পূর্ণ হতে চাইনি তাই পূর্ণতার খোঁজ করি, অপূর্ণতাই থেকেছে পাশে তাই অপূর্ণতার কাছে ঋণী
কখনো কিছু কি বলার ছিল?
না হয়তো, আবার হতে পারে-
বলার মত শব্দগুলো পরিপূর্ণভাবে পরিপুষ্টই হয়ে ওঠেনি এখনও।
অস্থির হয়ে উঠছিলাম, কতদিন কতকিছু জমে গেছে ভেতরে
বলাই হয়নি!
অথচ, কোত্থেকে কি একটা অনুভূতি স্পর্শ করে গেল-
বলল, 'যখন তোমার গর্ভে তোমার সন্তান আসে, তুমি তোমার মনগর্ভেও পৃথিবীর সবচাইতে অকৃত্রিম সুখটাকে ধারণ করো। এবং খুব চাও, যেন এখনই সেটা কেউ দেখে ফেলুক যে কতটা আনন্দ তুমি লালন করছো তোমার মাঝে! কিন্তু তোমার সন্তান যে এখনও পরিপুষ্ট নয়! তোমার সন্তানই তো তোমার আনন্দের বাহক, যার মাধ্যম দিয়ে (যাকে দেখে) মানুষ তোমার আনন্দকে উপলব্ধি করবে। কিন্তু সে যে এখনও অপরিপূর্ণ। পৃথিবীর আলো-বাতাস প্রবেশ করার মত সহ্যক্ষমতা-সক্ষমতা ওর শরীরে এখনও গঠিত হয়নি।
সে জন্য সময় দরকার। কমপক্ষে দশ মাস, দশ দিন। প্রয়োজন, ওর রন্ধ্রে-রন্ধ্রের প্রতিটি সুনিপুণ চিত্রকলার। তোমার যত্ন আর লালনের প্রতিটি বিনিয়োগ সময়ে সময়ে ওর প্রতিটি অণুর অস্তিত্বকে নিশ্চিত করবে। সেই প্রতীক্ষাগুলো তোমার থাকতেই হবে।
সময়ের করণ যে সময়ই করে দেয়। তোমাকে শুধু সাধন করে যেতে হবে, লালন করতে হবে। তবেই না আনন্দাশ্রু যথার্থ হয়! ঠিক সেভাবেই; যে কথাগুলো আজও শব্দে লিখতে কিংবা বলতে পারোনি বলে অস্থির হয়ে আছো, ভেবে নাও তোমার ভেতরে তারা এখনও পরিপুষ্ট হচ্ছে ধীরে ধীরে। মানুষের অপেক্ষা থেকে তোমার লালিত প্রতীক্ষার দাম অনেক বেশি। সেটাকেই সামনে রাখো।
'
ঠিক এরপরেই, অস্থিরতা বলে সন্দিহান শব্দটা আমার মাঝ থেকে চিরছুটি নিল; স্বেচ্ছায়। আর আমি কথামত, প্রতীক্ষার সাধন করে যেতে লাগলাম......
সবকিছুর পরে আজও যা, কালও তা-
''মানুষের অপেক্ষা থেকে তোমার লালিত প্রতীক্ষার দাম অনেক বেশি। ''
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।