যখন গু আজমবের অনুসারীরা গু আজমের সমালোচনা করার কারণে আমার বাসায় আগুন দেবে, তখন আমি কি করবো? এই পালটা পালটি মারামারির সংস্কৃতি কেন? মত প্রকাশের বিরুদ্ধে উষ্কানী দেয়া কেন? আমরা কি সুস্থভাবে একে অপরের যৌক্তিক সমালোচনা চালাতে পারি না? মত প্রকাশের বিরুদ্ধে পালটা মত প্রকাশ করে প্রতিবাদ জানাতে পারি না? যুক্তির বদলে পালটা যুক্তি তুলে ধরতে পারি না? কেন কাউকে চাপাতি দ্বারা আক্রমন করা হবে, কেন কারো বাসায় আগুন দেবার চেষ্টা করা হবে?
ফেসবুকে কিছু উম্মাদ মুক্তিযুদ্ধ ব্যাবসায়ীকে দেখি, রীতিমত জঙ্গী স্ট্যাইলে মাইরা ফালামু কাইট্টা ফালামু ধরণের বক্তব্য দেন, এবং অল্পবয়সী আবেগপ্রবণ তরুনদের হাততালি কুড়ান।
এরা সদ্য ধর্মান্ধ মৌলবাদী থেকে উম্মাদ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ব্যাবসায়ী হয়েছেন, তাই সম্ভবত তাল সামলাতে পারছেন না। আমি স্পষ্ট করে বলছি, গু আজম থেকে শুরু করে সকল যুদ্ধাপরাধীদের আমি নিরপেক্ষ বিচারের মাধ্যমে ফাঁসিতে ঝুলতে দেখতে চাই। এই বিচারে অভিযুক্তদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ রাখতে হবে, বস্তুনিষ্টভাবে এবং নিরপেক্ষভাবে তাদের অপরাধের মাত্রা বিচার করতে হবে।
http://www.amarblog.com/doctor/posts/142422
আরেক জন ব্লগার রাসেল পারভেজ(উনি সামুতেও লেখেন) আসিফ মহিউদ্দিনের অবস্থানকে সমর্থন করলেন। যার কিছু উল্লেখযোগ্য অংশ;
আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল সম্পর্কে একটা নেতিবাচক ধারণা বৈশ্বিক পর্যায়ে তৈরি হয়েছে, সে নেতিবাচক ধারণা থেকেই আন্তর্জাতিক রেডক্রস, হিউম্যান রাইটস এবং যুদ্ধাপরাধের বিচারের সাথে সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বাংলাদেশের ট্রাইব্যুনাল বিষয়ে বিভিন্ন রকম প্রশ্ন উত্থাপন করেছে, এর কর্মপ্রনালীকে বিভিন্নভাবে সংশোধনের সুপারিশ করেছে।
এইসব সংস্ঠার কর্তাব্যক্তিরা খোলা চিঠি এবং পররাষ্ট্র দপ্তর ও স্থানীয় সংস্থার মাধ্যমে সরকারের কাছে বিভিন্ন ধরনের সুপারিশ উপস্থাপন করেছে।
আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের উপরে এভাবে এক ধরণের চাপ তৈরি হয়েছে। সরকার যতবার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে নিরপেক্ষ বিচারের অঙ্গীকার প্রদান করছে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রমে তত বেশী স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার চাপ তৈরি হচ্ছে। বিচার বিষয়ে আমাদের যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবি জানিয়ে আসা ব্যক্তিবর্গের সরলরৈখিক ধারণা বিদ্যমাণ। প্রচলিত আইনী কাঠামোতে যত ধরণের বিষয় বিবেচনা করা প্রয়োজন সেসব কিছুই বিবেচনা করে ট্রাইব্যুনালকে নিজের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়, কোথাও কোনো প্রশ্ন তৈরি হলে এর নিরপেক্ষতা বিষয়ে যে ধরণের আন্তর্জাতিক নেতিবাচক প্রচারনা শুরু হবে সে বিষয়ে এই ট্রাইব্যুনালের সবাই অত্যন্ত সচেতন।
অধিক সচেতনতা তাদের আরও বেশী সাবধানী করেছে। বিশেষ ট্রাইব্যুনালের এই অতিসতর্ক মনোভাব আমাদের যুদ্ধাপরাধ বিশেষজ্ঞদের মন:পুত নয়। তারা ট্রাইব্যুনালের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করছেন। ফলে এই ট্রাইব্যুনালের সাথে সংশ্লিষ্ঠ ব্যক্তিগণ যুগপত আভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক চাপের মুখে নিজেদের কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন।
মোমবাতি আর টর্চ জ্বেলে ল্যাঞ্জা খোঁজা বাদ দিয়ে ।
। । । । ।
। । । । ।
। ।
Click This Link
*********
আমার বক্তব্য হল যদি International শব্দটি যুক্ত থাকে তবে অবশ্যই ১৯৭৩ সালের পুরোপুরি মানদন্ড বজায় থাকে। আর সরকার যদি মনে করে ধৃতরা সবাই দোষী তো International শব্দটি বাদ দিয়ে দেশী স্পেশাল তথা সর্ম্পূণ কোর্ট মার্শাল ষ্টাইলে সংক্ষিপ্ত বিচারের মাধ্যমে সবার মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হৌক। তাতে অন্তত দেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কথা শোনা ও অপমান হতে বেচে যাবে।
এ প্রসঙ্গে ব্লগার আদিল মাহমুদের মন্তব্য খুব গুরুত্বপূর্ণ;
শুক্রবার, ১৩/০১/২০১২ - ২৩:৩০ তারিখে আদিল মাহমুদ বলেছেন
মান সম্পন্ন বিচার এবং স্বচ্ছতা অবশ্যই দরকার। নইলে আদালতে রায় হবে, আমরা রাস্তা এবং ব্লগ কাঁপিয়ে ফূর্তি করব এবং তার কিছুদিন পরেই সবগুলি সুড় সুড় করে বেরিয়ে যাবে। শুধু আবেগ দিয়ে আদালতে অপরাধ প্রমান করা যায় না এই তিক্ত বাস্তব সবাই মনে রাখলে ভাল। এটা নিশ্চিত করা নিশ্চিত শাস্তির জন্যই দরকার।
তবে আইনের অধ্যাপক আসিফ নজরুল সাহেব মামলার বিচার/রায়ের আগেই কিভাবে কাউকে নিরপরাধী সার্টিফাই করেন তা বোধগম্য নয়।
তাই কেউ যদি তার স্বাধীন শান্তিপূর্ণ মন্তব্য করার জন্য তার কথিত লেঞ্জা ধরে টানাটানি শুরু করে তাহলে এ দেশে সুশীলদের কি অবস্থা দাড়াবে সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করতাছি!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।