আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার কাজিন এবং একজন ডিজুস কন্যা (পর্ব -২)

ব্লগার না পাঠক হওয়ার চেষ্টায় আছি কোন পোলা প্রেমে পড়লে শুনি প্রেমিকার লগে সারাদিন কথা কয়। তবে আমার কখনও তা বিশ্বাস হইত না। আমার কাজিনের অবিরাম কথা কওয়া দেইখা আমি বিশ্বাস করতে বাধ্য হইলাম। ডিজুস কন্যার সাথে পরিচয় হওয়ার পরেই আমার কাজিন কইলাম পুরা চেঞ্জ হইয়া গেছে! পোলাডা আগে আস্তে ধীরে দেরি কইরা ঘুম থেকে উঠত। এখন উনার বান্ধবী (প্রেমিকা কিনা এখনও বুঝা যাইতাছে না) প্রত্যহ সকাল বেলা উনারে মিচকল দিয়া ঘুম থেকে উঠাইয়া দেয়।

বিছানা থেকে না উইঠা ঘন্টা খানেক কথা কইয়াই উনার দিন শুরু হয়। উনাদের দিন-কাল খুব ভালই কাটতাছিল। তয় আমি আমার কাজিনরে আমার আগের পর্বের লেখাডা পাঠাইয়া দিছিলাম। ওইখানের কিছু কমেন্ট দেইখা উনি উনার হবু জিএফকে পুরা জেরা করা শুরু করল। সারাক্ষন জেরার উপরে রাখনের ফলে উনাদের রিলেশন ২ দিন ধইরা খারাপ যাইতাছে।

২ দিন ধইরা জেরার ফলে কয়েকটা জটিল জটিল জিনিস জানা গেল। যেমন- আমার কাজিন ওই ডিজুস কইন্যার লাইফে তৃতীয়। এর আগেও আরও দুইখান পোলার লগে ওই কন্যার মুবাইলে রিলেশন হইছিল। তাগো মধ্যে একজনের চরিত্র নাকি ভয়াভহ রকমের খারাপ ছিল। মুবাইলে সারা রাইতে কি সব উলটাপালটা প্যাচাল পারত।

এর জন্য ওই পোলার লগে আর মাইয়ার কোন রিলেশন হয় নাই। আরেকটা পোলা নাকি কন্যার ভয়েস শুনে উনার প্রেমে হাবু-ডুবু খাইছিলেন। কিন্তু পরথম দেখায় ওই পোলার মাইয়াডারে একটুও পছন্দ হয় নাই। তাই ওই রিলেশনও বাদ। মাইয়াডা আরেকটা কঠিন মিথ্যা কথা কইছে।

প্রথম কইছে যে হে স্কুলে পড়ে। পরে কইছে কলেজে। আর কাইলকা কয় যে উনি মেট্রিকে ম্যাথে পাশ করবার পারে না। তাই আর পড়া-লেখা করে না। আমার কাজিন মাইয়ার ফিউচার প্লান সম্পর্কে জানবার চাইলে মাইয়া কয় বাসার কাম করা ছাড়া আর কুন প্লান নাই।

এখন মাইয়ার একটাই ইচ্ছা। ওইটা হইল কাউরে বিয়া করা!! মাইয়ার বাসা থাইকাও নাকি বিয়ের জন্য চাপ দিতাছে। এইডা শুইনা আমার কাজিন কিছুক্ষন গাছের মত খাড়া হইয়া দাড়াইয়া ছিল। তাও ভাল। পোলাডা হার্ট ফেইল কইরা মইরা যায় নাই এইডাই অনেক।

এইরকম যে আর কয়ডা মিথ্যা কইছে কেডা যানে। হয়ত সবই মিথ্যা। ওই মাইয়া এখন নাকি আমার কাজিনরে খালি প্রপোজ করবার কয়। প্রেমের আগেই বিয়া টাইপ ব্যাফার!! যখন আমার কাজিন মাইয়ার লগে দেখা করার কথা কয়, মাইয়া কয় বাসা থেকে আইবার দিব না, এই না হেই না কইয়া ত্যানা প্যাচায়। আগে যেইখানে মাইয়া দেখা করবার জন্য প্রায় রাজি ছিল এখন দেহাই করবার চায় না।

ঘটনা দেইখা আমি সিদ্বান্তে উপনীত হইছি যে বাংলাদেশে সব জিনিসেই ভেজাল পাওয়া গেলেও এই কন্যা পুরাই ডিজুস কইন্যা। আমার কাজিন আইজকা আমারে ফুন দিয়া কয়, উনি উনার সারা জীবন ধইরা একখান স্বপ্ন দেইখা গেছেন যে উনার গেরালফ্রেন্ড স্টাইলিশ হইব। উনি উনার গেরালফ্রেন্ডের হাতে হাত ধইরা ঘুরব। দুইজনে মিলা জিয়া উদ্যানে ডেটিং করব এইসব হাবিজাবি!! আর এই মাইয়ার লগে প্রেম করলে এইসব বাদ দিয়া উনারে সরাসরি বিবাহ করিতে হইব। যদিও পোলাডার বিবাহের আইনগত বয়স হয় নাইক্কা।

তয় কইন্যা যেহেতু খাটি ডিজুস সেহেতু আমার কাজিনের লগে দেখা হওয়ার আগ পর্যন্ত কওয়া যাইতেছে না যে কোনটা সইত্য আর কোনডা মিথ্যা!! দেখা যাক, ডিজুস কইন্যা উনার সাথে দেখা করেন কি না!! আগের ঘটনার লিঙ্কঃ View this link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।