লালন মেলা সাংস্কৃতিক যোগান দেওয়ার পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীর নানা জিনিসের ক্রয়-বিক্রয়ের কেন্দ্রে পরিণত হয়। সব মিলিয়ে এবারের মেলায় ৪শতাধিক স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। খাবারের দোকান, নিত্য দিনের কাপড় -চোপড়, শিশুদের খেলনা, গানের নানা সরঞ্জামাদি যেমন ঢোল, তবলা, একতারা, হারমনির দোকান, মিষ্টির দোকান আসবাবপত্রসহ নানা ধরনের স্টল বসেছে মেলায়। মেলা জমে ওঠার পেছনে বাণিজ্যিক কারণটা অনেকবেশি দায়ি বলেই দর্শনার্থীদের কথা থেকে জানা যায়। স্থানীয় এক গৃহিণী আমেনা খাতুনের সাথে কথা বলে জানা যায় সে গৃহের টুকিটাকি কিছু জিনিস কেনার জন্য মেলায় এসেছে।
লালনের ভক্ত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সে জানায় এ ধরনের কিছু না তবে লালনের গান খুব ভালো লাগে। তবে মেলার এ বাণিজ্যিক দিককে সমর্থন দিচ্ছে না লালন ভক্ত বাউল সাধকরা। তারা দাবি করছেন মেলাকে ব্যবসার হাতিয়ার তৈরি করার কারণে আসল যারা বাউল সাধক তারা তাদের মূল উদ্দেশ্য সফল করতে পারছে না। সাধকরা যে কারণে মেলায় আসে অধিক জনসমষ্টি বাণিজ্যিক দিকে আকৃষ্ট হওয়ায় তাদের মূল উদ্দেশ্যে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বাড়াংদিয়া গ্রামের লালনভক্ত সুফিয়া খাতুন বলেন, ‘শান্তির জন্য ১০ বছর ধরে আমি নিয়মিত এখানে আসি।
প্রতিবছর মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু কমিটি মানুষের জায়গার ব্যবস্থা না করে মাঠের অর্ধেক জুড়ে খাট-পালঙ্কের দোকান দিয়ে ব্যবসা ফেদেছে। ’
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।