আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাবার নিষ্ঠুরতার বলি শিশুকন্যা তানজিদা

আবল তাবল ৬৯ ঘরের মেঝেতে বসে পুতুল নিয়ে খেলছিল ছয় বছরের ছোট্ট মেয়ে তানজিদা হক। বাবা আহকামুল আলম তখন ঘুমে। আর পাশেই রান্না ঘরে সকালের খাবার তৈরিতে ব্যসত্দ ছিলেন মা রাকিমা পারভীন। হঠাৎ করেই মেয়ে তানজিদার আর্তচিৎকার। রান্নাঘর থেকে তড়িঘড়ি করে এসে মা রাকিমা দেখেন ঘুম থেকে উঠেই তানজিদার গলা চিপে ধরে আছে তার বাবা।

মেয়েকে বাবার হাত থেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার প্রাণপণ চেষ্টা করেন মা। কিন্তু বাবা যখন গলা ছেড়ে দিলেন, তানজিদার দেহ তখন নিথর হয়ে মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে। শরীরে কোনো স্পন্দন নেই, নেই আর কোনো চিৎকারও। নিষ্ঠুর বাবা আহকামুল নিজ হাতে মেয়েকে হত্যা করে বসে আছেন পাশেই। শনিবার সকাল ৮টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের রামগোপাল মজুমদার লেনের একটি বাসায় এ নিষ্ঠুর ঘটনা ঘটে।

আহকামুলকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। আহকামুল স্থানীয় একটি মানবাধিকার সংস্থা 'পালক'-এর প্রোগ্রাম অফিসার। আর তানজিদা শহরের একটি কিন্ডারগার্টেনের কেজি ওয়ানের ছাত্রী। তানজিদার মা রাকিমা বলেন, 'আমার মেয়ে দুনিয়ার লক্ষ্মী মেয়ে। সকালে ঘুম থেকে উঠে পুতুল-হাঁড়ি-পাতিল নিয়ে খেলা করছিল।

মেয়ের চিৎকার শুনে ঘরে গিয়ে দেখে তানজিদার গলা টিপে ধরে আছে আহকামুল। ছাড়ানোর চেষ্টা করলেও মেয়েকে বাঁচাতে পারিনি। ' পরে তানজিদাকে নিয়ে জেনারেল হাসপাতালে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তানজিদার বাবা আহকামুল আলম বলেন, 'আমি আমার মেয়েকে কোরবানি দিয়েছি। ' কেন দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি কোনো জবাব দেননি।

এ সময় তিনি তার আত্মীয়স্বজনদের উদ্দেশে বলেন, 'মেয়েকে দাফন করার ব্যবস্থা করো। ' আহকামুলের ভাই আহসানুল আলম বলেন, তার ভাইয়ের মাথায় সমস্যা আছে। এ কারণে তার চিকিৎসাও করানো হচ্ছে। মাঝেমধ্যে ভালো থাকে, আবার মাঝেমধ্যে খারাপ হয়ে যায়। আহকামুলের স্ত্রীও তার স্বামীর মাথার সমস্যার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, 'সে ওষুধ খেত।

' তবে একমাত্র মেয়েকে মেরে ফেলাটাকে তিনি মানতে পারছেন না। কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী জালাল উদ্দিন বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদনত্দের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার বাবাকে আটক করে থানায় নেয়া হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খবর য়ায়য়ায়দিন ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.