পোস্ট ডক্টরেট-School of Medicine, Harvard University
Boston, Massachusetts
পি এইচ ডি-Gunma University, Japan
Maebashi-shi, Gunma, Japan
--মাইক্রোবায়োলজী-Dhaka University
Dhaka, Bangladesh
HSC-Dhaka College
SSC-Monipur High School
এই পৃথিবীতে এত ভালো মানুষ আছে কি না সন্দেহ। আমার প্রিয় মানুষ। আফজাল -ফরীদির বন্ধুত্ব আর আমার আর ওর বন্ধুত্ব সমান লেভেলের। একসঙ্গে খেলেছি পড়েছি সব কিছুই করেছি। বন্ধু আমার অসাধারণ।
আমার চেয়ে ভালো ক্রিকেট আর ফুটবল খেলত। ও ছিলো হার্ড হিটার । ম্যাচ উইনিং প্লেয়ার। বোলার হিসেবে অনেক ভাল। এটা অবশ্যই পাড়ার লেভেলের।
আমার সঙ্গে পড়ালেখায়ও প্রায় একই অবস্থা। আমি ওর চেয়ে টেলেন্টছিলাম। ও ভূগোলে আমার চেয়ে মার্ক বেশি পেত। পারলে আমার পড়া পড়ে দিয়ে ও আমাকে ফাস্ট বানিয়ে দিত। এই বন্ধু আর আমি পড়াশুনা শেয়ার করতাম।
আমি বেশি ভালো করলেই ও বেশি খুশি। ওর আফসোস আমি পড়ালেখা খুব কম করি। আমি দাবায় ক্যারামবোর্ডে ব্যাডমিন্টনে ওকে অনায়াসে
হারিয়ে দিতাম। আমরা দুইজন একসঙ্গে ঘুরতাম। যদিও সুযোগ কম।
চিড়িয়াখানায় যেতাম। স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে যেতাম। আমি আর ও চিড়িয়াখানায় গেলে পুরোদিন চিড়িয়াখানায় থাকতাম। বান্দরের বান্দরামী দেখতাম ঘন্টাব্যপী।
বন্ধুর জন্য আমার ত্যাগ
আমার বন্ধু নটরডেম এ পরীক্ষা দিতে পারে নি।
তাই এডমিশন নেয়া হলনা। আমাদের স্কুল থেকে ৬৫ জনের মত চান্স পেলাম। তাতে কি ইউসুফের তো এডমিশন হলোনা। বিজ্ঞান কলেজে হয়েছে। আমি আবার চরম অহংকারী।
ঢাকা কলেজ আর নটরডেম ছাড়া অন্য কলেজে পরীক্ষাই দেব না। ঢাকা কলেজে পরীক্ষা পরে হলো। দুইজনই টিকে গেলাম। বাবার, ফ্যামিলির সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নটরডেম থেকে ছাড়পত্র নিয়ে ওখানেই ভর্তি হলাম।
ওর প্রতি আমার ক্ষোভ!
সে প্রেম করে বিয়ে করে ফেলেছে।
আমাকে জানায় নি। তখন সে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩য় বর্ষে পড়ে!! পরে আমাকে বলল দোস্ত তোকে বলতে ভয় পেয়েছি। অনেক ভয় পেয়েছি!! মনে আছে একদিন ছবি দেখিয়েছিলাম। মনে পড়ল সেই মাধুরী দীক্ষিত তাইনা্ ?আমাকে তার ছবি দেখানোর পর ঠিক মত তাকাইওনি! যাক মাধুরীর উপর একটু অভিমানই হলো। আমি প্রেম ট্রেমের কাছেও ঘেষতাম না।
তাদের কোন বাসায় যায়গা হলো না। একটা বাসা নিল। ভাবী আমার কোন রান্নাই জানেনা। আমি বন্ধু আর ভাবী রান্না করি। মাহমুদ শরীফ সালেক এরাও তার এই সময়ের সহায়।
নতুন উদ্যমে টিউশনি নিলাম। আমার বাসাকে জানানোর সাহস পাইনি। ওদের বিয়ের কথা। মা ওকে অনেক স্নেহ করতেন। ভাবীও বলত ও আর আমি নাকি দেখতে একইরকম।
ওর বাসায় ছিলো আমার অবাধ যাতায়াত। ও তখন বাষায় অবাঞ্ছিত আমাকে ঠিকই আংকেল আন্টি খুব আদর করতেন। ওর কিন্তু বাসায় জায়গা হয়নি অনেক দিন! আমাকে আন্টি আদর করতেন ইউসুফের অনুপস্থিতিতে একটু বেশিই করতেন। হয়তো আমাকেই ইউসুফ ভেবে আদর করতেন। ছেলেকে কাছে পায় না তাই ওর বড় ভাই বিয়ে করে নাই তখনো!তিনি অতি মেধাবী।
বের্ড স্ট্যান্ড করা। আর এক ভাই ছোট। আন্টির কোন মেয়ে নাই এই নিয়ে তার ব্যপক আফসোস। আঙ্কেল ছিলেন খেলার ভক্ত। ফুটবল এন্ড ক্রিকেট।
ভাবী পরে দারুন মজার রান্না শিখে যান। বন্ধুর পেটে সব খাবার হজম হতো না। বলতে গেলে ওর চেয়ে ওর শ্বশুরবাড়ী আমি বেশি খেয়েছি। রান্নার বিশাল আয়োজন হতো ও আমাকে ডাকতো । এটাও বলতো আমি তো খেতে পারি না।
আমার শ্বশুরবাড়ী তুই খা!
শুধু আমি ভালবাসা মোটেই ভালবাসিনা বিধায় ঘনিষ্ঠতম বন্ধু আমার বিয়ে করার ব্যাপারটা জানায়নি। ইস তখন বুঝি নাই প্রেম কত মূল্যবান। তাহলে বন্ধুর বিয়ে প্রেগ্রাম মিস হত না। ও আমার অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে। কত কষ্ট নিয়ে তা করেছে তা উপলব্ধি করে আমি অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম।
ছাত্র অবস্থায় বিয়ে করেও ও এখন একজন পোস্ট ডক ফেলো ইন হার্ভাড।
ওর গল্প করতে গেলে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা শেষ হয়ে যাবে। বন্ধু যেখানেই থাকিস ভালো থাকিস। একটাই কথা আছে বাংলাতে মুখ আর বুক বলে একসাথে সে হলো বন্ধু। সেই বন্ধু আমার হলেন ইউসুফ।
প্রেমে মরা জলে ডুবে না।
--------------------------------------------
উৎসর্গ-অন্য প্রিয় বন্ধুরা শিপু ভাই,ঘুড্ডির পাইলট, গিয়াস লিটন ভাই, একজন আরমান,কান্ডারী অথর্ব,মাক্স,আরজুপনি,সায়েম মুন,অপূর্ণ,শরৎ,কেভি ইখতামিন ............সহ আর কে কে যে আমার বন্ধু দাবী করেন মাহমুদুল হাসান কায়রো,*কুনোব্যাঙ*বোকামন,মেহেদী হাসান মানিক,,,অনীনদিতা ,রহস্যময়ী কন্যা,স্নিগ্ধ শোভন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।