আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লালন, হাসন, ও রবি ঠাকুরের এডভেঞ্চার ও ইশ্বর সাহেবের খামখেয়ালি (একটি গুরুচন্ডালি দোষে দুষ্ট রম্যলিখা)

http:/t//images/authors/ovee_cep-263462_231660043520986_100000309770317_802117_2385023_n.jpg পর্ব-১ একদা এক রাজ্যে লালন, হাসন ও রবি ঠাকুর নামে তিন লোক বাস করিত। তাহারা কেহ কাউকে চিনিত না। লালন ভাবের সুধায় বিমোহিত থাকিতেন, হাসন বেটা নারীর সুধায় আর রবি ঠাকুর যে কি করিত তাহা নাই বা বললুম । মোটকথা আমাদের তিন চরিত্রই অকর্মন্য দলের অধিভুক্ত সদস্য ছিল। কথায় বলেনা অলস মস্তিস্ক শয়তালের কলকারখানা যাহা হইতে সম্পুর্ন পাস্তুরিত পলিপ্যাকে শয়তানের বাচ্চারা জন্মলাভ করিয়া থাকে।

লালন বনে বাদারে হাটাহাটি করিত আর কি শব বলিয়া বেড়াইত, রবি ঠাকুর কয়েক আটি ঘাস নিয়া চিবাইতে চিবাইতে নদীতীরে আসিয়া জল পতনের শব্দ শুনিত অথবা আকাশ, পাতাল রুপার তরী... ভাবিত, আর হাসন তো লংগর খানায় পড়িয়া নেশায় চুড় হইয়া থাকিত। যাহাই হোক ইশ্বর সাহেব চিন্তা করিলেন এই তিন অকর্মন্যকে নিয়া কি করা যায় ... এদের তিনটাকে এক করিয়া দেখিতো কি হয় !! যেই ভাবা সেই কাজ। এটা তো আর আমাদের রাজনেতিক নেতাদের ভাবনা না যে কার্জকর হবেনা, ইহারা কখন কি বলে তা বেমালুম ভুলে যায়। ইশ্বর সাহেবের নিজেরই মাঝে মাঝে অবাক লাগে !! এমন একটা প্রজাতি কিভাবে তিনি বানাইলেন । তো ইশ্বর সাহেব উহাদিগকে একটি নদীর তীরে একত্রিত করিলেন।

লালনতো বাকি দুই অকর্মন্য কে দেখিয়াই বুঝিতে পারিলযে ইহারাই বন্ধু হইবার যোগ্য। রবি ঠাকুর লালনের ঘন কালো রেশমী চুল দেখে রমনী ভাবিয়া ভুল করে গাইয়া উটিলেন “ আমি চিনিগো চিনিগ তোমারে ওগো বিদেশিনী তুমি থাকো সিংন্ধুপারে ...” কিন্তু পরক্ষনেই তাহার ভুল ভাঙ্গিয়া কাচের টুকরার মত চুর্ন-বিচুর্ন হইয়া যায়। ইহা শুনিয়া লালন বান্দরের বাচ্চার ন্যায় লাফাইতে লাফাইতে গাইয়া উঠিল “ তিন পাগলের হল মেলা নদেয় এসে ওরে মন নদেয় এসে... তোরা কেউ যাসনে ও পাগলের কাছে” এই খানে গানের শেষ লাইন শুনিয়া রবি ঠাকুর হাসিয়া উঠিলেন তবে তাহার ৩৬ দন্ত দেখা যাইল না। কারন তাহার গোফ লম্বা হইয়া তাহার বমুখের সুক্ষ ছিদ্রখানি ঢাকিয়া দিয়াছিল। তবে লালন আন্দাজ করিল দন্ত কিনচিৎ কম থাকিতে পারে, দন্ত দেখা না যাইলেও হাসি দেবার সময় তাহার মুখদিয়া ফুস করে বাতাস বাহির হইবার একটা শব্দ শুনা গিয়াছিল।

আর ওইদিকে রবি ঠাকুর ভাবছিল শালা কেউ কাছে আসবে কিভাবে কবে যে গোস্ল করেছিলুম তা তো নিজেরই মনে নাই... পল্লবিত সুগ্রানে বদনের সব উকুন তাহাদের সমস্ত পরিবার নিয়া আত্মাহুতি দিয়াছে। রবি ঠাকুর লালনকে দেখিয়া ভাবিলেন আহা উহার সাথেই বন্ধুত্ব জমিবে। এরিমধ্যে এক চলনবাকা রমনী নাকচাপা দিয়া নদীতীরে জলসেচন থুক্কু জল নিতে আসিল। (কচ্ছপের মত চলিবে .. to be continued....)  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.