এই পৃথিবীতে শুধুমাত্র দুই রকমের মানুষ আছে। ভালো মানুষ যারা ভালো কাজ করে। আর খারাপ মানুষ যারা খারাপ কাজ করে। এটাই মানুষদের মধ্যে একমাত্র পার্থক্য। আর কোন পার্থক্য নেই... আমি ভাল মানুষ...☺☺☺
আচ্ছা, আস্তিক এবং নাস্তিক।
যারা আল্লাহকে বিশ্বাস করেন তারা আস্তিক আর যারা আল্লাহকে বিশ্বাস করেন না তারা নাস্তিক। আমি একজন আস্তিক। আমার ধর্ম ইসলাম। ব্লগে ইদানিং আস্তিক এবং নাস্তিকদের মধ্যে যুদ্ধ ভালই চলছে। ঐ যুদ্ধ নিয়ে কোন কথা বলবোনা।
আমি একজন অতি সাধারণ অল্পবয়স্ক মানুষ। এইসব ব্যাপারে আমার নাক না গলানোই ভাল। এতোদিন নাক না গলিয়েই ছিলাম। কিন্তু এখন আর পারছিনা।
আচ্ছা, নাস্তিকরাতো আল্লাহকে বিশ্বাস করেনা।
কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি। বাংলা ব্লগে নাস্তিক বলে আমরা সবচেয়ে বেশি যাকে চিনি তিনি হলেন ব্লগার "আরিফুর রহমান"। ঐ লোকটাকেতো কখনো দেখলাম না কারো বাপ-মা তুলে গালি দিতে। অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করতে। তাহলে আমরা মহানবীর অনুসারী হয়ে কিভাবে গালি দেই? ইসলাম কি কখনো অশ্লীল ভাষাকে সমর্থন করে? অবশ্যই না।
আমরা যেমন আল্লাহকে বিশ্বাস করে বিশ্বাসের কথা ছড়িয়ে বেড়াচ্ছি তারাও সেরকম বিশ্বাস না করে অবিশ্বাসের কথা ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে। কিন্তু যথেষ্ট শ্লীল ভাষায়। সাপের লেজে পা ফেললে ছোবল খেতেই হয়! আমি এখন পর্যন্ত কোন নাস্তিককে গায়ে পড়ে গালিগালাজ করতে দেখলাম না। কেউ যদি কখনো মাথা গরম করে গালি দিয়েই ফেলে, পরবর্তীতেই ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে ব্লগারদের কাছ থেকে।
আমাদের প্রিয় নবী কি আমাদের এই আদর্শ দিয়েছে যে নাস্তিকদেরকে দেখলে গালি-গালাজ করো? সবার কাছেই প্রশ্নটা রাখলাম।
তিনি কি গালি-গালাজকে সমর্থন করেছেন? কখনোই না। নাস্তিক হই আর আস্তিক হই আমরা সবাই মানুষ। একজন মানুষের সাথে কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তা আমরা আমাদের ধর্মগ্রন্থ থেকে জেনেছি। তাহলে কেন আমরা খারাপ ব্যবহার করবো?
তাই সবার কাছে অনুরোধ রইলো। সে আস্তিক হোন আর নাস্তিক হোক।
গালি-গালাজ পরিহার করুন। গালি-গালাজ করে কখনো কোন আলাপচারিতা চলেনা। গালি-গালাজ কখনোই কোন সমস্যার সমাধান হতে পারেনা। । ।
সবাই ভালো থাকবেন
-হ্যাপি ব্লগিং
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।